এ. কে. আজাদের তিনটি কবিতা

follow-upnews
0 0

Macro shot of broccoli sprouts growing

পোড়ামাটির গন্ধ

 

বার-বার ফিরে আসে কবি চা-এর স্টলে

সবুজ চা ঢালে চিনামাটির পেয়ালায়।

অবিরাম হেমন্তের পাতা ঝরে যায়-

কেউ যেন খুবলে নিচ্ছে অর্জুনের ছাল,

করুণায় ভরে যাবে যুবতীর হৃদয়-

অতঃপর ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে

কর্মময় দিনের শেষে নেমে আসে

কাঙ্খিত অপরূপ আঁধার।

কবি এবং পৃথিবী এভাবে

পারফিউমের সুবাসে মুছে দেয় কামিনী গন্ধ বাতাস,

আর প্রবাসী আর্তনাদ খোঁজে পোড়ামাটির গন্ধ।

 

জীবনের ট্রেন

 

কতোদূর যাবো নিজেকে শুধাই নিজে

নিমেক সুচারু হাওয়া দেহ ছুঁয়ে যায়

ভাবি, এই বুঝি শেষ প্রশ্ন ধরাতলে।

এখানে লোহার লাইনে পাতা জীবন্ত পথ,

শব্দ করে ছুটে চলে জীবন-ট্রেন।

গন্তব্যের শেষে আবার ফিরে আসে

প্রশ্নবান বৃথাই পড়ে থাকে

শুধু সময়ের প্লাটফর্মে।

 

 

কষ্টের ভ্রুণ

 

নারী ও নদী চাইতে পারে বধির তন্ত্রীতে বৃষ্টি

বসন্তের ফুল-ফল তাজা রঙ ঝেড়ে,

কৈশোর হেঁটে যাবে যৌবনের ঘরে।

যৌবন জীবনের মায়াবী কষ্টের ভ্রুণ

তিমিররাতে অস্থির ঢেউ ভেঙে,

হৃদয়ের আকুল প্রকোষ্টে গেঁথে থাকা সূঁচ তোলে।

ইথারের শরীর ঘেঁষে বহুগামী হাওয়া

হৃদপিণ্ড নাড়ায়ে-

বাস্তব পুড়িয়ে ভেসে যায় সময়ের নির্মম ছবি।

Next Post

গোপালগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ফতোয়াবাজদের আক্রমণ

’শনিবার এশার নামাজ শেষে স্থানীয়সহ আশপাশের তিন-চারটি মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয়, ‘যত মুসলমান ভাইরা আছ, এক হও। মালাউন আজকে জ্বালাই লাইতাম। এ ঘোষণা শুনে কয়েকশো গ্রামবাসী আমাদের বাড়িতে দা-কোদালসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। এরপর ‘মালাউন জ্বালাইলাও’ বলতে বলতে তারা আগুন ধরিয়ে দেয় ‘