চাকরির জন্য পড়াশুনা: আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি সম্পর্ক

follow-upnews
0 0

চাকরি পরীক্ষার সকল ধাপের জন্য (প্রিলি, লিখিত এবং ভাইভা) দেশে দেশে চুক্তির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ জ্ঞান হিসেবে এ অংশ থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন আসেই। ভাইভায় এ সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর জিজ্ঞেস করা হয়। লিখিত পরীক্ষার এক কথায় উত্তর এবং টিকাকারে এ অংশ থেকে প্রশ্ন পরীক্ষায় আসে। তাছাড়া রচনামূলক প্রশ্ন লেখার জন্য চুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞান থাকার দরকার রয়েছে। %e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf
১. আটলান্টিক সনদঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৪ আগস্ট, ১৯৪১ (আটলান্টিক মহাসাগরে ব্রিটিশ রণতরী প্রিন্সেস অব ওয়েলস্ এ)।
পক্ষসমূহঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনষ্টন চার্চিল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি. রুজভেল্ট।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা ।

২. আফগান শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৯৩ সালের ৭ মার্চ ( পাকিস্তানের ইসলামাবাদে)।
পক্ষসমূহঃ মিশর ও ইসরাইল।
মধ্যস্থতাকারীঃ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ জাতিগত দাঙ্গা নিরসন ও ৩০ বছরের যুদ্ধ অবসান।
ফলাফলঃ বোরহানুদ্দীন রাব্বানীর সরকার গঠিত হয় (লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বন্ধ করা)।

৩. ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ (ক্যাম্প ডেভিড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)।
পক্ষসমূহঃ মিশর ও ইসরাইল।
মধ্যস্থতাকারীঃ ৩৯তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার রূপরেখা নিরূপণ এবং শান্তি স্থাপন ।

৪. ABM (Anti-Ballistic Missile Treay) চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৭২ সালের ২৬ মে; কার্র্যকর হয়-১৯৭২ সালের ৩ আগস্ট
মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয়-১৯৭২ সালের ৩ আগস্ট, (ক্যাম্প ডেভিড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)।
পক্ষসমূহঃ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট (২০০২ সালের ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে)।
মধ্যস্থতাকারীঃ ৩৯তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার রূপরেখা নিরূপণ এবং শান্তি স্থাপন ।

৫. জর্ডান-ইসরাইল শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২৬ অক্টোবর, ১৯৯৪ (আকাবা, জর্ডান)।
পক্ষসমূহঃ জর্ডান ও ইসরাইল।

৬. জেনেভা কনভেনশনঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট (জেনেভা, সুইজারল্যান্ড;৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়)।
পক্ষসমূহঃ বিশ্বের ৫৮টি দেশ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ যুদ্ধবন্দি ও যুদ্ধাহতের সাথে ন্যায় বিচারের জন্য আচরণ বিধি তৈরী করা।

৭. ডেটন চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২১ নভেম্বর, ১৯৯৫ (ডেটন বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, ওহিও, যুক্তরাষ্ট্র)।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়ঃ ফ্রান্সের প্যারিসে ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর
উদ্যোক্তাঃ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ বসনিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

৮. শেনজেন চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৮৫ সালের ১৪ জুন (লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে)।
পক্ষঃ ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও পশ্চিম জার্মানী স্বাক্ষর করে; ১৯৯৫ সালের ১৬ মার্চ ভিসামুক্ত ইউরোপের যাত্রা ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ইউরোপের দেশগুরোতে জল, স্থল, আকাশপথে ভিসায় বা জাতীয় পরিচয়পত্রে ইউরোপ ভ্রমণ করা

৯. জেনেভা চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৫৪ সালের ২০ জুলাই।
পক্ষঃ ফ্রান্স ও ভিয়েতনাম ।
ফলাফলঃ উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম নামে দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টি ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ পঁচিশ বৎসর মেয়াদী মৈত্রী, শান্তি ও সহযোগীতা।

১০. তলাতেলোলকা চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৬৭ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি (১৯৬৯ সালের ২৫ এপ্রিল কার্যকর হয়)।
পক্ষসমূহঃ ভারত ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা, ব্যবহার, উৎপাদন, মজুদ অথবা অর্জন নিষিদ্ধ করা হয় ।

১১. এ্যান্টার্কটিকা চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ
পক্ষসমূহঃ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ এ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ দুপক্ষ মিলে শাসন করা ।

