তবু তুমি থাক কল্পনাতে গল্প হতে

follow-upnews
0 0


কোনোদিন সত্যিই তোমার মুখোমুখি দাঁড়াব। 

অনভ্যাসে সেদিন তুমি মুখ ফিরিয়ে নেবে।

আবার পুনরায়, এভাবে বারংবার,

তারপর একদিন আমরা চেনা হব ঠিকই।

সেদিন তোমায় আকণ্ঠ পান করে

পুষিয়ে নেব তোমার আমার কালের ব্যবধান যত।

সমু্দ্র সৈকতে যাব না তোমায় নিয়ে,

না কোনো পর্বত প্রান্তে।

জনমানবহীন গভীর জঙ্গলে চলে যাব,

যেখানে নেই কোনো সভ্যতার ভাণ ,

তোমার আমার নৈকট্যলাভে বাঁচবে দুটি প্রাণ।

জানবে না কেউ।

সূর্য নিভে যাবে আমাদের

লুকিয়ে রাখতে নিরাপদে,

ঘুর্ণিঝড় ঘুরে ঘুরে উড়ে যাবে

লোকালয়ে, ওদের ব্যস্ত রাখতে।

সারাদিন আমরা পালাব পথেপথে,

রাত জেগে পালিয়ে রব

স্তরে স্তরে জমিয়ে রাখা

তোমার আমার সব গুপ্তধন সাথে নিয়ে।

বিলিয়ে দেব পরস্পরে উন্মাদ হয়ে মহানন্দে।

তুমি জানো না!

এক রাশ কালো ধোয়া এসে কুণ্ডলি পাকিয়ে

আমায় আচ্ছন্ন করে রেখেছে বহুদিন,

কিছুই দেখি না, শুধু হাহাকার চারপাশে!

একটু যেন আলো জ্বলে উঠেছে হঠাৎ।

তোমায় দেখি, দূরে, আমার লক্ষ্যের ওপারে,

শুধু দেখে যেতে হবে, দেখা হবে না কোনোদিন জানি!

তবু দুঃখ কিছু বাড়িয়ে নিলাম আবার যদি–

এই জীবনে কথাগুলো কেবল কাব্য হল,

তোমার মত একটি ফুল হয়ে ফুটল না কিছুই

সত্যি হয়ে, তবু তুমি থাক কল্পনাতে গল্প হতে!


দিব্যেন্দু দ্বীপ

Next Post

ছিঁড়তে হবে সব পতাকা

পৃথিবীতে মানুষ বাঁচেনি আজও, বেঁচে আছে কিছু ধর্ম শুধু অমানুষের কাঁধে ভর করে। বাঙালি ১৯৭১-এ শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল পশ্চিম-বাঙলায়। এবার ১৯১৭-এ ‘বাঙালি’ শরণার্থী হয়ে এসেছে দেশ-বাঙলায়। পৃথিবীতে দেশের নামে এখনও মানুষ মানুষকে খেদায়! বলতে পারো কে দিয়েছিল প্রথম বেড়া সীমানায়? ছিঁড়তে হবে এখন তারকাঁটা, ছিঁড়তে হবে সব জাতীয় পতাকা। […]
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কবিতা