ফিরে দেখাঃ বসুন্ধরার মালিকের ছেলেকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে

follow-upnews
0 0

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলাটি ছিলো একটি চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা। ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ১২ মে পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আসামিরা হলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানবীর), নূরে আলম, বডি গার্ড  উজ্জ্বল, খায়রুল হাসান ও শামসুদ্দিন আহমেদ। এরপর  রহস্যজনক কারণে দ্রুতই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে যায় আসামীরা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এই মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট এখানে তুলে ধরা হলো। এ থেকে বোঝা যাবে একটি খুনের মামলা কীভাবে রাজনৈতিক রূপ পায় এবং কীভাবে আসামীরা সেখান থেকে খালাস পেতে পারে। ২৪ জানুয়ারি ২০১১ আসামীরা অভিযুক্ত হয়। অভিযুক্তরা সবাই ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এরপর অস্বাভাবিক দ্রুততার সাথে— ১৪ ডিসেম্বর ২০১১, সানবীর সহ সবাই আদালত থেকে খালাস পেয়ে যায়!


বসুন্ধরার মালিকের ছেলেকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে

প্রথম আলো ।। ১০ জুলাই ২০০৭

সাব্বির হত্যা
২০০৭ সালের ১০ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা নিয়ে প্রথম আলো লিড নিউজ করেছিলো।

হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যা মামলার আসমী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সাজাপ্রাপ্ত সানভীরকে গ্রেপ্তার করতে আর্ন্তজাতিক পুলিশ সংস্থা— ইন্টারপোলের সাহায্য চাইবে সিআইডি। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সানভীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এ ব্যাপারে আদালতের প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ— সিআইডি।
গতকাল সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাফিয়াত সোবহান সানভীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আরমান আলী এ আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (সিআইডি) শশিভূষণ চেীধুরী বলেন, সানভীরকে ধরতে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। আর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে।
সিআইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধারণা করছে, সানভীর লন্ডনেই আছেন। এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর সিআইডির একটি দল যুক্তরাজ্যে যাবে। এ ব্যাপারে আদালতের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে।
২০০৬ সালের ৫ জুলাই রাতে বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বিরকে (৩০) খুন করা হয়। এই হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবার সোবহান ও তার ছেলে সানভীর অব্যহতি পেতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুফৎজ্জামান বাবরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সম্মতিতে বাবর ও তারেক রহমান বসুন্ধরার চেয়ারম্যানের কাছে ১০০ কোটি টাক দাবি করেছিলেন। পরে ৫০ কোটি টাকায় রফা হয়। এর মধ্যে ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। বিএনপি নেতৃত্বধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সহযোগিতায় দেশ ছাড়তে সমর্থ হন সানভীর। গ্রেপ্তারের পর যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে ছেলের কাছ থেকে বাবর এ মামলা ধামাচাপা দিতে টাকা খাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার আরমান আলী তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিকমিউনিকেশন শাখার পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। এর আগে তদন্ত করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রতিবেদনে তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করে স্বাক্ষীদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রকাশ্যে ও গোপনে সাব্বির হত্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য হচ্ছে। তদন্তকালে পলাতক আসামী সাফিয়াত সোবহান সানভীর এ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। সাব্বির হত্যার পরপরই সানভীর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। আদালতকে তিনি আরো জানান, যেহেতু তদন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণে সানভীরের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, সে কারণে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা প্রয়োজন। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সানভীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন মঞ্জুর করেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমান বন্দর থেকে সানভীরের ভ্রমনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেছেন। এতে দেখা গেছে, সানভীর লন্ডনে গেছেন। সিআইডি এ বিষয়ে নিশ্চিত, সানভীর লন্ডন অথবা ইউরোপের কোনো দেশে পালিয়ে আছেন।
বিএনপি জামায়ত জোট সরকারের সময় পুলিশ দুই বছর চেষ্টা করেও বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির (৩০) হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিতে পারেনি। তবে সিআইডি কর্মকর্তা বলেছেন, তারা সানভীরের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা হলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিতে কোনো সমস্যা হবে না।
জানা গেছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও তারেক রহমান মামলাটি অব্যাহতি দিতে তৎপর ছিলেন। তাদের কারণেই মামলাটির চার্জশীট দিতে অনেক দিন দেরি করা হয়। তবে ডিবি ও সিআইডি ঘটনাটি নিজেদের মতো করে তদন্ত করে। তদন্ত কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে সানভীর, বসুন্ধরার পরিচালক শামসুদ্দিন ও সানভীরের সহযোগী উজ্জ্বল জড়িত থাকার সব প্রমাণ সংগ্রহ করেন। আসামীদের মধ্যে সানভীর উক্ত আদালত থেকে জামিন নিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, নারীঘটিত বিভিন্ন বিষয়ের কারণে সাব্বিরকে খুন করা হয়। যে মহিলাকে ঘিরে এই হত্যাকাণ্ড তারও জবাননন্দি নিয়েছেন তারা। প্রথম দিকে বিভিন্ন দিক থেকে বাধা থাকার কারণে তদন্ত এগোচ্ছিলো না। সে সময় তদন্ত কর্মকর্তা নানা কৌশল খাটিয়ে ও সানভীর যেখানে যেখানে ফোন করেছেন তার তালিকা জোগাড় করেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো ।। ১০ জুলাই ২০০৭