১২. ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৯ আগস্ট, ১৯৭১ (মস্কো, রাশিয়া)।
পক্ষসমূহঃ ভারত ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী, শান্তি ও সহযোগিতা চুক্তি।

১৩. সিমলা চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৩ জুলাই ১৯৭২ (সিমলা, ভারত) ।
পক্ষসমূহঃ ভারত ও পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ও ভারতের পক্ষে স্বাক্ষর করেনঃ জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ইন্দিরা গান্ধী।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে শান্তি স্থাপন।

১৪. হাভানা সনদঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৫৭ সালে (হাভানা, কিউবা)।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ সারাবিশ্বের উন্নয়ন ত্বরান্নিত করা।
স্বাক্ষরিত দেশঃ ৫৪টি।

১৫. ম্যাসট্রিচ্ট চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২।
পক্ষসমূহঃ ১২টি ইউরোপীয় দেশ।
কার্যকর হয়ঃ ১৯৯৩ সারের ১ নভেম্বর
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ইউরোপীয় অর্থ এলাকাকে সর্ববৃহৎ বাজারে পরিণত করা।
ফলাফলঃ অভিন্ন মুদ্রা ইউরো চালু (১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি)।

১৬. পরমাণু অস্ত্র হ্রাস চুক্তি (NPT চুক্তি)

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৬৮ (১৯৭০ সালে এ চুক্তি কার্যকর হয়)।
পক্ষসমূহঃ বিশ্বের ১৭০টি দেশ।
স্বাক্ষরকারী দেশ – ১৮৮ টি ( ভারত, ইসরাইল, পাকিস্তান স্বাক্ষর করেনি এবং উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে প্রত্যাহার করে)।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রোধ, আণবিক শাক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বৃদ্ধি ও আণবিক নিরস্ত্রীকরণ।

১৭. প্যারিস চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯১৪ সাল।
পক্ষসমূহঃ ফ্রান্স ও ব্রিটেন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ফ্রান্স ও বৃটেনের মধ্যে সমঝোতা আলোচনা এবং নেপোলিয়ানের বিদায়।

১৮. প্যারিস শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৭৩ সালে (প্যারিস, ফ্রান্স)।
পক্ষসমূহঃ ভিয়েতনাম ও আমেরিকা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ভিয়েতনাম ও আমেরিকার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান।
ফলাফলঃ ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসান

১৯. প্রথম ভার্সাই চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৭৮৩ (ভার্সাই, ফ্রান্স)।
পক্ষসমূহঃ ব্রিটেনও আমেরিকা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ব্রিটেনও আমেরিকার মাঝে সমঝোতা।
ফলাফলঃ আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিসমাপ্তি

২০. দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯১৯ সাল ২৮ জুন(ভার্সাই ও ফ্রান্স)।
পক্ষসমূহঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি ও জার্মানি।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করা।
ফলাফলঃ জার্মানি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয়।

২১. সল্ট-১ (Strategic Arms Limitation Talks) চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২৬ মে, ১৯৭২; চুক্তি কার্যকর হয় -১৯৭২ সালের ৩ অক্টোবর(১৯৭২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদন করা হয়)।
পক্ষসমূহঃ যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ এ্যান্টি ব্যালাস্টিক সিস্টেম সীমিতকরণ।

২২. সল্ট-২ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৮ জুন, ১৯৭২ সালে ।
পক্ষসমূহঃ যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।
ফলাফলঃ আক্রমনাত্মক অস্ত্র ২৪০০ এর মাঝে ও নিক্ষেপকারী ক্ষেপনাস্ত্র ২২৫০ এর মাঝে  সীমিত রাখা।

২৩. কপিরাইট চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১১ মার্চ, ১৯৯৫।
পক্ষসমূহঃ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

২৪. তাসখন্দ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১০ জানুয়ারি, ১৯৬৬ (তাসখন্দ, উজবেকিস্তান)।
পক্ষসমূহঃ ভারত ও পাকিস্তান (মধ্যস্থতাকারী দেশ- রাশিয়া বা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধের অবসান ও শান্তি স্থাপন ।
ফলাফলঃ রাশিয়ার মধ্যস্থতায় তাসখন্দ চুক্তির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শেষ হয়।

২৫. মহাশূন্য চুক্তি (Outer Space Treaty)

