উত্তর আমেরিকা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার জন্য ভালো জিআরই স্কোরের প্রয়োজন হয়। ভালো জিআরই স্কোরের জন্য ভালো ম্যাথ পারার কোনো বিকল্প নেই। এমনকি গণিতে ভালো হওয়া সত্ত্বেও চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। অংকটি দ্রুত ধরতে এবং দ্রুত হিসেব করতে না পারলে অল্প সময়ে সঠিক উত্তর করা সম্ভব হয় না। এজন্য চর্চা করা প্রয়োজন। যে ধরনের অংক জিআরই পরীক্ষায় বেশি আসে সেগুলো বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। নিচের দশ প্রকার অংক গুরুত্বপূর্ণ।
১. সংখ্যার ধারণা
পূর্ণ সংখ্যা, ভগ্নাংশ, দশমিক ভগ্নাংশ, মৌলিক সংখ্যা, জোড়-বিজোড় সংখ্যা, ধনাত্বক-ঋণাত্মক সংখ্যা -ইত্যাদি সংখ্যাতাত্ত্বিক ধারণা থেকে জিআরই পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। তাই সংখ্যার ওপর ভালো দখল রাখতে।
২. সাধারণ জ্যামিতি
ত্রিভুজ জিআরই পরীক্ষার জন্য সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ। পিথাগোরাসের থিওরিটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে জানতে হবে। ৪৫-৪৫-৯০ এবং ৩০-৬০-৯০ কোণের ত্রিভুজ থেকে পরীক্ষায় নানাভাবে অংক এসে থাকে, তাই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হবে। সমদ্বিবাহু এবং সমবাহু ত্রিভুজ থেকে নানাভাবে প্রশ্ন আসতে পারে। অন্যান্য জ্যামিতিক ক্ষেত্র সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ এবং বৃত্ত -এই তিনটি ক্ষেত্র থেকেই জিআরই পরীক্ষায় প্রশ্ন আসার প্রবণতা বেশি।
৩. গাণিতিক শব্দগুলো ইংরেজিতে বোঝা
কিছু অংক আসে যেগুলো পারা না পারা মূলত নির্ভর করে ইংরেজির দক্ষতা ওপর। গণিতের ইংরেজি টার্মগুলো তাই জানা থাকা জরুরী।
৪. হার এবং কাজ
গতি, দূরত্ব, গড় এবং কাজের হিসেব জিআরই পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, দূরত্ব = গড় গতিবেগ Χ সময়, এ ধরনের ধারণাগুলো খুব কাজে লাগে।
৫. সম্ভাব্যতা
সম্ভাব্যতা এবং পারমুটেশন/কম্বিনেশনের সিম্পল অংকগুলি জিআরই পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
৬. অনুপাত/সমানুপাত
অনুপাত/সমানুপাতের অংকগুলি গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্নভাবে অনুপাতের ধারণা কাজে লাগে, তাই ভগ্নাংশ/শতাংশ/অনুপাত -ধারণাগুলি মিলিয়ে বোঝা জরুরী।
৭. শতকরা
অনেকগুলো অংক শতকরার ধারণা কাজে লাগিয়ে করা যায়। লাভ-ক্ষতির/সুদ/অনুপাতের অংকগুলো করতে শতকরা হিসেবে দক্ষতা জরুরী। শতকরা অংকগুলো সবসময় ১০০ ধরে নিয়ে করলে সুবিধা হয়।
৮. ডাটা এনালাইসিস
এই অংশে অনেকে খারাপ করে, বিষয়টি কিছুটা চর্চার বাইরে হওয়াতে। একটু বোঝার চেষ্টা করলে ডাটা এনালাইসিস কঠিন কিছু নয়। কী দেওয়া আছে এবং প্রশ্নে কী চাচ্ছে -বুঝতে পারলে এ ধরনের সমস্যা সমাধান দ্রুত করা যায়।
৯. ফাংসন
ফাংসন হচ্ছে একটি চলকের প্রেক্ষিতে আরেকটি চলককে প্রতিষ্ঠিত করা। এভাবে সমীকরণ তৈরি করা হয়। খুব কঠিন কিছু পরীক্ষায় আসে না।
১০. সমীকরণ
কিছু সমীকরণের অংক থাকতে পারে। সাধারণত লিনিয়ার ইকুয়েশন থেকে অংক পরীক্ষায় আসে, যেখান থেকে X এবং Y এর মান বের করতে হয়।
যেমন,
x – y = 5
2x + y = 13
এরকম দুটি সমীকরণ দিয়ে X এবং Y -এর মান বের করতে বলা হতে পারে।