কচুয়ায় অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ নাগরিক মত বিনিময় সভা

follow-upnews
0 0


গতকাল ২৩ আগস্ট ২০১৮ তারিখে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো উপজেলায় একটি অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকল্পে বিশেষ আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় উদ্যোক্তা, সাধারণ জনগণ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ তাঁদের বক্তৃতায় স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা আমাদের দেশের মতো একটি দরিদ্র দেশের সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় বলে অনেকে মনে করেন।

এ প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার এ উদ্যোগটিকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন। জানা যায়, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ডাক্তার রয়েছেন পাঁচজন। অপরদিকে কচুয়ার লোকসংখ্যা লক্ষাধিক। এই লক্ষাধিক লোকের জন্য মাত্র পাঁচজন ডাক্তার কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কোনো ধরনের প্যাথোলজি সুবিধা না থাকার বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনা থেকে।  

এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে প্রাথমিক ঐক্যমতে পেঁৗছানো সম্ভব হয়েছে। জায়গা দানকারী ভাইদের মায়ের নামে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির নামকরণ হয়েছে হাজেরা খাতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র এটি হবে একটি পাবলিক লিমিটেড প্রতিষ্ঠান, অর্থাৎ জনগণই এ প্রতিষ্ঠানের মালিক। থাকবে সকল ধরনের উন্নত প্যাথলজি সুবিধা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসে এখানে চিকিৎসা দেবেন। জনসাধারণ যৌক্তিক ফি দিয়ে মানসম্মত চিকিৎসা নেবে, কোনো ধরনের হয়রানির বিষয় থাকেবে না, সে সুযোগ থাকবে না। 

তাছাড়া যে ধরনের মানবিক চেতনা এবং দায়বদ্ধতা থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তাতে নিঃসন্দেহে এটি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে স্থানীয় সচেতন জনগণ মনে করছেন।

প্রথম পর্যায়ে এলাকার বিত্তশালী এবং সচেতন মানুষ এ কাজে এগিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ অনেকেই অর্থ প্রদানে এগিয়ে এসেছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সম্পর্কে যে কোনো তথ্য জানতে ফোন করতে পারেন এই নম্বরে- ০১৭১৬ ৪৭ ৩৬ ৯৪

Next Post

কচুয়ার ওপর একটি গবেষণাধর্মী বই প্রণয়ন প্রসঙ্গে

আমাদের কচুয়া ইতিহাস ঐতিহ্য স্থাপনা । । সমস্যা ও সম্ভাবনা । । কৃতি ব্যক্তিত্ব মাঠ গবেষণার মাধ্যমে বইটির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কচুয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং স্থাপনার ওপর আলোকপাতের পাশাপাশি বইটি হবে ইউনিয়নভিত্তিক, অর্থাৎ প্রিতিটি ইউনিয়ন হবে একটি শিরোণাম, অধীনে উপনাম থাকবে। কচুয়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাৎকার […]
আমাদের কচুয়া