![1](https://follow-upnews.com/wp-content/uploads/2016/04/1-18-300x225.jpg)
আল কায়েদা, নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম বা হালের আইসিস প্রচার করছে যে, শরীয়া আইন আল্লাহ প্রদত্ত এবং তারা সেই মত লড়ে যাচ্ছে। ইসলামের এই অপব্যাখ্যা অনেকে বুঝতে না পেরে তাদের দিকে ঝুঁকে যায়। বাংলাদেশ ও সেই ঝুঁকির বাইরে নয়। বাংলাদেশের, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল মানুষেরা যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সে লক্ষেই মূলত কাজ করছে ‘জঙ্গীবাদমুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলন’। পাশাপাশি, তারা বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় কুসংস্কার দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হাসান মাহমুদ বলেন, “জঙ্গীবাদের, মৌলবাদের মূল ভিত্তি হচ্ছে শরীয়া আইন; ইসলামে যে মানবাধিকার রয়েছে, নারীর যে অধিকার রয়েছে, শরীয়া আইনের কারণে তা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।” তিনি আরো বলেন, “জঙ্গীবাদে যে নৃশংসতা আমরা দেখি, তার ভিত্তি আসলে ঐ শরীয়া আইন।”
আন্দোলনের মূল অংশ হিসেবে এমএফটি (MFT) বা ‘মুসলিম ফেসিং টুমরোর’ পক্ষ থেকে কয়েকটি চলচ্চিত্র দেখানো হয় বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা গ্রামগুলোতে, বিশেষ করে যেখানে শরীয়া আইন বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। হিল্লা, নারী, দ্যা ডিভাইন স্টোন সহ আরো কিছু চলচ্চিত্র এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়।
এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য How Sharia Hijacked Islam বইটি পড়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন জনাব হাসান মাহমুদ। নিচের লিংকে গিয়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।