প্রথম আলোর ৩ জুন ২০০৭ তারিখের সংখ্যায় এ সম্পর্কে ছাপা হয়েছিলো তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জবানবন্দি।

প্রথম আলো
৩ জুন ২০০৭ তারিখের প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার স্ক্রিনশট। এটিও ছিলো এই দিনে প্রথম আলোর লিড নিউজ।

বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে ১০০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতে তার ছেলে তারেক রহমান ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর দলের খরচের নামে এ অর্থ দাবি করেন। পরে ৫০ কোটি টাকায় রফা হয়, যার ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করেন আসামী সানবীরের বাবা বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম)। লুৎফুজ্জামান বাবর রিমান্ডে থাকা অবস্থায় যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেলকে (টিএফআই) এসব কথা বলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। তিনি ব্রিটিশ কোম্পানি ওয়ার্ল্ডটেলের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার কথাও স্বীকার করেন বলে জানা যায়।

লুৎফুজ্জামান বাবরকে ২৮মে গুলশানের বাসভবন থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেন। একটি বিশেষ টাস্কফোর্স তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আজ রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাব্বির হত্যা, ওয়ারিদ টেলিকমের সঙ্গে লেনদেন, পুলিশের পোশাক কেনা, অস্ত্র কেনার দূর্নীতি, পুলিশের বেতারযন্ত্র কেনার দূর্নীতি, র্যা ব-পুলিশের জন্য গাড়ি কেনা ও ওয়ার্ল্ডটেলের সঙ্গে লেনদেনে জড়িয়ে পড়ার কথা স্বীকার করেন।
সাব্বির হত্যাঃ ¬বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির গত বছরের চার জুলাই রাতে গুলশানের একটি বাসায় খুন হন। হত্যাকান্ডের তদন্তে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে সানবীরের জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠলে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাবরের কাছে যান। এরপর হত্যাকান্ডটি ধামাচাপা দিতে বাবর ও তারেক বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে ১০০ কোটি টাকা দলের খরচের নামে দাবী করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগন খালেদা জিয়ার সম্মতি ছিল। পরে ৫০ কোটি টাকায় বিষয়টি রফা হয়। এর মধ্যে ২০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়।
সূত্র জানায় বাবর স্বীকার করেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলের চাপের কারণে পুলিশ মামলাটি দায়ের করে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের চাপের কারণে মামলার অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার জন্য তিনি মামলাটি রেখে দেন। তিনি স্বীকার করেন, সাব্বির হত্যার মামলাটি তিনি প্রতিদিন নিজে তদারকি করতেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের সঙ্গে তিনি গোপন বৈঠক করেন। হত্যা মামলার আসামী সানবীরকে দেশ থেকে তিনি পালাতে সাহায্য করেন বলেও স্বীকার করেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করছেন।
ওয়ার্ল্ডটেলঃ সূত্রমতে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর স্বীকার করেন, গত বছরের শেষ দিকে ব্রিটিশ কোম্পানি ওয়ার্ল্ডটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাইম এম চৌধুরী বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন। তিনি বাবরের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে চান। বাবর বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ডটেলের বিনিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। এর এক পর্যায়ে বেগম জিয়ার বড় বোনের ছেলে শাহরিন ইসলাম তুহিন বিষয়টি তার মাধ্যমে প্রস্তাব করেন। যার বিনিময়ে এ প্রতিষ্ঠানের ৩০ শতাংশ শেয়ার দলের জন্যে দেয়া হয়। এ ছাড়া ১০ শতাংশ শেয়ার বাবরের দুবাই প্রবাসী বন্ধু মাহতাব কেনেন। বিনিয়োগে সফলতার জন্য নাইম তার অংশের চার শতাংশ, মাহতাব তার অংশের আরও দুই শতাংশসহ মোট ছয় শতাংশ শেয়ার বাবরকে দেন। এ অংশ সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির নামে দেখানো হয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নাইম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। ওয়ার্ল্ডটেল এ ধরণের কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়।
গাড়ি কেনায় দুর্নীতিঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জিজ্ঞাসাবাদে র্যানব ও পুলিশের জন্য ১২টি সাঁজোয়া যান ও ১১টি যানবাহন কেনাকাটায় দুর্নীতির কথা স্বীকার করেন। এসব কেনাকাটা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ ঘুষ নেন বলেও জানান। তিনি জানান, বিভিন্ন পন্থায় সর্বনিন্ম দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অন্য কোম্পানিকে দেওয়া হতো। এ ব্যবস্থায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক মটরসকে সব কাজ দেওয়া হতো। বিনিময়ে এবি ব্যাংকসহ তার সব ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা হয়। বাবর স্বীকার করেন দরপত্র রদবদলের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে প্যাসিফিক মটর্সকে সুযোগ দেয়া হয়। অপরদিকে প্যাসেফিক মটর্স বেশি দাম দেখিয়ে (ওভার ইনভয়েসিং) গাড়ি আমদানি করে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে। বাবর স্বীকার করেন, মন্ত্রী হিসেবে তার এ কাজ করা ঠিক হয়নি।
