হাসনা হেনা
জন্ম : ১৩ই আগষ্ট ১৯৮০
জন্মস্থান : শ্রীপুর , গাজীপুর, ঢাকা।
স্কুল : মাওনা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (শ্রীপুর), টেপির বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (শ্রীপুর), শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (শ্রীপুর)।
পেশা : শিক্ষক
- আপনি কেমন আছেন?
ভালো আছি।
- বর্তমানে কী লিখছেন?
কবিতা , গল্প , উপন্যাস ।
- আপনি লেখার ক্ষেত্রে কি কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন?
না, নিয়মের মধ্যে থেকে কোনো কিছু আমার পছন্দ নয় ।
- সাধারণত কোন সময় লেখেন?
সারাদিন পারিবারিক ব্যস্ততা থাকে, তাই রাতে লিখতে হয় । অনেক সময় ফ্রি থাকলে দুপুরেও লিখি।
- আপনার কি মনে হয় যে পরিবারে থেকে লেখা কঠিন?
কিছুটা কঠিন । তবে আমার মনে হয়, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।
- আপনার এ পর্যন্ত কয়টি বই বেরিয়েছে?
একক গ্রন্থ মোট তিনটি, কবিতার বই দু’টি, উপন্যাস একটি । যৌথ কাব্যগ্রন্থ ১১টি।
- একক তিনটির নাম বলেন-
চৈতালী বৃষ্টির অপেক্ষা (কাব্য), খেয়ালের জানালা (কাব্য), এক আকাশ ভিন্ন পৃথিবী (উপন্যাস)।
- এবারের মেলায় কোনো বই বের হবে?
উপন্যাস থাকবে- “শৃঙ্খলিত পদ্মরাগ”
- আপনি মফস্বলে থাকেন, ওখানে কোনো লেখক সঙ্ঘ আছে?
না। ঢাকায় ছিলাম। ৬মাস হলো শ্রীপুরে আসছি।
- আপনার পরিবার সম্পর্কে বলুন-
পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। আমার এক ছেলে এক মেয়ে।
- লেখালেখিতে পরিবার থেকে উৎসাহ পান?
হ্যাঁ পাই, আমার স্বামী উৎসাহ দেন না, তবে নিষেধও করেন না ।
আমার বাবা অনেক সাপোর্ট করেন । উৎসাহ দেন ।
বলতে পারেন বাবার জন্যই লেখালেখিতে টিকে আছি।
- আপনার ছেলে-মেয়ে কোন ক্লাসে পড়ে?
ছেলে ভার্সিটিতে পড়ে, মেয়ে ক্লাস টেন
- তাহলে তো কিছুটা মুক্ত আপনি, নাকি?
তা বলতে পারেন।
- বাইরে গেলে স্বামী নিষেধ করে না?
সব সময় করেন না, মাঝে মধ্যে করেন ।
আমি সাংগঠনিক কাজে অনেক জায়গায় গিয়েছি।
সামনের ২৩ তারিখে সিলেট যাবো। কবিসভা নামের একটা সংগঠনের সহ সভাপতি পদে আছি।
- সংগঠনটি পরিচালিত হয় কোথা থেকে?
এটি অনলাইন সংগঠন।
- সিলেটে আপনার সাথে আর কারা যাচ্ছে?
আমাদের সংগঠনের বাইরেও অনেক লেখক যাবে ঢাকা থেকে।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। হাসন রাজা জন্ম উৎসব।
- লেখালেখি কেন করেন?
প্রথম লেখা শুরু করি কবিতা ।
কবিতা খুব প্রিয়, ছোট বেলা থেকেই প্রচণ্ড এক ভালো লাগা থেকে লেখার শুরু।
এখন লেখালেখি করি মূলত মনের তৃপ্তির জন্য।
- সামনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
আরো ভালো কিছু লেখার ইচ্ছা আছে ।
মৃত্যুর পরও যেন লেখার মধ্যে বেঁচে থাকি।
- আপনার সুস্থ-সুন্দর-সমৃদ্ধ লেখক জীবনের প্রত্যাশায় শেষ করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকেও ।