নেতার গাড়ি ওভারটেক করায় খুন

follow-upnews
0 0

ভারতের বিহার রাজ্যে ১৯ বছরের এক কিশোর হাইওয়েতে এক রাজনীতিকের গাড়িকে ওভারটেক করেছিল – এই অপরাধে ওই রাজনীতিকের ছেলে ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে বিহারের গয়া জেলায় – আর অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন বিহারের শাসক দল জেডিইউ এর প্রভাবশালী এক নেতার ছেলে।

ওই কিশোরের ওপর যে গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই রকি যাদব ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ।

তবে স্থানীয় মানুষের চাপ ও পথ-অবরোধের জেরে পুলিশ তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে।

ভারতের রাস্তাঘাটে মন্ত্রী-সান্ত্রী-এমপিরা ট্র্যাফিক আইনের পরোয়া না করে তাদের ফোর হুইল বা এসইউভি হাঁকিয়ে ঘুরে বেড়ান এটা খুব পরিচিত দৃশ্য।

1
নিহত কিশোর আদিত্য সচদেব

তবে এটা মোটামুটি টোল বুথে কর্মীদের মারধর করা, লালবাতি না মানা বা রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে ভীষণ গতিতে গাড়ি চালানো – এসবেই সীমাবদ্ধ থাকে।

ওভারটেক করার জন্য গাড়ি থামিয়ে কাউকে গুলি করা – এটা ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ডেও বেশ বিরলই বলা যায়।

১৯ বছরের ছেলে আদিত্য সচদেব – সদ্য বারো ক্লাসের পরীক্ষা শেষ করেছে – বন্ধুদের নিয়ে তার সুইফট গাড়িতে বেড়াতে বেরিয়েছিল।

রাস্তায় সে ওভারটেক করে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়িকে – যার ভেতরে ছিলেন বিহারের জেডি-ইউ নেতা বিন্দি যাদব ও মনোরমা দেবীর ছেলে রকি যাদব।

তার সঙ্গে একটি লাইসেন্সড রিভলভার ছিল, আগ্নেয়াস্ত্র সমেত দেহরক্ষীরাও ওই গাড়িতে ছিল।

আদিত্যর বন্ধুরা ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছে তা অনুযায়ী, ওভারটেক করার পরই ওই রেঞ্জ রোভার থেকে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হতে থাকে।

2
অভিযুক্ত রকি যাদবের পিতা বিন্দি যাদব ও তাদের গাড়িটি

তারা গাড়ি থামাতে বাধ্য হয়, তখন রকি যাদব ও তার রক্ষীরা তাকে জোর করে গাড়ি থেকে নামায়। যখন ভয়ে আদিত্য ও তার বন্ধুরা পালানোর চেষ্টা করে – তখনই রকির রিভলভার থেকে গুলি করে আদিত্যকে মেরে ফেলা হয় বলে তার বন্ধুরা জানিয়েছে।

অভিযুক্ত রকি যাদবের মা বিহারের শাসক দল জেডি-ইউয়ের নেত্রী, রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্যও তিনি।

রকির বাবা বিন্ধেশ্বরী প্রসাদ যাদব বা বিন্দি যাদব রাজ্যের একজন ডাকসাইটে মাফিয়া নেতা বলে পরিচিত, এর আগে দেশদ্রোহ আইনে তার জেল হয়েছে – বছর কয়েক আগে প্রচুর অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র রাখার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল।

বাবা-মা দুজনেই শাসক দলের খুব প্রভাবশালী নেতা, এবং পুলিশ ঘটনার পর প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ।

পরে যখন নিহত আদিত্যর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ও পথ আটকে দেন, তারপরই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।

ততক্ষণে রকি যাদব ও তার সঙ্গীরা অবশ্য পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ।

গয়ার পুলিশ সুপার গরিমা মল্লিক অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে রকি যাদবই আদিত্যর ওপর গুলি চালিয়েছিল – এবং রকিকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে তারা তার বাবা বিন্দি যাদবকে গ্রেফতার করেছেন।

আর গোটা ঘটনায় বিহারের শাসক দল জেডি ইউ স্বাভাবিকভাবেই ঘোর অস্বস্তিতে পড়েছে ।

তাদের মুখপাত্র কে ডি ত্যাগী শুধু বলেছেন এই ঘটনায় যেই দোষী হোন না কেন, তাকে কোনভাবেই আড়াল করা হবে না।

সূত্র: খবরটি বিবিসি বাংলা থেকে নেওয়া হয়েছে।

Next Post

নার্সিং ভর্তি প্রস্তুতি: দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ ২০০টি প্রশ্ন

১. আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ। ২. উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ট্যাকোমিটার। ৩. এনজিও প্লাষ্টি হচ্ছে হ্রৎপিন্ডের বন্ধ শিরা বেলুনের সাহায্যে ফুলানো। ৪. কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য লৌহ। ৫. কম্পিউটার আবিষ্কার করেন হাওয়ার্ড এইকিন। ৬. কর্কটক্রান্তি রেখা বাংলাদেশের মধ্যখান দিয়ে গেছে। ৭. কার্বুরেটর থাকে […]