বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নামে একটি বই বের করেছে প্রফেসর’স প্রকাশন। মূলত বি.সি.এস. প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য তারা এ বইটি বের করেছেন। ৩৫তম বি.সি.এস. পরীক্ষার নতুন মান বন্টন অনুযায়ী বইটি তারা করেছেন অত্যন্ত দ্রুততার সাথে। ৩৫তম বি.সি.এস. এর সার্কুলার হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে তারা বইটি বাজারে এনেছে। মানের দিক থেকে বইটি চলনসই হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা মন্তব্য করেছেন। তবে একটি প্রশ্ন সবার মাঝে ঘুরেফিরেই আসছে- বইটির লেখক কে বা কারা? লেখককে কেন এ ধরণের বইয়ের প্রকাশকরা আড়াল করছেন বিষয়টি কোনভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না পাঠকদের।প্রফেসর’স প্রকাশনীর অধিকাংশ বইয়ে এই ধারা পরিলক্ষিত হয়। সেখানে শুধু প্রকাশকের নাম থাকে। শুধু প্রফেসর’স প্রকাশন নয়, গাইড বই বা এ ধরণের বই যারা বের করছেন তারা এভাবেই করছেন। হয় তারা ভুয়া নাম দিচ্ছেন, কোন ক্ষেত্রে নিজের নাম দিচ্ছেন অথবা নাম দিচ্ছেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বই যাকে দিয়ে করাচ্ছেন তার নাম প্রকাশকরা দিচ্ছেন না, দিচ্ছেন ডেজিগনেটেড কারো নাম। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য রচিত জয়কলি প্রকাশনীর ‘বাংলা বিচিত্রা’ বইটি। জসিম উদ্দিন তানিম, পংকজ কুমার সিকদার এবং মো. আবুল কাশেমের নাম বইটিতে লেখক হিসেবে রয়েছে। খোঁজা নিয়ে জানা যায়- তারা কেউ বইটি রচনার সাথে যুক্ত ছিলেন না। আরেকটি সুস্পষ্ট অসংগতিও এক্ষেত্রে রয়ছে। বইটির সপ্তম সংস্করণে লেখক এবং সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম রয়েছে নবম সংস্করণে তাদের কারো নাম নেই! পাঠকদের প্রশ্ন হচ্ছে এটা কীভাবে সম্ভব?