২০০১ সালের নির্বাচনের পর পর গণধর্ষণের শিকার হন পূর্ণিমা রাণী শীল। পূর্ণিমা রাণী শীলকে নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
২০০১ সালের ১০ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমাকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তারান লেখেন, “মনে পড়ে সেই পূর্ণিমাকে? ২০০১ এর ১ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো ১৪ বছরের মেয়েটি। হ্যাঁ, আমি সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা শীলের কথা বলছি। আজ আমি গর্বিত, আমি পূর্ণিমাকে আমার ‘পার্সোনাল অফিসার’ হিসাবে নিয়োগ দিলাম। পূর্ণিমা, তোমাকে আমরা ভুলে যাইনি। জীবনের অন্ধকার রূপ তুমি দেখেছো, আলোর জগতে তোমায় স্বাগতম… শুরু হোক নতুন পথচলা। তোমাকে অভিবাদন প্রিয় পূর্ণিমা।”
পূর্ণিমা পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় গান শিখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “পূর্ণিমার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহায়তা করেছেন। পূর্ণিমা জানিয়েছে, সে প্রধানমন্ত্রীকে মামনি বলে সম্মোধন করে।”
ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি। তাতে পূর্ণিমার প্রতি তারানার ভালোবাসার প্রকাশ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বধীন চারদলীয় জোট বিজয়ী হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত হয় হিন্দু সম্প্রদায়, এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা। ধর্ষণকারীরা সবাই চারদলীয় জোটের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালের ৪ মে এই ধর্ষণ মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে আদালত।
ছবি: তারানা হালিমের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।