সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

follow-upnews
0 0
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফিয়া জাহানের।

হয়েছিল ডেঙ্গু জ্বর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা করিয়েছেন ব্লাড ক্যান্সারের। অতঃপর মৃত্যু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফিয়া জাহানের। এমন অভিযোগ করেছেন তাঁর সহপাঠীরা।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আফিয়া জাহানের সহপাঠী বন্ধু জিহাদ কালের কণ্ঠকে জানান, আফিয়ার জ্বর হয়েছিল। তাকে গতকাল বুধবার সকালে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

তিনি আরও জানান, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয়, আফিয়ার ব্লাড ক্যান্সারের লাস্ট স্টেপ চলছে। তাঁর রক্তের প্রয়োজন। আফিয়াকে তখন আইসিইউতে নিয়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর কিছুক্ষণ পর তারা জানান, আফিয়ার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। তারপর আফিয়ার মৃত্যু হয়।

আফিয়ার বান্ধবী আয়েশা কালের কণ্ঠকে জানান, সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর ভুল চিকিৎসার কারণেই আফিয়ার মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে তারা আফিয়ার ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করিয়েছে। তারপর তারা বলে আফিয়ার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

আফিয়া জাহান আজিমপুর থাকতেন ও তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠী মনির।

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ফোন করলে টেলিফোন অপারেটর ফাহিম হাসান কালের কণ্ঠকে জানান, এই মুহুর্তে কর্তৃপক্ষের সবাই এই ঘটনা নিয়েই ব্যস্ত আছেন। ব্যস্ত থাকার কারণে এই মুহূর্তে কাউকেই লাইন দেওয়া সম্ভব নয়।

পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহেল কাফী কালের কণ্ঠকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আফিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। গতকাল সন্ধ্যায় আফিয়া ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তখন ডাক্তাররা বলেছিলেন আফিয়ার লিউকোমিয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ীই তাকে চিকিৎসা করা হয়েছে। আজ তারা বলেছে তার ডেঙ্গু হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, এই ধরণের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের কারণে শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়েছে, ভুল চিকিৎসার কারণে সে মারা গেছে। এজন্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

ঘটনার বিষয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে জানান, খুব খারাপ অবস্থা নিয়ে রোগী আগের দিন সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাতে রক্ত পরীক্ষা করলে তাতে ব্লাড ক্যান্সার শনাক্ত হয়। কিন্তু রোগীর চিকিৎসা শুরুর আগেই আইসিইউতে নেওয়ার পর সে মারা যায়। সম্ভবত তার ইন্টারনাল ব্লিডিংও ছিল।

তার ডেঙ্গু হয়েছিল কি না-এ প্রশ্ন করা হলে অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ক্যান্সারের এ রকম অনেক রোগী পাই যাদের প্লাটিলেট খুব কম থাকে। ক্যান্সার হলেও প্লাটিলেট কমে যায়। তাই প্লাটিলেট কম বলে তার ডেঙ্গুই হয়েছে, এটা বলা কঠিন।


সূত্র : কালের কণ্ঠ

Next Post

চুকনগর বধ্যভূমি: দশ হাজার মানুষকে বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছিল যেখানে

২০ মে খুলনার চুকনগর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ১০ হাজার নিরীহ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৬ বছর পার হলেও বধ্যভূমিটিতে পূর্ণাঙ্গ একটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়নি এখনো। সকল শহীদের নামের তালিকাটিও স্পষ্টভাবে নেই, স্বীকৃতিও দেয়া […]
২০ মে চুকনগর বধ্যভূমি দিবস