নগর ভবনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

follow-upnews
0 0

প্রাণতোষ তালুকদারঃ  নগরাঞ্চলের দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প নিয়ে ৩৩, ৩৮, ৪৭, ৪৯ নং ৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণদের সভাপতি পদ মর্যাদা দিয়ে সকলের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরাঞ্চলের দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প ও প্রকল্প অবহিতকরণ করা হইয়াছে।

আজ ১২/১২/২০১৭ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানী ঢাকার নগর ভবনের (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন) সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্পটির কাজ হইতেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প, আগুন, দুর্বল ইমারত, শিল্প পদ্ধতি, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা কিভাবে নিরূপন করা যায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের হাত থেকে কিভাবে জনগণকে রক্ষা করা যায় এবং সচেতন করা যায় তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের প্রকল্প অবহিতকরণ সভাটির আয়োজন করেছেন পপুলেশন সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)।

দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সাড়াপ্রদানে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো, পরিকল্পনা ও সমন্বয় প্রক্রিয়াকে অধিক শক্তিশালী, কার্যকরী ও প্রাতিষ্ঠানিকিকরণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত নীতিমালা, আইনি কাঠামো ও পরিকল্পনাসমূহের বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি যা নগরাঞ্চলের দুর্যোগ ঝুঁকি তথা ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ডের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে এ সভা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর উপ-সচিব মহোদয় জনাব আতাউর রহমান সাহেবকে সভার সভাপতি মর্যাদা দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

পপুলেশন সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) আয়োজিত সভায় উপ সচিব বক্তব্য রাখেন যে দুর্যোগ দুই ধরনের একটি হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ; আরেকটি হচ্ছে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। তিনি বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ হচ্ছে গার্মেন্টসে অগ্নি সংযোগ, গ্যাসের চুলায় অগ্নি সংযোগ, বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানুষের অজ্ঞানতার কারণেই হয়। তিনি মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য বলেছেন। এবং প্রত্যেক ওয়ার্ড কমিটির সমন্বয় দরকার। সমন্বয় করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা দরকার।

তিনি বলেন এই দুর্যোগে সবারই দায়িত্ব নেয়া দরকার এবং দুর্যোগে সকলে অংশগ্রহণ করে মোকাবেলা করার কথা বলেছেন। দুর্যোগে প্রথমে লোকজনদের আশ্রয়, খাদ্য, পানি, চিকিৎসাসহ সব কিছু নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।

বক্তাগণ বলেন কাউন্সিল সাহেবদের পরামর্শ অনুযায়ী ৪টি ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকসহ সকল স্তরের লোকদের সমন্বয় করে কাজ করলে দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

কিভাবে কাজ করলে ভূমিকম্প, অগ্নি, জলাবদ্ধতা নিরূপণ করা যাবে? পিএসটিসি এর কর্মকর্তাগণ বলেন ৪টি ওয়ার্ড কমিটির লোকজনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা সহায়কের ভূমিকা পালন করবেন। আর সমন্বয় করবেন কাউন্সিল মহোদয়গণ। পিএসটিসি এর কর্মকর্তাগণ বলেছেন যে ৪টি ওয়ার্ডের জনগণকে দুর্যোগ মোকাবেলার প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি শক্তিশালী টীম গঠন করে মানুষকে সচেতন করে ৪টি ওয়ার্ড মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন। যাতে করে ভূমিকম্প, অগ্নিসংযোগ ও জলাবদ্ধতার হাত হতে মানুষ রক্ষা পায়।

ফায়ার সার্ভিস অফিসার বলেন ডোর টু ডোর সকলকে যেতে হবে এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতার পরামর্শ দিতে হবে এবং একটি লিফলেটের মাধ্যমে জনগণকে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মা, বাবা, ভাই-বোনসহ সবাই যেন সচেতন হন।
দুর্যোগে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু ও মহিলা।

উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উপ-সচিব জনাব আতাউর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে পপুলেশন সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) এর প্রকল্প সমন্বকারী মোঃ ইকবাল হাসান, প্রজেক্ট অফিসার তাহমিনা আক্তার, মনিটরিং অফিসার উর্মিলা নখরেট, ও ফিল্ড অফিসার সুবর্ণা।

Next Post

পৃথিবীর মানুষ // দিব্যেন্দু দ্বীপ

পৃথিবীটা খুব খটমট লাগছে, সূর্য তবে চাঁদ চিনেছে। এই কি কথা ছিল? আকাশ তাহলে পাতালে কী পেল? পৃথিবী সৃষ্টি না হলে মানুষের মৃত্যু হত কি কোনোদিন? তাই কি হয়? বন্যতায় যে বিপন্ন হবে ভালোবাসা দিয়ে তাকে কতটুকু ভোলানে যায়? দিব্যেন্দু দ্বীপ
সুবর্ণা

এগুলো পড়তে পারেন