কবিতাটি মূলত একটা ছবির ক্যাপশন
মানব জনম বৃথা গেল। বন্য হয়ে রাজপ্রাসাদে, অহংকারে, রাজ্যভারে গোলাম হয়ে রই! ট্রেনের একটা বগি হতাম যদি হন্যে হয়ে তোমার পথে বেয়ে বেয়ে করতাম হইচই। দিব্যেন্দু দ্বীপ কবিতাটি মূলত নিচের ছবির ক্যাপশন হিসেবে লেখা।
মানব জনম বৃথা গেল। বন্য হয়ে রাজপ্রাসাদে, অহংকারে, রাজ্যভারে গোলাম হয়ে রই! ট্রেনের একটা বগি হতাম যদি হন্যে হয়ে তোমার পথে বেয়ে বেয়ে করতাম হইচই। দিব্যেন্দু দ্বীপ কবিতাটি মূলত নিচের ছবির ক্যাপশন হিসেবে লেখা।
শান্তি নগরের ট্রেন কুয়াশায় ভাসা ধূসর চাঁদে ঝুলে আছে কু-কথাদের কুন্দল; হিমাঙ্কের খাঁচায় বন্দি হয়ে আছে দূরাগত শব্দের তাল লয়। মেয়েটির নীল আঁচলে চিমটি কেঁটে যায় শান্তিনগরের ট্রেনের হুইসেল! রবীঠাকুরের গানের পাশ ঘেঁসে মেয়েটি হাঁটে পাল ছেঁড়া হাওয়া এসে সানাই বাজিয়ে যায় ঝরাপাতার শরীরে মৌনতা বেড়ে যায় প্রকৃতির। রাতের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকে স্মৃতির শহর দহন…
ইলেকশন ইলেকশন মিশন গুজরাট পদ্মাবতী হিন্দি ছবি দেশ জুড়ে বিতর্কের হাট। পদ্মাবতী পদ্মাবতীর ইতিহাস লঙ্ঘন তথ্যের কারচুপি নেইকো সমর্থন। -কি করে জানলে দেখেছ ছবি? -না! বলেছে এক রাজপুত কবি। আলাউদ্দিন এর সাথে রানীর স্বপ্নে প্রেম সিকোয়েন্স; স্বল্প পোশাকে ঘূমর নাচে মান মর্যাদা ডিস ব্যালেন্স। -দীপিকার নাক কেটে নাও সঞ্জয় লীলার কাটো মাথা। -গণতন্ত্রে বলার অধিকার…
কান্নাগুলো লজ্জাবনত হয়ে হৃদয়ে গচ্ছিত থাক। কথা দিয়েছি ওদের, ডালা ডালা সুখ ঢেলে মেপে মেপে সমান করে নেব একদিন তোমাদের ঠিকই। তবু ওরা মাঝে মাঝে ফুসরত খোঁজে নিষ্ক্রান্ত হবার, যেমন কোনো শিশু হাতছানিতে পিছু নেয় অপহরণকারীরও! পৃথিবীর সকল শক্তি জড়ো করে মাথাটা উঁচু করি, ছোটবেলায় দেখেছিলাম পিতাকে ঝড়ে কাঁত হয়ে পড়া প্রিয় কমলা লেবু গাছটাকে…
বহুদিন হল তাকে দেখি না কোথাও, একলা পায়ে হেঁটে পার হই বলেশ্বরের ব্রিজ, টগরার শুন্য ফেরিঘাটে একঘেয়ে জলের ঝাপট। ভবদহ বিলে রিক্ত কৃষকের ভীড়, প্রবল জোয়ারে ভাসা বেড়ি বাঁধে বালি ফেলা ত্রস্ত পায়ের মিছিল, প্রতুলের গান, সকালের খোলা ময়দান, কোথাও সে নেই, বহুদিন! দেয়ালের ছবিতে যায়নি মালা দেয়া। যে মৃত্যুতে কখন যায় না শোক করা–…
একদিন জামালপুর যামুগা রেলের ছাদে চাইপা, হালার ফালাইয়া থুইয়া এই সোনামোড়া জীবন। একদিন বাদামের খোসা উড়াইয়া দিয়া বাতাসে আমি কমু, তুমরা সক্কলে মিছা কতা কইছ আমার লগে। একদিন তোমাগো আলগা পিরিতের পালগা মলমে ছ্যাপ দিয়া কমু, মিয়া অফ যাও যত মিছা কতা … প্লাবন ইমদাদ কবি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা জেলা প্রশাসন
শহরটা রত স্বমৈথুনে। নদীটাও দেখি নাঙ্গা। চাঁদের মুখেকালিমার ছাপ। তক্ষক চোখ রাঙ্গা। একাকার লাগে নদী-পথ-ঘর-আকাশ-পুকুর-ডাঙ্গা। আঁতলামী আর মাতলামী মিলে অনুভূতি বেশ চাঙ্গা। আমার মনে-মননে সংকীর্ণতা, হৃদয়ের বাড়ী ভাঙ্গা। অন্তরে ক্ষরা, দু’চোখে প্লাবন, দেহ-মন জুড়ে মঙ্গা। ২৮/১০/১৫ অনুপম শেখর মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট
ইউরোপের কোনো সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হতে পারত আমার। হতে পারত সোমালিয়ার কোনো গৃহহীন নর-নারী আমার মানব জনমের জন্য দায়ী। জানি না, কোন পাপ পূণ্যের বিচারে ভাগ্য-বিধাতা এ জনমে আমাকে আনলেন এক মধ্যবিত্তের ঘরে। পারি না চন্দ্রালোকে পাড়ি জমাতে, না পারি এখন মুখ লুকাতে। চাওয়া কিছু যে পূর্ণ করতে পারি না তাও নয়, তবে…