মার্ক টোয়েন: সাহিত্যিক হিসেবে অনন্য, মানুষ হিসেবে অসাধারণ

follow-upnews
0 0
মার্ক টোয়েনের (১৮৩৫-১৯১০) জীবনী ঘটনাবহুল। টোয়েন হচ্ছেন এমন একজন লেখক যিনি তার দেশের মত আদর্শের সাথে দ্বিমত পোষণ করেও জীবনের শেষদিন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার সাথে লেখালেখি করে গেছেন। সম্ভবত তার ‘সেন্স অব হিউমার’ তাকে কারো প্রতিপক্ষ হওয়া থেকে বিরত রাখতো। অর্থাৎ শত্রু বা প্রতিপক্ষকে তিনি হাস্যরসের বিষয়বস্তুতে পরিণত করতে পারতেন।
টোয়েন ছিল তার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে সবচে জনপ্রিয় ব্যক্তি। যদিও এটা তার ছদ্ম নাম, কিন্তু আসল নামে (স্যামুয়েল ল্যাঙ্গহোর্ণ ক্লিমেন্স) তাকে বিশ্ববাসী চেনে না। লেখক হিসেবে যারা পৃথিবীতে অর্থকড়ি কামিয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তথাপি তাকে নিজেকে একবার দেউলিয়া ঘোষণা করতে হয়েছিল দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে। মার্ক টোয়েন তার লেখালেখি থেকে উপার্জিত অর্থের একটি বড় অংশ নতুন আবিস্কার এবং প্রযুক্তিতে, বিশেষ করে “পেইগ মুদ্রণসন্নিবেশকারী যন্ত্রের” ওপর বিনিযয়োগ করার মাধ্যমে খুইয়েছিলেন। যন্ত্রটি ছিলো অতি সুক্ষ্ম কারিগরি প্রযুক্তির ফসল যার কাজ দর্শকদেরকে মুগ্ধ করতো, কিন্তু এটি বারে বারে নষ্ট হতো। ১৮৮০ থেকে ১৮৯৪ সালের মধ্যে টোয়েন এই যন্ত্রের পেছনে ৩,০০,০০০ ডলার ব্যয় করেছিলেন (টাকার বর্তমান মূল্যমান হিসেবে), তারপরও এটি পুরোপুরি উপযুক্ত হবার পূর্বেই লাইনোটাইপ যন্ত্রের কারণে অযোগ্য হয়ে যায় এটি। ফলশ্রুতিতে টোয়েন তার বই থেকে উপার্জিত অর্থ হারানোর পাশাপাশি তার স্ত্রী অলিভিয়ার সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য অংশও হারিয়ে ফেলেন।
তারপরও তিনি ‍ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন, এবং লেখালেখি বাদ দেননি, সুবিধা ছিল এই যে তার অনেক সুহৃদ তখন তার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং একসময় তিনি সকল দেনা পরিশোধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন।
মার্ক টোয়েন

খুব অল্প বয়স থেকে তার লেখালেখির জগতের সাথে পরিচয়, তবে ঠিক লেখক হিসেবে নয়। ১১ বছর বয়সে মার্কের বাবা যখন মারা যান তখনই তিনি একটি প্রকাশনাতে কাজ নিতে বাধ্য হন। একজন প্রকাশকের অধীনে শিক্ষানবীশ হিসেবে তিনি যোগদান করেন। তিনি মূলত একজন মুদ্রণ সন্নিবেশক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং “হ্যানিবাল জার্নালে” একজন প্রদায়ক হিসেবে নানা প্রবন্ধ ও রম্য স্কেচ আঁকা শুরু করেন অারো কয়েক বছর পরে। তখন তার বয়স ১৬/১৭ বছর। সুবিধা ছিল জার্নালটির মালিক ও পরিচালক ছিলেন তার ভাই ওরিয়ন।

১৮ বছর বয়সে টোয়েইন হ্যানিবাল ত্যাগ করেন এবং নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া, সেন্ট লুইস, মিসৌরী এবং সিনসিনাট্টি, ওহিওতে প্রকাশক হিসেবে কাজ করেন।
একবার মিসিসিপি নদী ধরে নিউ ওর্লিয়েন্স, লুইজিয়ানা অভিমুখে গমণকালে এক বাস্পনৌকার নাবিক টোয়েইনকেও নাবিক হবার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। টোয়েইন তার “Life on the Mississipi” বইতে একজন নাবিককে বাস্পনৌকার ক্যাপ্টেনের চেয়ে অধিকতর মর্যাদাপূর্ণ এবং কর্তৃত্ববান বলে বর্ণনা করেছেন। সেসময়ে একজন নাবিকের চাকরি যথেষ্ঠ মর্যাদাপূর্ণ ছিলো যাতে মাসিক বেতন ছিলো ২৫০ ডলার। বাস্পনৌকার একজন নাবিককে নিয়ত পরিবর্তনশীল নদী সম্পর্কে প্রচুর অধ্যয়ন করতে হতো যাতে এর তীরে গড়ে ওঠা শতশত বন্দর এবং কেঠো জমিতে সফলভাবে নোঙর করতে পারে।
১৮৫৯ সালে নাবিক লাইসেন্স পাবার পূর্বে টোয়েইনকে মিসিসিপি নদীর প্রায় ২০০০ মাইল (৩২০০ কিমি) দৈর্ঘ্য পর্যন্ত অধ্যয়ন করতে হয়েছিলো। এই চাকরির কল্যাণেই তিনি “মার্ক টোয়েইন” কলম নামটি বেঁছে নেন। তার চাকরির পরিভাষায় “মার্ক টোয়েইন” মানে হচ্ছে “দুই ফ্যাদম গভীরতার নদীর জন্য কান্না”। এই চাকরির জন্য প্রশিক্ষণকালীন সময়ে স্যামুয়েল তার ছোট ভাই হেনরিকেও একই চাকরিতে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ২১ জুন, ১৮৫৮ সালে হেনরি তার কর্মস্থল বাস্পনৌকাতে কাজ করার সময় বিস্ফোরণে মারা যান। টোয়েইন তার ছোট ভাইয়ের এই মৃত্যুঘটনাটিকে বিস্ফোরণ ঘটার একমাস আগে স্বপ্নে দেখেছিলেন বলে তার আত্নজীবনীতে উল্লেখ করে গেছেন।
এর সূত্র ধরে তিনি পরবর্তীতে প্যারাসাইকোলজীতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি প্যারাসাইকোলজী সোসাইটির একজন শুরুর দিকের সদস্য ছিলেন। টোয়েন তার ছোট ভাইয়ের এই হৃদয়বিদারক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রস্থানের জন্য সারাজীবন অপরাধবোধে ভুগেছেন এবং তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য নিজেকে দোষী ভাবতেন।
১৮৬১ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শুরু হবার পর মিসিসিপি নদী দিয়ে সবধরনের যোগাযোগ স্থগিত হয়ে যায়। এর আগ পর্যন্ত টোয়েইন তার চাকরিতে বহাল ছিলেন।
লেখক হিসেবে টোয়েইন সর্বপ্রথম সফলতার দেখা পান যখন নিউইয়র্কের “দ্য স্যাটারডে প্রেস” নামের একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় ১৮নভেম্ভর, ১৮৬৫ সালে তার রম্য বড় গল্প “The Celebrated Jumping Frog of Calaveras County” প্রকাশিত হয়। তার এই লেখা তাকে জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি এনে দেয়। এক বছর পর তিনি স্যান্ডউইচ দ্বীপে (বর্তমান হাওয়াই) “স্যাক্রামেন্টো ইউনিয়ন” এর রিপোর্টার হিসেবে ভ্রমণ করেন। এ ভ্রমণকে উপজীব্য করে তার লেখা ভ্রমণলিপি দারুণ পাঠিকপ্রিয়তা লাভ করে এবং তার জীবনের প্রথম বক্তৃতার ভিত্তিও রচিত হয় এ ভ্রমণকে ঘিরেই। ১৮৬৭ সালে একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা তাকে মেডিটেরিনিয়ান সাগর ভ্রমণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। তার ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণকালীন সময়ে তিনি জনপ্রিয় অনেকগুলো ভ্রমণচিঠি রচনা করেন। পরবর্তীতে ১৮৬৯ সালে সেসব চিঠি একত্রে The Innocents Abroad নামে প্রকাশিত হয়। এই ভ্রমণকালীন সময়েই তার হবু শ্যালক চার্লস ল্যাঙডন এর সাথে পরিচয় ঘটে। পবিত্রভূমি যাওয়ার পথে তারা দু’জনেই “কোয়েকার সিটি” নামের একই জাহাজে সহযাত্রী ছিলেন। এসময় ল্যাঙডন তার বোন অলিভিয়া ল্যাঙডন ক্লেমেন্সের একটি ছবি টোয়েইনকে দেখান। ছবি দেখে টোয়েইন অলিভিয়ার প্রেমে পড়ে যান। পরবর্তীতে টোয়েইন এ ঘটনাকে “প্রথম দর্শনেই প্রেম” হিসেবে অভিহিত করেন।
আমেরিকায় প্রত্যাবর্তনের পর ১৮৬৮ সালে টোয়েইনকে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপণ সংঘ “স্ক্রুল এন্ড কী”তে সদস্যপদ গ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ সঙ্ঘের “বন্ধুত্বসুলভ আচরণ, নৈতিকতা ও সাহিত্যিক হিসেবে আত্ম-উন্নয়ন, এবং সহৃয়তার বহিঃপ্রকাশ” তার সাথে মিলেছিল।
১৮৯৬ সালে টোয়েইনের মেয়ে সুসি মেনিনজাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সেসময় থেকে টোয়েইন তার ব্যক্তিগত জীবনে গভীর বিষণ্নতাবোধে আক্রান্ত হন। সেটা ছিলো কেবল শুরু মাত্র। তার স্ত্রী অলিভিয়া মারা যান ১৯০৪ সালে, আরেক মেয়ে জীনকেও হারান তারও কয়েক বছর পরে, ১৯০৯সালে। এতগুলো কাছের মানুষের বিয়োগবেদনার সাক্ষী হয়ে টোয়েইনের বিষণ্নতা কেবল গভীরতর হয়। এখানেই শেষ নয়। ২০ মে, ১৯০৯ সালে তার ঘণিষ্ঠ বন্ধু ও বিপদে পাশে দাঁড়ানো অকৃত্রিম বন্ধু রজার্সও হুট করে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯০৬ সালে টোয়েইন “নর্থ আমেরিকান রিভিউ” তে তার আত্নজীবনী লেখা শুরু করেন। এপ্রিলে টোয়েইন খবর পান তার বান্ধবী ইনা কুলবার্থ ১৯০৬ সালের স্যানফ্রান্সিসকো ভূমিকম্পে তার সহায় সম্পত্তির প্রায় সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছেন। বান্ধবীর এ দু:সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে টোয়েইন তার সাক্ষরসম্বলিত কিছু পোট্রেইট ছবি বিক্রির জন্য তুলে দেন।
টোয়েইন যেসব ছোট ছোট মেয়েদেরকে নিজের নাতনী হিসেবে মনে করতেন তাদের জন্য ১৯০৬ সালে “দ্য এঞ্জেল ফিশ এন্ড এক্যুয়ারিয়াম ক্লাব” নামে একটি সংঘ তৈরি করেন। এ সংঘের এক ডজনের মত সদস্যদের সবার বয়সসীমা ছিলো দশ থেকে ষোল বছরের মধ্যে। টোয়েইন এসব ছোট ছোট “এঞ্জেল ফিশ”দের সাথে নিয়মিত চিঠি আদানপ্রদাণ করতেন এবং তাদেরকে কনসার্ট, থিয়েটার কিংবা খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন। ১৯০৮ সালে টোয়েইন তার লেখায় এ সংঘটিকে উল্লেখ করেন নিজের “জীবনের পরম আনন্দ” হিসেবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১৯০৭ সালে টোয়েইনকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
নিজের মৃত্যু নিয়ে তিনি ভবিষ্যতবানী করেছিলেন এবং সেটি ফলে গিয়েছিল।
“১৮৩৫ সালে হ্যালির ধূমকেতুর সাথেই আমি পৃথিবীতে এসেছিলাম। আগামী বছর এটি আবার আসছে, এবং আমি আশা করি এর সাথেই আমি আবার চলে যাবো। হ্যালির ধূমকেতুর সাথে সাথেই যদি আমার প্রস্থাণ না ঘটে তাহলে এটি হবে আমার জীবনের সবচে বড় হতাশাপূর্ণ ঘটনা। কোন সন্দেহ নেই যে স্রষ্টা বলেছিলেন: ‘এই হলো দুই দায়িত্বজ্ঞানহীন উন্মাদ; এরা এসেছিলো একসাথে, এদের যেতেও হবে একসাথে”
