মুশফিকের বাবা ও চাচা হত্যা মামলার প্রধান আসামী

follow-upnews
0 0

বগুড়ায় স্কুলছাত্র মাসুক ফেরদৌস হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হামিদ তারাকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৭০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত স্কুলছাত্র মাসুক ফেরদৌসের বাবা এমদাদুল হক এমদাদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মুশফিকের চাচা বগুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবারকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। তাকে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন মামলা দায়েরর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
বগুড়া পুলিশের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, ‘আমরা মামলার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তবে বাদী পক্ষ মামলা করতে দেরি করলেও এরই মধ্যে আমরা মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছি। খুব শিগগিরই সবকিছু জানানো হবে।’

স্কুল ছাত্র মাসুক ফেরদৌস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে ।

মামলার এজাহারে মাহবুব হামিদ তারা এবং তার ছোট ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবার সঙ্গে বাদি ইমদাদুল হক ইমদাদের পারিবারিক শত্রুতা এবং মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই কারণে আসামিরা বাদি এবং তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে আসছিল বলেও অভিযোগ করা হয়। এজাহারে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগে ১১ মে রাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবার অফিসে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সেখানে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
 
বগুড়া এসওএস হারম্যান মেইনর স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মাসুক ফেরদৌসকে গত ১৩ মে রাতে শহরের মাটিডালি হাজীপাড়া এলাকায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হলেও সাফিন নামে এক কিশোরকে রেখে বাকি দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক সাফিন নিহত মাসুক ফেরদৌসের বন্ধু।
 
স্কুল ছাত্র মাসুক ফেরদৌস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবারও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মাটিডালিতে সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে এক ঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
 
মামলার এজাহারে বলা হয়, নাঈম (১৮) ও অনিক (১৯) নামে প্রতিবেশি দুই কিশোর গত ১৩ মে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাসুক ফেরদৌসকে জরুরি কথা আছে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে নাঈমের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভয়-ভীতি দেখানোর এক পর্যায়ে মাসুক ফেরদৌস রাত ৮টার দিকে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে দৌঁড়াতে থাকে। এ সময় আসামিরা লাঠি, হকিস্টিক, ক্রিকেট ব্যাট এবং ছোরা নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। এরপর ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হামিদ তারা এবং লাল মিয়া নামে অপর এক আসামি মাসুক ফেরদৌসকে জাপটে ধরে এবং অপর আসামিরা ক্রিকেট ব্যাট ও হকিস্টিক দিয়ে মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে মাসুক ফেরদৌস মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মাসুক ফেরদৌসের মৃত্যু হয়।
তবে মাহবুব হামিদ তারা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘ইমদাদের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। আমিও তার ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’

সূত্র: সমকাল

Next Post

সুনামগঞ্জে ইউপি সদস্যকে পেটালো ঠিকাদারের লোকজন

কালভার্টের কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ নেতার আত্মীয়-স্বজনরা মসজিদের ভেতর ঢুকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ইউপি সদস্যকে হাতুরি, চাকু ও রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। গুরুতর আহত ওই ইউপি সদস্যকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২/৩ দিন পূর্বে পশ্চিম পাগলা […]
ইউপি সদস্য রনজিৎ সূত্রধর