স্বাক্ষরকালঃ ১০ অক্টোবর, ১৯৬৭।
পক্ষসমূহঃ বিশ্বের প্রায় ৯৯টি দেশ।

২৬. মানবাধিকার চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র)।
স্থানঃ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।
খসড়া প্রস্তুত করেনঃ নোবেল জয়ী ওরেন ক্যাসিন ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ মানব জাতির সহজাত মর্যাদা, সমতা সমান অধিকার রক্ষা করা।

২৭. হেবরণ নিরাপত্তা চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৩১ মার্চ, ১৯৯৪।
পক্ষসমূহঃ ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার মধ্যে হেবরণ শহরের নিরাপত্তা বিষয়ের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

২৮. ভারত-শ্রীলংকা চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯ জুলাই, ১৯৯৭ (নয়াদিল্লী, ভারত)।
পক্ষসমূহঃ ভারত ও শ্রীলংকা।

২৯. নামিবিয়া চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৮৮ সালে (ব্রাজাবিল, কঙ্গো)।
পক্ষসমূহঃ কিউবা, এঙ্গোলা, ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফলাফলঃ নামিবিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান করা

৩০. স্থলমাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে (অটোয়া, কানাডা)।
পক্ষসমূহঃ ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত ১৫৬টি দেশ স্বাক্ষর করে; প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ- কানাডা (ইরান, রাশিয়া, ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও পাকিস্তান; স্বাক্ষর করেনি )।
বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেঃ ১৯৯৮ সালের ৭ মে; ১২৬তম দেশ (২০০০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চুক্তি অনুমোদন করে)।
কার্যকর হয়ঃ ১৯৯৯ সালের ১ মার্চ।
পক্ষসমূহঃ বিশ্বের ১৭০ টি দেশ এতে স্বাক্ষর করে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ স্থলমাইন ব্যবহার, মজুদ, উৎপাদন ও হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা।

৩১. অসলো চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৯৩ সালে (অসলো, নরওয়ে)।
পক্ষসমূহঃ পি এল ও এবং ইসরাইল।

৩২. ইরাক-জাতিসংঘ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২৩ ফেব্র“য়ারি, ১৯৯৮ (বাগদাদ ও ইরাক)।
পক্ষসমূহঃ ইরাক ও জাতিসংঘ।

৩৩. বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬ (হায়দ্রাবাদ হাউজ, নয়াদিল্লী, ভারত)।
পক্ষসমূহঃ বাংলাদেশ ও ভারত।

৩৪. পার্বত্য শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ (ঢাকা, বাংলাদেশ)।
পক্ষসমূহঃ বাংলাদেশ সরকার ও শান্তিবাহিনী।

৩৫. GATT (General Aggrement on Tariffs and Trade চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৫ এপ্রিল, ১৯৯৪ (মারকাশো, মরক্কো)।
পক্ষসমূহঃ বিশ্বের ১২৫টি দেশ।

৩৬. হটলাইন চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২০ জুন, ১৯৬৩।
পক্ষসমূহঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।

৩৭. বিশ্ব উষ্ণতা রোধ/কিয়েটো চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ (কিয়েটো, জাপান)।
পক্ষসমূহঃ বিশ্বের ১৬০টি দেশ।
মেয়াদ শেষ হবেঃ ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর । মেয়াদ বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন প্রয়োজন ছিল ঃ ১৪৪ টি দেশর ।
যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করেঃ ১৯৯৮ সালের ১২ নভেম্বর (২০০১ সালে প্রত্যাহার করে)।
বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেঃ ২০০১ সালের ২২ অক্টোবর (কার্যকর করে ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্র“য়ারি)।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ বিশ্বের পরিবেশ রক্ষার জন্য বিশ্বের উষ্ণতা রোধ করা।

৩৮. ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১২ ডিসেম্বর, ২০০০ (আলজিয়ার্স, আলজেরিয়া)।
পক্ষসমূহঃ ইথিওপিয়া ও আলজেরিয়া।

৩৯. মাঝারি পাল্লার অস্ত্র বিরোধী চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ (ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র)।
পক্ষসমূহঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।

৪০. পিয়ংইয়ং চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৫ জুন, ২০০০ (পিয়ংইয়ং, উত্তর কোরিয়া)।
পক্ষসমূহঃ উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।