ওয়ারিদের সঙ্গে লেনদেনঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ধাবি গ্রুপের ওয়ারিদ টেলিকম তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য এক কোটি ডলার ঘুষ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ডলার নিয়েছেন আলী আসগার লবী, বাকি ৯০ লাখ ডলার নেন আরাফাত রহমান কোকো। বাবর বলেন, তিনি নিজেও ওই দরপত্র থেকে প্রচুর অর্থ পেয়েছেন। বিআরটিএর চেয়্যারম্যান ওমর ফারুক তার ঘনিষ্ঠজন হওয়ার কারণে তিনি এ বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করেন। বাবর জানেন, দুবাই হয়ে আমেরিকা যাওয়ার সময় তিনি ধাবি গ্রুপের রাজকীয় আতিথেয়তা নেন।
এ ব্যাপারে জানতে ওয়ারিদের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) নাভিদ সাঈদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
টিএন্ডটির যন্ত্রপাতি কেনাঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জানান, টিএন্ডটিতে খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের কাজ একটি চীনা কোম্পানীকে পাইয়ে দেয়ার জন্য আরাফাত রহমান কোকো ও অর্থমন্ত্রীর ছেলে নাছের রহমান (টনি) বিপুল অর্থ ঘুষ নেন।
পুলিশের পোষাকঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জানান,তারেক রহমান ও সাইদ ইস্কান্দারের প্রতিষ্ঠান ড্যান্ডি ডাইংকে কাজ দেওয়ার জন্য পুলিশের পোশাক ও মনোগ্রাম বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এ কাজে ১৫ কোটি টাকার নতুন নতুন কাপড় তৈরি ও মনোগ্রাম সরবরাহের কাজ বেনামে তারেক রহমান ও তার মামা সাঈদ এস্কান্দারের প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় ।
অস্ত্র কেনাঃ বিএনপির সরকারের আমলে ব্যার ও পুলিশের অস্ত্র কেনার দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী । জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান , অস্ত্র কেনারইয় তিনি নিজেও হাওয়া ভবনে অস্ত্র প্রতি ১০০ ডলার করে নিয়েছেন । এতে তারা প্রায় দুই কোটি টাকা পান । ব্যারেব সাব মেশিনগান কেনার জন্য পাকিস্তানে গিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব পাঁচতারা হোটেলে থাকেন । নিয়ম্নীতি উপেক্ষা করে এসব কাজ দেওয়া হত্তো বলে তিনি স্বীকার করেন ।
বেতারযন্ত্র কেনাঃ বাবর স্বীকার করেন, গত পাঁচ বছরে পুলিশের জন্য ৩০ কোটি টাকার বেতারযন্ত্র কেনা হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এসব যন্ত্রের মধ্যে ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৫০০টি এফএম বেতার ও এক হাজার ব্যাটারি কেনা হয়। একইভাবে ১৫০টি স্থায়ী যন্ত্র কেনায় আড়াই কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। খুলনা পুলিশের জন্য নিয়মনীতি ছাড়া বেতারের রিপিতার কেনায় দুর্নীতি হয়।
এসব কেনাকাটা-দুর্নীতি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, এসব দুর্নীতির খেসারত এখন পুলিশকে বহন করতে হবে। তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের জন্য গাড়ি কেনা হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা দামে। ওই গাড়ি চালাতে হলে যত তেল প্রয়োজন তা দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশের নেই। এসব গাড়ি কেনার আগে জ্বালানী ব্যবহারের বিষয়টি ভাবা উচিত ছিল। তা ছাড়া পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ ও বদলিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে আইজি জানান। তিনি বলেন, পুলিশের বেতারযন্ত্র কেনার জন্য আরাফাত রহমান কোকো একসময় চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
সম্পত্তির বিবরণঃ বাবর জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার সোয়া বিঘার পাঁচটি প্লট আছে। কারওয়ান বাজারে দুটি ফ্ল্যাট দিয়ে মিরাকল নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান আছে। তার ভাবীর নামে তিনি এটা কেনেন। স্বদেশ আবাসিক এলাকায় তার ছয়টি প্লট, উত্তরায় চাচাতো ভাইয়ের নামে ইজারা নেওয়া তিন একর জমি ও সন্তানদের নামে ডিপিএস আছে। তার ঋণের মধ্যে সোনালী ব্যাংকে আট কোটি, আল-বারাকা ব্যাংকে পাঁচ কোটি ও পূবালী ব্যাংকে দেড় কোটি টাকা ঋণ আছে।
তিনি স্বীকার করেন, ২০০২ সালে তারেক রহমান তার ঋণ হালনাগাদ করার জন্য ৪০ লাখ টাকা দেন। গত বছর ওরিয়ন গ্রুপের ওবায়দুল করিম তাকে দেড় কোটি টাকা দেন এবং ২০০৭ সালের নির্বাচনের আগে তারেক রহমান দেন ৫০ লাখ তাকা। দলের খরচ ও নির্বাচনের জন্য তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এর মধ্যে বসুন্ধরার কাছ থেকে নেন ৫০ লাখ টাকা।
সূত্রঃ প্রথম আলো ।। ৩ জুন ২০০৭

