খুনিরা থেকে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে

follow-upnews
0 0

জ্যাক দ্যা রিপার এবং জদিয়াকের নাম অনেকের হয়ত জানা আছে। ঐ নামেই তারা খুন করত। কোনদিন তাদের হদিস পাওয়া যায়নি। এরকম আরও অনেক খুনের ঘটনা রয়েছে যার কূলকিনারা হয়নি কোনোদিন।

১. রিপারঃ ১৯১১-১২ সালের ঘটনা। লন্ডনের আটলান্টা নামক ছোট একটি শহরের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল রিপার। ১৫ থেকে ২১ জন আফ্রিকান-আমেরিকান নারীকে রিপার একই কায়দায় (ভোতা অস্ত্র দিয়ে মাথায় এবং মুখে আঘাত করে) খুন করেছিল।

২. স্টোনম্যানঃ ১৯৮৯ সালে স্টোনম্যান নামের এই ব্যাক্তি এক নাগাড়ে ১৩ জনকে খুন করেছিল। এই ব্যাক্তি খুন করত পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রিপাররের মত স্টোনম্যানও সমাজের নিচুতলার মানুষদের খুন করেছিল। ফুতপথে ঘুমিয়ে থাকা নিঃস্ব মানুষদের খুন করত স্টোনম্যান নামে পরিচিতি পাওয়া এই খুনি। কোলকাতার অনুকরণে বোম্বেতে এই ঘটনার পুনারিব্রিত্তি হয়েছিল। একই কায়দায় বোম্বেতে খুন করা হয়েছিল ১২ জনকে।

৩. হনলুলু এস্ত্রেংলারঃ পাঁচ জন নারীকে একে একে খুন করেছিল হাওয়াই দ্বীপের এই খুনি। ১৯৮৫ সালে একই কায়দায় এই পাঁচটি খুন সে করে। প্রথমে রেপ করত, তারপর পিছনে হাত বেঁধে গলা টিপে হত্যা করত।

৪. দ্যা কলনিয়াল পার্কঅয়ে কিলারঃ ১৯৮৬ সালের ঘটনা। ভার্জিনিয়ার একটি পার্কে এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটে। এই খুনির টার্গেট ছিল কাপল। গলা কেটে হত্যা করত সে। ধরা পড়েনি কোনদিন।

৫. দ্যা ফ্রিওয়ে ফ্যান্তমঃ ১৯৭০ সালের ঘটনা। ওয়াশিংটন ডিসির এই খুনি আফ্রিকান আমেরিকান টিন এজ বালিকাদের রেপ করার পর খুন করত। একে একে ছয় জনকে হত্যা করে নিরাপদে ছিল সে।

৬. দ্যা আই -৭০ কিলারঃ এই খুনির নেশা ছিল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে খুন করা। কিছু নিয়ে যেত না। খুন করে চলে যেত। আমেরিকার বিভিন্ন শহরে গোটা দশেক খুন করেও ধরা পড়েনি কখনো।

৭. কানেক্তিকুট রিভার ভ্যালি কিলারঃ ১৯৭৮ সালে পুনঃ পুনঃ ছোরা মেরে মহিলাদের খুন করত। কানেক্তিকুট এবং নেউ হ্যামশায়ারের সাত জন নারীকে একইভাবে খুন করে অজানা এই খুনি।

৮. চার্লি চপ-অফফঃ ১৯৭২ সালের ঘটনা। আফ্রিকান আমেরিকান বালকদের ধরে পেনিস কেটে হত্যা করা হত। ৭৪ সাল পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ড চলতে থাকে। যদিও একজন সন্দেহভাজনকে ধরা হয়েছিল, খুনিকে সনাক্ত করা যায়নি কোনদিন।

৯. দ্যা ফ্রাঙ্কফর্দ স্লাশারঃ ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সালে ফিলাদেলফিয়াতে এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটে। পঞ্চাশ থেকে ষাট বছরের মহিলাদের খুন করত এই খুনি। খুনি আক্রান্তের কাপড় কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত খুলে ফেলত, ব্লাউযটা তুলে দিত উপরে। এভাবে সে নয়জনকে খুন করেছিল।

১০. ইস্ট আরিয়া রেপিসটঃ ১৯৮০ লস এঞ্জেলসের এই খুনি সবার নজর কাড়ে। প্রথমে সে কাপলদের খুন করত। এর দশ বছর পর একা মহিলাদের ঘরে ঢুকে রেপ করত। এরপর কাপলদের ঘরে ঢুকে পুরুষ সদস্যকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে রেপ করত। DNA টেস্ট থেকে জানা যায় লস এঞ্জেলসের খুনি এবং পরের এই রেপিস্ত একই ব্যাক্সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসকেও কি হার মানাচ্ছে বাংলাদেশ?

Next Post

দিব্যেন্দু দ্বীপের কবিতা: জন্মাব আমি কারবালায়

লড়াই বিদ্রোহ নয়, এ লড়াই বাঁচবার বিক্ষোভ নয়, এ লড়াই বাঁচাবার বিদ্বেষ নয়, এ লড়াই ভালবাসার বিপন্নতা নয়, এ লড়াই জেগে উঠবার ক্রোধ নয়, এ লড়াই শান্ত হবার হারাবার নয়, এ লড়াই স্বপ্ন বাঁচাবার লুব্ধ হৃদয়ে লস্থির নয়, এ লড়াই নির্লিপ্ত নয়নে জীবনের গান গাইবার।   জন্মাব আমি কারবালায় জন্ম […]
দিব্যেন্দু দ্বীপ