নিদ্রা-অনিদ্রায় সুখ-অসুখের পাঁচালী ।। জুয়েনা ইয়াছমিন

follow-upnews
0 0

ঘুমের অনিশ্চয়তা নিয়ে রোজ রাতে শুয়ে পড়ি

কোন কোন রাত গভীর ঘুমে দুঃস্বপ্নকে পাড়ি দিয়ে 

সোনালী আভা নিয়ে ভোরের আলো ফোঁটায়

আবার কখনো কখনো ঝিঁঝিপোকার ডাক

তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে স্মৃতির দুয়ার খুলে দিয়ে

মস্তিস্ককে উত্তপ্ত করে তুলে

দূরের অতীত-সুখগুলোকে নাড়িয়ে দেয়

কষ্ট-বিহবলে শান্ত দুঃখগুলোকে।

বেচেঁ থাকার জরুরি প্রয়োজনে সুখের কষ্টপিন্ডটাকে

অন্ধকার রাজ্যে পাঠিয়ে দিয়ে অনিদ্র-চোখদু’টো

পাহাড়া দেয় অন্ধকার রাতকে, কুকুরগুলোর করুণ

কান্নার আড়ালে সুরের পৃথিবীটাকে অতীত ঘরে

কবরের নিঃস্তব্ধতায় পাথরচাপা দিয়ে

ঘুমের রাজ্যে যাবার প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা-কখনো

অমাবস্যা, কখনো ভরা জোছনায় 

কেটে যায় অনিদ্রার রাজ্যে।

ঘুমন্ত পৃথিবী হাতের মুঠোয় নিয়ে ঘুরে-ফিরি

সুখের সেই পৃথিবী, যা একদিন আমার ছিলো

হাসি ছিলো, গান ছিলো, পাখি ছিলো, নদী-সমুদ্র, পাহাড়-বন ছিলো

গানে সুর ছিলো, পাখিরা উড়তো-গাইতো

নদী-সমুদ্রে ঢেউ ছিলো, পাহাড়-বন সবুজ ছিলো।

সুখগুলো পাখির ডানায় ঘুরে বেড়াতো

হাসিগুলো সমুদ্রের ঢেউয়ে ফেনা তুলতো

উচ্ছল-উদ্যম স্বপ্নগুলো সবুজে রাঙাতো পাহাড় আর বন।

আর এখন সুদূর অতীত সুখ-পৃথিবীটাকে নিয়ে

পাড়ি দেই অনিদ্রার রাজ্য, মুঠোবন্ধী ঘুমন্ত পৃথিবীটাকে নিয়ে

জেগে থাকি নক্ষত্রভরা আকাশ হয়ে।

দুঃস্বপ্নের গভীর ঘুমের চেয়েও আকাঙিক্ষত আজ

ভূতুরে রাত পাহাড়ায় অতীত সুখভরা পৃথিবীচারণে।


জুয়েনা ইয়াছমিন 

Next Post

জানুয়ারি থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার এ অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কথা বললেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক

“না আমরা পরিবারে থাকি, না স্কুলে।” আমরা পড়ি কোচিং সেন্টারে। বিদ্যালয় ও শিক্ষক কোনটাই আর আমাদের সন্তানদের মাঝে শুভবোধ তৈরী করার স্থান নয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীর ভূমিকায় ( কতিপয় বাদে) থাকা ভিকারুননেছার মতো তথাকথিত ভাল স্কুল আমার সন্তানকে আর যাই দিক জীবনবোধের সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ “ভালবাসা” শেখায় না।  তারা […]
জেলা প্রশাসক