৪১. আয়ারল্যান্ড শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৯৮ (বেলফাস্ট, আয়ারল্যান্ড)।
মধ্যস্থতাকারীঃ মার্কিন সিনেটর জর্জ মিশেল
পক্ষসমূহঃ ব্রিটেনও আয়ারল্যান্ড।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও আইরিশ প্রধানমন্ত্রী এহেরন

৪২. বসনিয়া মুসলিম ক্রোট ফেডারেশন চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৮ মার্চ, ১৯৯৮ (ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র)।
পক্ষসমূহঃ বসনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া।
স্বাক্ষর করেনঃ প্রেসিডেন্ট ইজেত বেগোভিচ (বসনিয়া) ও ফ্রাঞ্জো তূজম্যান (ক্রোয়েশিয়া)

৪৩. ম্যাগনাকার্টা চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১২১৫ সালে (রাণীমেড দ্বীপে)।
পক্ষসমূহঃ রাজা জন ও ইংল্যান্ডের জনগণ।
উদ্দেশ্যঃ রাজার ক্ষমতার রশি টানা।

৪৪. ব্রিটন উডস চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ জুলাই, ১৯৪৪ (মাউন্ট ওয়াশিংটন হোটেল, ব্রিটেনউডস, নিউ হ্যাম্পাশায়ার, যুক্তরাষ্ট্র)।
পক্ষসমূহঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তিরা।
ফলাফলঃ World Bank, IMF গঠন ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউরো পুনর্গঠন।

৪৫. পি এল ও, ইসরাইল স্বীকৃতি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ (কায়রো, মিশর)।
পক্ষসমূহঃ পি এল ও, ইসরাইল ।

৪৬. পিএলও – ইসরাইল স্বায়ত্বশাসন চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ (ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র)।
স্বাক্ষর করেনঃ ইয়াসির আরাফাত ও আইজ্যাক রবিন।
পক্ষঃ ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ।
মধ্যস্থতাকারী ছিলঃ মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ গাজা ভূখন্ডে ও পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে বিগত ২৭ বছরের ইসরাইলী দখলের অবসান করা।

৪৭. তথ্য প্রযুক্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২৬ মার্চ, ১৯৯৭ (জেনেভা, সুইজারল্যান্ড)।
পক্ষসমূহঃ বিশ্বের ২৯টি দেশ ।

৪৮. রুশ-জার্মান স্বীকৃতি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৭ আগস্ট, ১৯৭০।
পক্ষসমূহঃ রাশিয়া, জার্মানি ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ রাশিয়া, জার্মানী পরস্পরের উপর বলপ্রয়োগ হতে বিরত থাকবে

৪৯. জাতিসংঘ সমুদ্র আইন (UNCLOS)  চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর (স্বাক্ষরিত হয় জ্যামাইকার মন্টেগো বেতে)।
বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেঃ ২০০১ সালে (অনুমোদন করে- ২০০১ সালে)।
চুক্তি কবে কার্যকর হয়ঃ ১৯৯৪ সারের ১৬ নভেম্বর।

৫০. মহাকাশ ও পানির নীচে অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৬৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ।

৫১. জীবাণু অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল উম্মুক্ত হয়।
পক্ষঃ ফ্রান্স ও ভিয়েতনাম ।
কার্যকর হয়ঃ ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ।

৫২. গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধকরণ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ।
স্বাক্ষরের স্থানঃ নরওয়ের অসলো ।
কার্যকরের শর্ত ছিলঃ স্বাক্ষরিত ৩০ দেশের অনুমোদন ।
কার্যকর হয়ঃ ২০১০ সালের ১ আগস্ট ।

৫৩. পরমাণু অস্ত্র বিলোপ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৯৬ সালের ১৫ মার্চ ।
স্বাক্ষরকারী দেশঃ ৩ টি; যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত রাখা ।

৫৪. মস্কো চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২০০২ সালের ২৪ মে ।
পক্ষঃ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ।
কার্যকর হয়ঃ ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কেউই তাদের পারমাণবিক ওয়ারহেড ২২০০ এর বেশী উৎপাদন না করা।

৫৫. APTA (Asia Pacific Trade Agreement) চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর; চীনের বেইজিংয়ে।
পূর্ব নাম Bankok Agreement
Bankok Agreement এর স্বাক্ষরকালঃ ১৭৭৫ সালে; থাইল্যান্ডের ব্যংককে ।

