শুক্রবার ছুটির দিন ঘোষণা করেছিলেন কে?

follow-upnews
0 0

বেশিরভাগ মুসলিম দেশে শুক্রবার ছুটি থাকে, এই দিনে মুসলমানরা সবাই একত্রিত হয়ে জুমার নামাজ আদায় করে থাকে। তবে বাংলাদেশে প্রথমে শুক্রবার ছুটি ছিল না, উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে ছুটি ছিল রবিবার। 

দেশের রাজনীতিতে আলোচিত নাম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিরি রাষ্ট্রপতি হিসেবে একটানা ৯ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন। এ সময়কালে তিনি নানান রকমের আইন তৈরি করে গেছেন।

গত ২২ জুন থেকে ৯০ বছর বয়সী এই সেনা শাসক রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। তিনি হিমোগ্লোবিন-স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে এ দেশের জনগণের পছন্দনীয় যে কাজগুলো রয়েছে তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো–প্রথম চারটি বিষয়কে দেখা হয় বিতর্কিত বিষয় হিসেবে। এই চারটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

১। ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম করেছিলেন।

২। শুক্রবারকে ছুটির দিন ঘোষণা করেছিলেন।

৩। মসজিদ মাদ্রাসার বিল মওকুফ করেছিলেন।

৪। টিভিতে আজান প্রচারের নিয়ম করেছিলেন।

৫। উপজেলা পদ্ধতি চালু করেছিলেন।

৬। গুচ্ছগ্রামের প্রবর্তন করেছিলেন।

৭। বলেছিলেন ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ প্রত্যুষে বাংলাদেশে সামরিক আইন জারি করে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে দেশের কর্তৃত্ব নেন।

সামরিক ফরমান জারি করার পর জাতীয় সংসদ ও প্রেসিডেন্টসহ মন্ত্রিপরিষদ বাতিল করে সংবিধানের কার্যকরিতা স্থগিত ঘোষণা করেন জেনারেল এরশাদ। এর পর বাংলাদেশের ইতিহাসে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়ের।

১৯৯০ সালের এই দিনে, ৬ই ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’, বিএনপি ‘গণতন্ত্র দিবস’ এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই দিনকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবেও পালন করে থাকে।

১৯৩০ সালের দুই জানুয়ারি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্ম নেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তাকে কারাগারে যেতে হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনের মধ্য দিয়ে তার কারামুক্তি হয়।

এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ডা. শামসুল আলম মিলনকে হত্যা করে পুলিশ। প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ পেশাজীবী সংগঠন দিবসটি পালন করে। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই এরশাদের পতনের যাত্রা শুরু হয়।

Next Post

শাহিদা সুলতানার একটি কবিতা

তখনি দরজা খুলো– আমাদের আয়ু বড় কম! মদির অলসতা যদি ভর করে, ফিরে যেতে হবে। রূপোলী নকশা কাটা খাম তোমাকে দেবার পাব না সময়। কাব্যগ্রন্থঃ কলাবতী ফুল
Shahida Sultana

এগুলো পড়তে পারেন