সকল শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান

follow-upnews
0 0

বিভিন্নস্তরের পাঠ্য বইয়ে ৭১-এর গণহত্যার পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরা জাতীয় দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে ‘উচ্চশিক্ষা কারিকুলামে ’৭১-এর গণহত্যা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির এবং পাকিস্তানের দুজন গবেষক আনাম জাকারিয়া ও হারুন খালিদ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
 
সভাপতির বক্তব্যে ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতির নজিরবিহীন আত্মত্যাগ ও পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর গণহত্যা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শিক্ষা কারিকুলামে সঠিক চিত্র গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। তিনি বলেন, এ ধারণা থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা কারিকুলামে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শীর্ষক একটি পূর্ণ কোর্স সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক পাঠ্য হিসেবে চালু করা হয়েছে।
 
আলোচনা সভায় শাহরিয়ার কবির বলেন, যে-কোনো সংজ্ঞা বিচারে ৭১-এ পাকিস্তানি বাহিনীর নির্বিচার বাঙালি হত্যা ছিল একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার হত্যাকান্ড বা জোনোসাইড। পাকিস্তানের উচিত ছিল বহু পূর্বেই এ জন্য বাঙালিদের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।
 
পাকিস্তানি দুই গবেষক মিস আনাম জাকারিয়া ও হারুন খালিদ বলেন, ৭১-এ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ড ছিল মানবতার বিরোধী অপরাধ। কোনো অবস্থায়ই কোনো মানুষ অপর কোনো মানুষের ওপর এরূপ হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না।
 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ’৭১-এর গণহত্যার ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর নোমান উর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


 
#সূত্র: অনলাইন
Next Post

বড় গল্প: কোথাও নেই (দ্বিতীয় পর্ব)

মাওয়া ঘাট একটা অদ্ভূত জায়গা, লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন যাওয়া-আসা করছে এখান দিয়ে, কিন্তু রেস্টুরেন্টগুলো ফাঁকা। খুব বেশি মানুষ খায় না এখানে, এত দাম দিয়ে খাবেই বা কেন? তাছাড়া বাঙ্গালী পথে দাঁড়ায় না, শুধু গন্তব্য খোঁজে, পথই যে মানুষের সর্বপ্রধান গন্তব্য আমরা এটি বুঝতে পারলাম না কোনোদিন। আমি এই শেষ […]
river