বাধাল ইউনিয়ন: উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একাগ্রচিত্তে কাজ করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান

follow-upnews
1 0

বাধাল ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয় ১৯৬০ সালে। ইউনিয়নের সীমানা: উত্তরে একই উপজেলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন, দক্ষিনে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন,  পূর্বে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন, পশ্চিমে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়ন। বাধাল ইউনিয়নের আয়তন ২০.১২কি.মি.। লোক সংখ্যা ১৭৮৭৫ জন, পুরুষ ৯৮৫২ জন, মহিলা ৮০২৩ জন। বাধাল ইউনিয়নে ১৬টি গ্রাম রয়েছে।

গ্রামের নাম:

বিলকুল, সাংদিয়া, আফরা, পানবাড়িয়া, আবাতা, আঠারোগাতী, কিচমত পিংগড়িয়া, যশোরদী, পিংগড়িয়া, কলমিবুনিয়া, শাখারীকাঠী, রঘূদত্তকাঠী, আলোকদিয়া, নজদিক পিংগড়িয়া, মসনী, বাধাল।

ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী:

১। নাগরিক দায়িত্ব:

(ক) আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে প্রশাসনকে সহায়তা করা।

(খ) অপরাধমূলক কার্যকলাপ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও চোরা চালান বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ।

(গ) কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, সেচ ও  বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহনের উদ্দেশ্যে কর্মসূচীর বাস্তবায়ন এবং জনগনের অর্থনৈতিক উন্নতি কল্পে যা প্রয়োজন তা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ।

(ঘ) পরিবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করা।

(ঙ) সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করা।

(চ) ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মতৎপরতা পর্যালোচনা করে সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সুপারিশ পেশ করা।

(ছ) সেনিটারি পায়খানা স্থাপনের জন্য জনসাধারণের মধ্যে আগ্রহ ও সচেতনতা সৃষ্টি।

(জ) জন্ম, মৃত্যু, অন্ধ, ভিক্ষুক ও দুস্থ ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য রেকর্ডভূক্ত করা।

২। পুলিশ ও প্রতিরক্ষা দায়িত্ব:

(ক) গ্রামে রাতে পাহারার ব্যবস্থা গ্রহণ।

(খ) মাদক দ্রব্য সেবন রোধকল্পে গৃহীত ব্যবস্থা।

(গ) সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা দায়িত্ব পালন।

৩। রাজস্ব ও প্রশাসনিক দায়িত্ব:

(ক) ইউনিয়নে কার্যরত ব্যবস্থা আদায়ের কাজে নিয়োজিত সকল সরকারি কর্মচারিকে সহযোগিতা করা।

(খ) জেলা প্রশাসক যেভাবে চাইবেন সেভাবে রেকর্ড পত্র প্রণয়ন জরিপ ও শষ্য তদারকি।

(গ) অপরাধ সংঘটিত হলে এবং ইউনয়িনে কোন দুষ্কৃতিকারী উপস্থিতি দেখা গেলে তা পুলিশকে জানানো এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করা।

(ঘ) সরকারি সম্পত্তি বেদখল, ক্ষতি হলে দ্রুত তা কতৃপক্ষকে জানানো।

(ঙ) সরকারি প্রচারমূলক কাজে সহায়তা করা।

(চ) সরকারি কর্মকর্তাগণকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা।

৪। উন্নয়ন মূলক দায়িত্ব:

(ক) কৃষি উন্নয়ন।

(খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন।

(গ) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।

(ঘ) সামাজিক কর্মকাণ্ডের মান উন্নয়ন।

(ঙ) কুটির শিল্পের মান উন্নয়ন।

৫। আদালত বা বিচার সংক্রান্ত দায়িত্ব:

(খ) লিখিত অভিযোগ নেওয়া।

(খ) গ্রাম্য আদালত ভুক্ত দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার বিচার করা।

(গ) বিচারের পর জরিমানা প্রাপ্য ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়া।

এছাড়া গ্রামভিত্তিক উন্নয়নের জন্য গ্রাম্য জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র জনগনের দারিদ্রতা দূর করার জন্য করনীয় দায়িত্ব পালন করা।

 

Next Post

“বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করুক”

গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় এই মুহূর্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববাসীর চোখ এখন কাশ্মীরের দিকে, কী হবে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরিণাম? ৫ আগস্ট ২০১৯ ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারাটি বাতিল করেছে দেশটির সরকার। ফলে কাশ্মীর এখন থেকে কেন্দ্র শাসিত। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত […]
কাশ্মীর