ছোটগল্প: বেশ্যা // শেকস্ রাসেল

follow-upnews
0 0

জুলিয়া কেমন বন্ধু তোর? খুবই ভালো বন্ধু, প্লেটোনিক। প্লেটোনিক না ছাই, সত্যি কথা বল। সত্যিই আমার সাথে খুব নিরাপদ সম্পর্ক। ফরহাদ, তোকে আজকে খুব চমকে ওঠার মতো একটা কথা বলবো, দুঃখ পাবি না তো? তুহিন তুই যা বলবি তা আমি ধারণা করতে পারছি। তুই আমাকে চিনতে ভুল করেছিস। ফরহাদ, তুই কী ভাবছিস জানি না, তবে বিষয়টা তোকে বলবোই। কী তোর সাথে জুলিয়ার সম্পর্ক হয়েছে? কী সম্পর্ক বলতো? তুহিন, জানি। বরং তুই জানিস না। আচ্ছা, এরপর তোর সাথে আর সম্পর্ক আছে? নারে ফরহাদ, এরপর থেকে আমাকে আর পাত্তাই দিচ্ছে না। তোকে? তুহিন, আমি ওর সাথে বন্ধুত্বটা উপভোগ করি, ও-ও উপভোগ করে। ঐদিকে আমাকেও ও টেনেছিলো, আমি আগ্রহী হই নাই, কারণ বন্ধু হিসেবে ও চমৎকার, হারাতে চাইনি। ফরহাদ, আমার সাথে জুলিয়ার এ সম্পর্কের কথা শুনে তোর খারাপ লাগছে না? খারাপ লাগবে কেন? ওর সাথে এটা নিয়ে আমি গল্পও করি, এরকম সম্পর্ক ওর কাছে ডালভাত, জাস্ট শারীরিক চাহিদা। সি হ্যাজ নো প্রিজুডাইজ। তুহিন, তুই কি প্রেমে পড়েছিস নাকি? না, তবে একটা গোলকধাঁধায় পড়েছি। তাতো পড়বাই, পাঠা হলে এরকম গোলকধাঁধায় পড়তে হয়। অথচ জুলিয়ার সাথে আমার সম্পর্কটা অসাধারণ, ওর ব্যক্তিগত ও জগৎ সম্পর্কে আমি কোনো আগ্রহই দেখাইনি, কিন্তু ও আমাকে এতটা বিশ্বাস করে যে, সবকিছু বলে। আমি টাকার সমস্যায় আছি শুনে গত পরশুদিন কী বললো শুনবি? বল। বললো- এক পলিটিক্যাল বুড়ো নাকি অনেকদিন ধরে পিছে লেগে আছে, ও চুজি বলে এড়িয়ে চলে। কিন্তু আমার জন্য তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা আনবে। ফরহাদ, ও এতটা খারাপ তুই কখনো বলিসনি তো! খারাপ কেন বলছিস, ও চুরি করছে না, ডাকাতি করছে না, বরং মানুষকে ও খুব হেল্প করে। তোকে কি ও ট্রাপ করেছে, নাকি তুইই পাঠার মতো এগিয়েছিস? আমিই এগিয়েছি, তাই বলে…। বলে টলে আবার কী? যা চাইছো পাইছো, ও-ও পাইছে, কাহিনী খতম। বিচার বিশ্লেষণে বসতে চাচ্ছো কেন? ফরহাদ, তুই যাই বলিস না কেন জুলিয়া আসলে বেশ্যা। আর তুই? শোন, তুই তো ধর্মীয় বিষয়টা অত মানিস না। মেয়ে প্রলোভন দেখালে দোষ তার। আমার এখানে কোনো দোষ নাই। শোন ফরহাদ, এই খানকিকে নিয়ে তুই আমার সামনে আর আসবি না। তুহিন, এটা তোর কেমন ধর্ম হলো রে? ভালোবেসে বিছানায়ও গেলি, আবার গালিও দিচ্ছিস। এটা তো অনেক মহৎ একটা সম্পর্ক, ভালো না বেসে কারো সাথে এটা করা যায়, একবারের জন্য হলেও? যার সাথে এটা করেছিস তাকে নূন্যতম সম্মানটুকু কর। ফরহাদ, তুই ধমকর্ম করিস না, বুঝিসও না, তুই যা-ই বলিস জুলিয়া হচ্ছে একটা বেশ্যা।


অসমাপ্ত

Next Post

ধারাবাহিক উপন্যাস: বিচারক // দিব্যেন্দু দ্বীপ

১ এক ভিক্ষুক মা তার পাঁচ বছরের সন্তান নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছে। মায়ের একটা হাত নেই। মেয়েরও একটা হাত নেই। পাষণ্ড বাবা মা মেয়ের হাত কেটে ফেলে এখন পলাতক আছে। মায়ের বাম হাত নেই, মেয়ের নেই ডান হাত। মেয়ের বয়স ছয় বছর, এই বয়সেই একটা গাট্টি তাকে বয়ে বেড়াতে হয়। […]
উপন্যাস