সাব্বির হত্যায় বসুন্ধরা চেয়ারম্যানের ছেলে সানবীর অভিযুক্ত

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published : 24 Jan 2011


ঢাকা, জানুয়ারি ২৫ (বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)— বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবীর সাব্বির হত্যামামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলে সাফিয়াত সোবহান সানবীর, যদিও তিনি ‘পলাতক’।
সানবীরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতে অভিযোগ গঠন হয়।
অভিযোগ গঠনের পর বিচারক মো. রেজাউল ইসলাম আগামী ৩১ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ঠিক করেছেন।
অভিযুক্তরা সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
মামলার আসামিদের মধ্যে খায়রুল হাসান উজ্জ্বল এবং শামসুদ্দিন আহমেদ আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তাদের আইনজীবীরা দুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করলেও তা নাকচ করেন বিচারক।
মামলার অন্য আসামি সানবীর, নূরে আলম ও হুমায়ূন কবীর পুলিশের খাতায় পলাতক। গত ১০ জানুয়ারি সানবীরসহ তাদের বিরুদ্ধে একই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক (কমিউনিকেশন) সাব্বির ২০০৬ সালের ৪ জুলাই খুন হন। এর তিন দিন পর নিহতের ভগ্নিপতি এএফএম আসিফ মামলা করেন।
২০০৮ সালের ১২ মে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আরমান আলী অভিযোগপত্র দেন। এতে ৩৫ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গুলশানের ১০৪ নম্বর সড়কে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ৩/জি নম্বর বাসার ছাদ থেকে সাব্বিরকে ফেলে দেওয়া হয়।
২০১০ সালের ৭ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতে আসে।

সাব্বির হত্যা: সানবীরসহ সবাই খালাস

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published : 14 Dec 2011


রাষ্ট্রপক্ষ উপযুক্ত সাক্ষী হাজির করতে ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ বসুন্ধরা টেলিকমের পরিচালক হুমায়ুন কবীর সাব্বির হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় দেন।

বসুন্ধরার মালিকের ছেলে সাফিয়াত সোবহান সানবীর ছিলেন এ মামলার প্রধান আসামি। তিনি ছাড়াও নূরে আলম ও হুমায়ূন কবীর নামে আরো দুই জন পলাতক ছিলেন। বাকি দুই আসামি খায়রুল হাসান উজ্জ্বল ও শামসুদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

২০০৬ সালের ৪ জুলাই রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে খুন হন বসুন্ধরা টেলিকমিউনিকেশসন্স নেটওয়ার্ক লিমিটেডের পরিচালক সাব্বির। এর তিন দিন পর নিহতের ভগ্নিপতি এএফএম আসিফ এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আরমান আলী ২০০৮ সালের ১২ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। এতে বলা হয়, গুলশানের ১০৪ নম্বর সড়কে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ৩/জি নম্বর বাসার ছাদ থেকে সাব্বিরকে ফেলে দেওয়া হয়।

বিচারক মোতাহার হোসেন রায়ে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বস্তুনিষ্ঠ, প্রকৃত ও বাস্তব সাক্ষী উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় পাঁচ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

রায় ঘোষণার সময় বাদীপক্ষের কাউকে এজলাসে পাওয়া যায়নি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ ও নাসির উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রায় নিয়ে বাদীপক্ষের তেমন আগ্রহ ছিল না বলেই নিহতের আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন না।

অবশ্য বাদী এ এস এম আসিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

গত জানুয়ারিতে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমের ছেলে সানবীরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

সাব্বির খুন হওয়ার কিছুদিন পর সানবীর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তৎকালীন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তাকে দেশত্যাগে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাবর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে তিনি সানবীরকে খুনের মামলা থেকে বাঁচাতে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের কাছ থেকে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলা বিচারাধীন।‘

রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ’

রায়ে বলা হয় এ মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী যৌনকর্মী সাদিয়া আক্তার রাত্রি ও পাপিয়া গাইনকে আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। অথচ তারাই ছিল এ মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিলেন তারা।

তাছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার কোনো স্থিরচিত্র, দৃশ্যমান চিত্রও সাক্ষ্য হিসাবে আদালতে হাজির করেনি। অথচ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনে এসব প্রমাণিক দলিলের মূল্য রয়েছে।

বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে শুধু নিহতের বোনের স্বামী এস এম আসিফ, মা হোসনে আরা, বাবা আবুল হাসেম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। তারা আদালতকে জানান, আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে সাব্বিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আসামিরা।

সাব্বির নিহত হওয়ার দিন গুলশানের ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন পাপিয়া ও রাত্রি। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছিলেন, সানবীর তাদের সামনেই সাব্বিরকে মেরে মেঝেতে ফেলে দেন। পরে তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৫ ও ২৪ সেপ্টেম্বর দুই দফায় আদালত থেকে রাত্রির নামে বাগেরহাটের ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়। কিন্তু ওই ঠিকানায় কাউকে পাওয়া যায়নি জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। পাপিয়ার ব্যাপারেও একই ধরনের প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, “পাপিয়া ও রাত্রি ভাসমান যৌনকর্মী হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

রায় ঘোষণার সময় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলার বিচারকালে প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ হাজির করতে পারলে সুষ্ঠ বিচার সম্পন্ন হতো।

