আপনজনকে সময় দিন -উৎপলা বিশ্বাস

follow-upnews
1 0

একটা ২০ বছরের তরতাজা ছেলে, ইনসেকটিসাইড খেয়েছিল আত্মহত্যা করবে বলে। ‘দুর্ভাগ্যবশত’ সে মরেনি, আবার ঠিক বেঁচেও নেই, জীবন আর মৃত্যুর সংযোগকারী সূক্ষ্মতম তন্তুটির উপর ঝুলে রয়েছে।

কোমায় থাকা ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করার কোনো উপায় নেই। থাকলে বলতাম, তুমি কেন এই আশ্চর্য সুন্দর জীবনটাকে নিজেই শেষ করতে চেয়েছিলে?

তাকে দেখাতাম, সব কিছু শেষ হয়ে যাবার পরও জীবন কত সুন্দর, যদি তুমি সেভাবে দেখতে চাও। এখন আইসিইউতে নিয়ে কত প্রাণান্ত চেষ্টা! মনে হয়, আহা! ছেলেটির জন্য তার পরিবারের লোকজনদের কত দরদ।

হয়তো তারা সত্যিই খুব দরদী। কিন্তু আমরা সবাই সঠিক সময়ে এই দরদমাখা মরমী স্পর্শে তাদের পিঠে হাত রেখে বলতে পারি না বা বলি না, “কিচ্ছু হয়নি। সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা আছি তোমার সাথে।”

খুব কষ্ট হয়। জানি না আমার বন্ধুতালিকায় কারা কারা আছেন, আর কারা কারাই বা আমার লেখাটি পড়ছেন। প্লিজ, আপনার পরিবারের কাউকে হতাশাগ্রস্ত দেখলে তাকে উপহাস করবেন না, তার হতাশার কারণটি খুঁজে বের করুন। তার বন্ধু হোন। তাকে কিছু চমৎকার সময় উপহার দিন।

মানুষ আজকাল এত যান্ত্রিক হয়ে গেছে যে মন খুলে কথা বলারও কেউ নেই আশেপাশে। ফলে ইয়াবার নেশার জগতে ইউটোপিয়ায় বুদ হয়ে থাকা, হোক সেটা মিথ্যে আনন্দ কিন্ত যে কষ্টে আছে তার কাছে হয়তো সে মিথ্যে আনন্দে ডুবে থাকাটাই ভাল মনে হয়!

যদি কারো সত্যিকারের বন্ধু হয়ে থাকেন, তবে বন্ধুকে একটু আশার আলো প্রদর্শন করুন। হয়তো তার ভবিষ্যত ঝরঝরেই, তবু আপনার একটু খানি উৎসাহ তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

আর বেঁচে গেলে কত কী ই তো সম্ভব! নতুন করে জীবনের মানে খুঁজে নেবে সে।



উৎপলা বিশ্বাস

Next Post

যবনিকা // পৃথা রায় চৌধুরী

অনেকখানি জুড়ে যে আছে, সে বুঝি অনধিকার র্চচার রোদ। কুলকুল এক নদী ঘাম মিশে যায় নাক টানার ঘেন্নায়। খুব বেশি হলে দমকা কাশি হাঁপ… দমবন্ধ নাটক। গতকালের চলে যাওয়া দেখা হয়নি আজও বাসের অপেক্ষায় গা ঘেঁষে দাঁড়াবার মুখোমুখি দেয়াল জুড়ে ‘অসাধারণ গণনা’… তফাৎ, ছ’পা হাজামজা। তুমি চেয়ার হয়ে আসো, তকমা […]
পৃথা রায় চৌধুরী