টোয়েইন এপ্রিল ২১, ১৯১০সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রীডিং,কানেকটিকাট শহরে মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ছিলো হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর সাথে সবচে কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থান করার ঠিক পরের দিন। টোয়েইনের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্ট বলেছিলেন:
“মার্ক টোয়েইন অজস্র মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত আনন্দ দান করে গেছেন এবং তার সৃষ্টিকর্ম অনাগত অসংখ্য মানুষকেও ভবিষ্যতে আনন্দ দান করে যেতে থাকবে.. তিনি আমেরিকান রম্য করতেন, কিন্তু ইংরেজরা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষজনও তাঁর নিজ দেশের মানুষের মতই তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি আমেরিকান সাহিত্যের একটি চিরস্থায়ী অংশ”
তার সেরা কয়েকটি উক্তি:
♣ এগিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে, শুরু করা।
♣ সহৃদয়তা এমন এক ভাষা যা বধরি যা শুনতে পায় দৃষ্টিহীন দেখতে পায়।
♣ সফলতার পূর্বশর্ত অজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস।
♣ আমার মা আমাকে নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়তেই, কিন্তু আমি জানি তিনি এটা উপভোগ করতেন।
♣ যে পড়ে না, এবং যে পড়তে পারে না -এ দুইয়ের মধ্যে আদৌ কোনো তফাৎ নেই।
♣ নিজেকে আনন্দিত করতে হলে আগে আপনাকে অন্যকে আনন্দিত করতে হবে।
♣ সত্য কথা বলা অভ্যাস করলে আপনাকে আর কিছু মুখস্থ করতে হবে না।
♣ একজন তরুণকে নৈরাশ্যবাদী হতে দেখার চেয়ে হতাশাব্যাঞ্জক কিছু আর নেই। 
♣ যখন তুমি নিজেকে অকিাংশের মধ্যে দেখতে পাবে তখনই তোমাকে থামতে হবে এবং বুঝতে হবে।
মার্ক টোয়েনের গুরুত্বপূর্ণ লেখা:
মার্ক টোয়েনের লেখা প্রথম সফল উপন্যাস ‘দি অ্যাডভেঞ্চার্স অব হাকেলবেরি ফিন’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৮৪ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য থেকে। পরের বছর ১৮৮৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হয় উপন্যাসটি।
‘দি অ্যাডভেঞ্চার্স অব টম সয়ার’ -এ বইটি সিক্যুয়াল হিসেবে লেখা হয়। মিসিসিপি নদীসংলগ্ন মানুষ ও তাদের জীবনধারা এবং ওই এলাকার বর্ণনা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।

এ দুটি উপন্যাস পৃথিবী বিখ্যাত হয় এবং ক্লাসিকের মর্যাদা পায়। এছাড়া তার তিনখণ্ডে লিখিত আত্মজীবনীটিও পৃথিবী বিখ্যাত।


মার্ক টোয়েনের আত্মজীবনী
Next Post

ঢাকা-চট্টগ্রামের বাইরেও অটিজম স্কুল দরকার -অধ্যাপক ডা. শাহীন আক্তার

একটা শিশু যখন মায়ের গর্ভ থেকে পৃথিবীতে আসে, তখন তাকে ঘিরে গড়ে ওঠে অনেক স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষ-ভালোবাসা। এই শিশুটি বয়স বাড়ার সাথে সাথে যখন দেখা যায় যে সে অন্যদের থেকে আলাদা, তার বিকাশ ঠিকমত হচ্ছে না, তখন তৈরি হয় ভয়ানক দুশ্চিন্তা-হতাশা। সমাজে এজন্য মাকে দোষারোপ করা হয়। পরিবারকে দোষারোপ করা হয়। ভাগ্যকে […]
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)