সাব্বির হত্যা: মামলা বাতিলে তারেকের আবেদনে রায় ১৬ মার্চ

সমকাল ।। প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬ । ২০:১৮

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয়েছে। আগামি ১৬ মার্চ ঘুষ গ্রহণের ওই মামলা বাতিল হবে কি-না,সে বিষয়ে রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট  বেঞ্চ মঙ্গলবার রায়ের এই দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ  নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম রাজধানীর রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। তবে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল তারেকসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র  দেয় দুদক।
এর পর ওই বছরের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগও গঠন করা হয়। এ পর্যায়ে তারেক রহমানসহ চারজন হাইকোর্টে ওই মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। তারেক ছাড়া অন্যরা হলেন- সাবেক চারদলীয়  জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল। পরে মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৬ সালে হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। মঙ্গলবার ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে তারেকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে  মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন  খোকন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলা বাতিলের বিষয়ে তারেক রহমানের করা আবেদনের ওপর রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে ১৬ মার্চ রায় দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, তারেক রহমান জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হলেও ২০০৮ সালের ৩  সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি  পেয়ে ‘চিকিৎসার জন্য’ যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে পরিবার নিয়ে তিনি সেখানেই আছেন।

সাব্বির হত্যার আসামি খালাসের রায় কেন বাতিল নয়

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবীর সাব্বির হত্যা মামলায় পাঁচজনকে দেওয়া খালাসের রায় কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই রুল দেন।
২০০৬ সালের ৪ জুলাই গুলশানের একটি বাড়িতে খুন হন সাব্বির। ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ১২ মে পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আসামিরা হলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানবীর), নূরে আলম, হুমায়ূন কবীর, খায়রুল হাসান ও শামসুদ্দিন আহমেদ। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। ওই রায় বাতিলে সম্প্রতি আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল হাইকোর্ট রুল দেন।

সাব্বির হত্যা : সময় পেলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান

jagonews24 ।। প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ঘুষ-লেনদেনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলমসহ তার দুই ছেলের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার দুই ছেলে হলেন-সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান।

বুধবার ঢাকার ৩নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহম্মেদ জমাদার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১২ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিন তাদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তারা আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম রমনা থানায় এই মামলা করেন, যাতে তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কয়েকজনকে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের দায়ে দুদকের মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক ছাড়া বাকি তিনজন হলেন সাবেক চারদলীয় জোট সরকরের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল।


উল্লেখ্য সানবীরের পাশাপাশি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধেও হত্যার অভিযোগ উঠেছিলো— “ঢাকার গুলশানে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ‘ধর্ষণ ও হত্যা’ মামলার অভিযোগ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবারের সদস্যদের অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। (১৯ অক্টোবর ২০২২, বিবিসি বাংলা)”

এবার দেখে নেওয়া যাক বসুন্ধরা গ্রুপ কোথায় কী পুরস্কার পেলেন। এমনকি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পুরস্কারও তারা পেয়েছে—

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মাননা পেল বসুন্ধরা গ্রুপসহ ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

ঢাকাটাইমস ।। ১১ জানুয়ারি ২০২৩
কালের কণ্ঠ
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এর পক্ষে পদক ও সম্মাননা গ্রহণ করেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। উপস্থিত রয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে করোনা মহামারিকালে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘মানবাধিকার পদক ও সম্মাননা’ পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। ৭৫তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ও ৫২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ (বিএইচআরবি)-এর উদ্যোগে আরও ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

বুধবার বিকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এর পক্ষে পদক ও সম্মাননা গ্রহণ করেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।

এক প্রতিক্রিয়ায় ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমি বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান মহোদয়ের পক্ষ থেকে আজকের এই পদক ও সম্মাননা গ্রহণ করলাম। বসুন্ধরা গ্রুপ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে কাজ করে। সেগুলোর অধিকাংশের খবর আমরা রাখি না। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় মানবতার জন্য, দেশের জন্য যে অবদান রাখছেন তা বলতে গেলে কমপক্ষে এক ঘণ্টা সময় লাগবে। শুধু এইটুকু বলি বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান হচ্ছে দেশ এবং মানুষের কল্যাণে। তিনি প্রকৃত অর্থেই দেশ এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। বসুন্ধরার মতো যদি দেশের অন্যান্য শিল্প গ্রুপগুলোও মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে তাহলে এই দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে আলোকিত দেশ হবে।

পদক ও সম্মাননা প্রদান শেষে “রক্তস্নাত বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত মানবাধিকারের এগিয়ে চলার পাঁচ দশক” শীর্ষক এক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাউথ এশিয়ান ফ্র্যাটার্নিটি (সাফ), বাংলাদেশের সভাপতি ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আলোকিত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে আজকের এই পদক ও সম্মাননা দেয়া প্রশংসার। আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে এই আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আজকে পদক ও সম্মাননা নিলেন সবাই দেশের আলোকিত এবং সম্মানি মানুষ। এই মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো আমাদেরও দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।

বিএইচআরবি সভাপতি সাবেক বিচারপতি আবু বকর সিদ্দীকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, মানবাধিকার পদক ও সম্মাননা স্মারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, দৈনিক প্রথম আলো, বেক্সিমকো ফার্মা এবং জেএমআই গ্রুপ-কে ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ ক্যাটাগরিতে এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, হোটেলস্ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আমিনুর রহমান, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী এবং কন্ঠশিল্পী ও সমাজকর্মী তাসরিফ খান-কে ‘ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে মানবাধিকার পদক ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।