৫৬. ভূমির বিনিময়ে শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৯৮ সালের ২৩ অক্টোবর।
মধ্যস্থতা করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
শান্তি চুক্তি কে কে স্বাক্ষর করেনঃ ইয়াসির আরাফাত ফিলিস্তিনের পক্ষে ও বেনয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরাইলের পক্ষে।

৫৭. বেইজিং-সিউল চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকাল ঃ ৩১ অক্টোবর ১৯৯৪ সাল।
পক্ষসমূহ ঃ চীন ও দ. কোরিয়া ।
স্বাক্ষরকাল ঃ ১৯৯৪ সালের ৩১ অক্টোবর।

৫৮. CTBT (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty) চুক্তিঃ

বাংলাদেশ এর স্বাক্ষরকালঃ ১৯৯৬ সালের ২৪ অক্টোবর; ১২৯তম (২০০০ সালের ৮ মার্চ অনুমোদন করে ২৮তম দেশ হিসেবে ও দক্ষিন এশিয়ার ১ম দেশ হিসেবে)।
অস্ট্রেলিয়া উত্থাপন করেঃ ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর।
উত্থাপন করার স্থানঃ জাতিসংঘের ৫১তম সাধারন পরিষদের অধিবেশনে ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ নতুন করে আর কেউ যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরী না করে ও পূর্বেরগুলো ধ্বংস করে সীমীত করা ।

৫৯. জীববৈচিত্র্য কনভেনশন চুক্তি (Eearth Summit)

স্বাক্ষরকাল ঃ ১৯৯২ সালের ১৪ জুন (ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরিও)।
স্বাক্ষরকারী দেশ ঃ ১৭৮টি ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ বিশ্বের সব জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা।

৬০. লাইবেরিয়া শান্তি চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২০০৩ সালের ১৮ আগস্ট (আক্রা, ঘানা)।
পক্ষঃ লাইবেরিয়া সরকার ওপ্রধান বিদ্রোহী গ্রুপ
(লাইবেরিয়ানস ইউনাইটেড ফর রিকনসিলিয়েশন এন্ড ডেমোক্রেসি) ।
মধ্যস্থতাকারীঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ ওআফ্রিকান ইউনিয়ন ।
সমনন্বয়কারীঃ ঘানার প্রেসিডেন্ট জন কুফুর।

৬১. লিবিয়ার ক্ষতিপূরণ চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ২০০৩ সালের ১৩ আগস্ট (লন্ডন, ইংল্যান্ড)।
পক্ষঃ লিবিয়া সরকার ও ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট।
ফলাফলঃ লিবিয়া সরকার লকারবি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৭০ জনের আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ দান করে

৬২. রসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৯২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরের জন্য উম্মুক্ত করা হয় -১৯৯৩ সালের ১৩ জানুয়ারি।
কার্যকর হয়ঃ ১৯৯৭ সালের ২৭ এপ্রিল।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ সব ধরনের রসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ, নিষিদ্ধকরণ এবং ধ্বংস করা ।

৬৩. START-1 (Strategic Arms Reduction Treaey) চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ১৯৯১ সালের ৩১ জুলাই ।
পক্ষঃ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র ।
চুক্তি কার্যকর হয়ঃ ১৯৯৪ সালের ৫ ডিসেম্বর ।
চুক্তির মেয়াদ  শেষ হয়ঃ ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর।

৬৪. START-2(Strategic Arms Reduction Treaey) চুক্তিঃ

স্বাক্ষরকালঃ ৩ জানুয়ারি ১৯৯১।
পক্ষঃ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র ।
সিনেটে অনুমোদন হয়ঃ ১৯৯৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয় দেশের পারমাণবিক অস্ত্র, বিশেষত দুরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপনাস্ত্র দুই-তৃতীয়াংশ হৃাস করা ।


সৌজন্যে: Q&C রিসার্স

Next Post

ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ, সম্পদের বণ্টন ও গুরুত্ব ১.    বেননেভিস হলো- ক. একটি উপত্যকা                      খ. একটি পর্বতশৃঙ্গ গ. একটি নদী                                 ঘ. একটি শহর ২.    ভূপ্রকৃতি অনুযায়ী ইউরোপ মহাদেশকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? ক. ২ ভাগে                 খ. ৩ ভাগে                   গ. ৪ ভাগে                    ঘ. ৫ ভাগে বাংলাদেশের পরিবেশ, সম্পদ, চ্যালেঞ্জ ৩.   […]

এগুলো পড়তে পারেন