♣ সেতুটি আইফেল টাওয়ার চেয়েও ৩৫ মিটার উঁচু।
♣ ভারতের জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের চেনাব নদীর উপর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে বসেছে সেতুটি।
♣ ৬ জুন ২০২৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক উদ্বোধন করা চেনাব রেল সেতুটি বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে খিলান সেতু।
♣ এটি জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় অবস্থিত এবং উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
♣ এটি চেনাব নদী থেকে ১,১৭৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।

১.
জম্মু কাশ্মিরের দুর্গম এ অঞ্চলে এরকম একটি রেল ব্রিজ নির্মাণ করা বিশাল চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিলো। ব্রিজ তৈরিতে মানুষের বুদ্ধি এবং প্রযুক্তি তো বটেই, মালামাল পরিবাহনে ব্যবহার করা হয়েছে ঘোড়া এবং খচ্চর। চেনাব নদীর উত্তর তীরে ১১ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ তীরে ১২ কিলোমিটার রাস্তা কাটা হয়েছে। এসব রুট দিয়ে ভারী মেশিন, ইস্পাত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।অ্যাফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রথমদিকে প্রকল্প দলের সদস্যরা খচ্চর ও ঘোড়ার সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতেন। ধীরে ধীরে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয়, যা পরে স্থায়ী সড়কে রূপান্তরিত হয়েছে।
২.
প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুর নির্মাণস্থলে পৌঁছানো। রাস্তা ছিল না, পাকা রাস্তা তো অনেক দূর। শুধু ছিল সরু পাহাড়ি পথ। বর্তমানে সেখানে ৩৬০ মিটার উঁচু একটি রেলসেতু দাঁড়িয়ে!
৩.
বর্তমানে সেতুটি চেনাব নদী থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু, যা প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু। এটি শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু এই মুহূর্তে।
৪.
সেতুটি ১২০ বছর স্থায়ী হওয়ার জন্য তৈরি, যা ২৬৬ কিমি/ঘন্টা বেগে বাতাস, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং ৪০ টন টিএনটি-এর সমপরিমাণ বিস্ফোরণ সহ্য করতে সক্ষম।

৫.
চেনাব ব্রিজ নির্মাণে কোনো একক নির্মাতা নেই। তবে এই ব্রিজ নির্মাণে স্থাপত্যবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অধ্যাপক জি. মাধবী লতা গারু। কারিগরি এবং তাত্ত্বিক নির্দেশনা দিতে মাধবীলতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৭ বছর কাজ করেছেন।