বিএইচআরবি প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান জানান, “বিএইচআরবি পদক ও সম্মাননা প্রদানের জন্য গঠিত নির্বাচনী বোর্ড ‘ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে এবং ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ ক্যাটাগরিতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সম্মাননা দেয়ার ক্ষেত্রে করোনাকালে তাঁদের কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে বিবেচিত হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ (বিএইচআরবি) জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার সনদের আলোকে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান।

প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের অসহায়-অবহেলিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত এবং অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম যেমন: আইনগত সহায়তা, সালিশী কার্যক্রম আইন বিষয়ক ও সামাজিক সচেতনতামূলক সৃজনশীল কার্যক্রম, দেশের আইন শৃঙ্খলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত পরিস্থিতির রিপোর্ট সংগ্রহ ও প্রকাশসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অ্যাডভোকেসি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণসহ নিয়মিতভাবে নানা কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে বিএইচআরবি।

বসুন্ধরা গ্রুপ, এমডি, ভাইস চেয়ারম্যান পুরস্কৃত

কালের কণ্ঠ ।। ১৪ এপ্রিল, ২০২২

সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর ভূষিত হয়েছেন বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব বা ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ খেতাবে।  ভোক্তা ও শিল্প পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানকে এশিয়া ওয়ান গ্লোবাল লিডার অব দ্য ইয়ার খেতাব দেওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার লন্ডনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গ্রেটেস্ট ব্র্যান্ড অ্যান্ড লিডার্স ২০২১-২২ এশিয়া-আমেরিকা-আফ্রিকা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সেখানেই তাঁরা এ পুরস্কারে ভূষিত হন। এটি ছিল এশিয়াওয়ান মিডিয়া গ্রুপের এশিয়া-আমেরিকা-আফ্রিকা অ্যাওয়ার্ডের ১৭তম আসর। লন্ডনের ম্যারিয়ট হোটেলে করা হয় এই জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন।

মেগা এই শীর্ষ সম্মেলন ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকার ব্যবসায়ী ও সামাজিক নেতাদের বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। কেউ কেউ সরাসরি উপস্থিত হতে না পারায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান, ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎকর্ষসাধন ও মানোন্নয়নের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে গ্রেটেস্ট ব্র্যান্ড হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভোক্তা ও শিল্প পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য সায়েম সোবহান আনভীরকে পারসন অব দ্য ইয়ার মনোনীত করে ইউনাইটেড রিসার্চ সার্ভিসেস অ্যান্ড এশিয়া ওয়ান ম্যাগাজিন। সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর উপদেষ্টা মো. নাজমুল হক। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানকে শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ও প্রতিনিধিত্বের জন্য মনোনীত করে এশিয়া ইউরোপ বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল গ্রুপ।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে শিল্প গ্রুপটির চলমান কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। প্রামাণ্যচিত্রে স্থান পায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মকাণ্ড এবং বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক কার্যক্রম।

সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, চীন, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ওমান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নাইজেরিয়া, কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বেসরকারি-সরকারি খাতের প্রধান ব্যবসায়ী ও সামাজিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এশিয়াওয়ান মিডিয়া গ্রুপ এশিয়া-আমেরিকা-আফ্রিকা বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল ফোরামের মধ্য দিয়ে মূলত ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও অর্জন তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে সরকারি কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে ‘সেন্ট মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তাঁকে ২০১৬ সালে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) মর্যাদা দেয়। বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক সুসংহত করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১১ সালে মার্কিন কংগ্রেসের স্বীকৃতি অর্জন করেন। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি ক্রীড়া, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, সমাজসেবা ও গণমাধ্যমে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের মর্যাদাপূর্ণ দাদা সাহেব ফালকে এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৭-এ ভূষিত হন সায়েম সোবহান।

দীর্ঘ তিন দশকের পথচলায় বসুন্ধরা গ্রুপ এখন দেশমাতৃকার অভূতপূর্ব উন্নয়নের অংশীদার। দুই দশকের বেশি সময় ধরে দেশে বসুন্ধরা গ্রুপকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সায়েম সোবহান আনভীর অনেকগুলো মাইলফলক পেরিয়েছেন। সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাবসায়িক দক্ষতার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য।

আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বসুন্ধরা গ্রুপ

সমকাল ।। ০৭ জুলাই ২১

যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থ ও ব্যবসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য গ্লোবাল ইকোনোমিকসের বিবেচনায় চলতি বছর ‘সেরা বিজনেস কনগ্লোমারেট গ্রুপ’ নির্বাচিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্রুপটি। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দ্য গ্লোবাল ইকোনোমিকস ২০২১ সালে আর্থিক খাতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে সেবা বিজনেস কনগ্লোমারেট গ্রুপ ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছে বসুন্ধরা।

সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে বৈশ্বিক আর্থিক খাতে অবদান রাখার স্বীকৃতি ও সম্মান দিতে প্রতি বছর ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করে এ সাময়িকী। এছাড়া আর্থিক খাতের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং, বীমা, আবাসন, প্রযুক্তি, নেতৃত্বসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও পুরস্কার ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটি।

দ্য গ্লোবাল ইকোনোমিকস ঘোষিত চলতি বছরের পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় আরও রয়েছে, সিঙ্গাপুরের স্ট্যাশঅ্যাওওয়ে, হংকংয়ের প্যাসিফিক রিস্ক অ্যাডভাইজর্স লিমিটেড, বাহরাইনের আরব ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ও জিএফএইচ ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ এবং মিশরের কন্ট্যাক্ট ফাইন্যান্সিয়াল হোল্ডিং।


বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময়ই সরকার ঘেষে থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সহ বিভিন্ন সরকারি বাহিনী এবং সংস্থায় রয়েছে তাদের ‘অবদান’।

ডিএমপিকে আড়াই বিঘা জমি দিল বসুন্ধরা গ্রুপ

কালের কণ্ঠ ।। ১০ নভেম্বর ২০১৬

ডিএমপি
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান গতকাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকের হাতে জমির দলিল তুলে দেন। ছবি : কালের কণ্ঠ

জননিরাপত্তার স্বার্থে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকে আড়াই বিঘা জমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। সেখানে ডিএমপির ৫১তম থানার কার্যালয় গড়ে তোলা হবে।

গতকাল বুধবার বিকেলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবনে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের কাছে জমির দলিল হস্তান্তর করেন।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, গুলশান জোনের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ, ডিএমপির উপকমিশনার (ইঅ্যান্ডটি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মশিউর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক (ল্যান্ড) লিয়াকত হোসেন, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘আমি পুলিশের আইজি ও ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁরা অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের সময় দিয়েছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের স্বার্থেই আমরা থানার জন্য জমি দিচ্ছি। এ এলাকায় যারা বসবাস করে, তাদের স্বার্থেই।’বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি-অর্থনীতি ও সমাজনীতি হবে না। আমি বলব, গত ১০ বছর ধরে পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ সময়ে অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে, অনেকে আহত হয়েছে। তার পরও পুলিশ বাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের গণমাধ্যম এ ভূমিকার জন্য তাদের স্বাগত জানায়।’

চেয়ারম্যান বলেন, তাদের সমালোচনাও করা হয়। তবে এটা করা হয়, যাতে তারা শুধরে নিতে পারে। তিনি বলেন, এখন সর্বকালের সেরা সময় কাটাচ্ছে পুলিশ। তারা নিবেদিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করছে। গুলশানের জঙ্গি হামলায়ও দুই পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছেন। অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। তিনি বলেন, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার সঠিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ফলে আজ দেশ অনেকটাই জঙ্গিমুক্ত। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, এ ক্ষেত্রে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় না থাকলে সব কিছু ভেস্তে যাবে। যে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকে না, সে দেশ উন্নত হতে পারে না।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমরা একটি থানার জন্য জায়গা দিয়েছি। ইনশাল্লাহ খুব শিগগির আমরা মাদানীনগরে আরেকটি থানার জন্য জায়গা দেব।’

পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের এ উদ্যোগকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে আমরা দেখছি। পুলিশ কাজ করে জনগণের জন্য, জননিরাপত্তার জন্য। তবে পুলিশ এককভাবে কোনো কাজ করতে পারে না। এ জন্য কমিউনিটির সঙ্গে আস্থা ও সমঝোতার সম্পর্ক তৈরি করতে হয়, যাতে আমাদের সীমাবদ্ধতা ও সমস্যাগুলো তারা উপলব্ধি করতে পারে। সেই উপলব্ধি থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মনে করেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জায়গা দেবেন। তিনি আমাদের থানার জন্য জায়গা দিয়েছেন। এ জন্য আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাই।’

শহীদুল হক বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় হাজার হাজার লোক বাস করে। ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে এখানে। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দরকার। এ কারণেই আমরা থানা করতে চেয়েছি। থানার জায়গা চেয়ারম্যান মহোদয় দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, থানা হলে এ এলাকার জনগণ নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী দিনেও জনস্বার্থের জন্য আমরা এক সঙ্গে কাজ করে যাব।’

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছি। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পুরোটাকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) অধীনে নিয়ে আসব। যাতে আবাসিক এলাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এলাকায় পরিণত হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি বসুন্ধরা গ্রুপের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করছি, দেশের জন্য, জননিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ও বসুন্ধরা গ্রুপের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

ট্রাফিক পুলিশকে ২৫ হাজার মাস্ক দিলো বসুন্ধরা গ্রুপ

নয়াদিগন্ত ।। ০৫ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম থেকেই দেশ ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশকে মাস্ক প্রদান করেছে দেশের এ শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপপুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (উত্তর) মো: সাইফুল হকের কাছে মাস্কগুলো হস্তান্তর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর ও গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাসভীর।
এ সময় উপপুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (উত্তর) মো: সাইফুল হক বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত মাঠে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। বসুন্ধরার দেয়া মাস্কগুলো এই দুর্যোগের সময়ে অনেক উপকারে আসবে।
এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দিন-রাত কাজ করে ট্রাফিক পুলিশ। করোনাভাইরাসের এই বিপজ্জনক সময়ে এই বাহিনীটি মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে। সড়কের যান চলাচল তাদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
আমরা ট্রাফিক পুলিশকে মাস্ক দিতে পেরে আনন্দিত। পরবর্তীতে পুলিশকে যেকোনো সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বিজ্ঞপ্তি।

যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তাদের উচ্চ মহলের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের থাকে ওঠাবসা। কোনো না কোনো উছিলায় তার সবসময় সরকার ঘনিষ্ট থাকতে পছন্দ করে। পাশাপাশি দেশী বিদেশী ডেলিগেটদের সাথেও রয়েছে তাদের ছবি। এর মধ্যে দুই দফায়— লন্ডনে এবং ঢাকায় ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি এবং চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের বিষয়টি যথেষ্ট কৌতুহলোদ্দীপক।

ওবায়দুল কাদেরের সৌজন্য সাক্ষাৎ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডির সঙ্গে

দেশ রূপান্তর ।। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩

বসুন্ধরা গ্রুপআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বাসভবনে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা পরিবারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এএম জাহাঙ্গীর আলম।

বসুন্ধরা এমডির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন’ টিমের সাক্ষাৎ

বাংলা নিউজ ।। মার্চ ২০, ২০২৩

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের পাঁচ এমপির নেতৃত্বে ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন টিম।

রোববার সন্ধ্যায় তারা বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাসবভবনে সাক্ষাৎ করতে আসেন।

বসুন্ধরা গ্রুপ

এ সময় তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখায় বসুন্ধরা গ্রুপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তার অসামান্য নেতৃত্বের জন্য অভিনন্দনও জানান তারা।

আলোচনায় বসুন্ধরা গ্রুপের সামাজিক উদ্যোগ ও ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে বিপুল কর্মসংস্থানের জন্য গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের অবদানও তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের এই প্রতিনিধি দল।

ব্রিটিশ এমপিদের নিয়ে গঠিত ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- পল ব্রিস্টো এমপি, পলেট হ্যামিল্টন এমপি, অ্যান্থনি হিগিনবোথাম এমপি, মিসেস জেন ম্যারিয়ন হান্ট এমপি, টমাস প্যাট্রিক হান্ট এমপি, কাউন্সিলর আলেক্সান্ডার টার্নার ব্রেন্টউডসহ কমনওয়েলথের ক্লিয়ার ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের পরিচালক রডনি ফ্লাওয়ার, লাইভ টেস্টিং সলিউশন্সের সিইও মিসেস জো লি, জেডআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর হুসেন এমবিই, এসএমআর-এর ভাইস চেয়ার আইভেলিনা বানিয়ালিভা, পস স্পাইস লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশি ইয়াং ট্যালেন্টের প্রতিষ্ঠাতা জোবায়ের আলম।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবসায়িক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, কৌশল, বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি, উৎপাদন ও টেকসইতায় প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সু-সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সফরে আসায় যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন জেনে দারুণ উচ্ছ্বসিত হন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সায়েম সোবহান আনভীর যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্য টমাস হান্টও একই স্কুলের ছাত্র। গোটা আলোচনায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মূলত, জেডআই ফাউন্ডেশন ও এসএমআর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর হুসেন এমবিই-এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছে ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারিয়ান ডেলিগেশন। তারা বাংলাদেশে মেন্টাল হেলথ সেন্টার খোলার বিষয়ে এই সফরে এসেছেন।

এর আগে ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিনিধি দল তারও প্রশংসা করেন। এছাড়া পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা বাংলাদেশে একটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির সাক্ষাৎ

ঢাকা টাইমস ।। ০৪ নভেম্বর ২০২০

বসুন্ধরা গ্রুপ
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সায়েম সোবহান আনভীর।

ব্রিটেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। লন্ডনে এই সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন সেখানে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার গায়েত্রি কুমার।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিল্প বাণিজ্যের বিকাশে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রশংসা করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

আনভীর
গায়েত্রি কুমারের সঙ্গে সায়েম সোবহান আনভীর।

এ সময় তিনি ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আগামীতে আরো ইতিবাচক অধ্যায় তৈরি হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

পূর্বপশ্চিম ।। ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এই সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে তাঁরা কুশলবিনিময় শেষে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে তাঁরা নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপের অসামান্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রতিবেশী দুই দেশের জনগণের স্বার্থেই আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্র বাড়ানোর বিষয়ে উভয়পক্ষ ঐকমত্য পোষণ করে। এর আগে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আসন্ন সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটিয়ে আজ ঢাকা ত্যাগ করবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

Next Post

উপন্যাসঃ বহ্নিমান // দিব্যেন্দু দ্বীপ

ছেলে মেয়ে দূরে থাকায় মর্জিনার মধ্যে বর্তমানে ভয়ঙ্কর একাকীত্ব তৈরি হয়েছে। কোরআন শরীফ পড়ে, টিভিতে ইসলামীক ভাষণ শুনে দু’এক ঘণ্টা কাটলেও বাকী সময় সে যেন সারাক্ষণ অজানা কোনো ক্ষুধায় জ্বলছে। ও ঠিক ধরতে পারে না, ধরতে পারলেও ধরতে চায় না। নিজের নগ্ন শরীর দেখবেনা বলে বাথরুমের আয়না সরিয়ে ফেলেছে। ভয়ে […]
মর্জিনা

এগুলো পড়তে পারেন