অধ্যাপক অজয় রায় মরদেহ দান করে গিয়েছেন বারডেম হাসপাতালে

follow-upnews
0 0

জঙ্গি হামলায় নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা ও পদার্থ বিজ্ঞানের বরেণ্য অধ্যাপক অজয় রায়ের মরদেহ তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে। অধ্যাপক অজয় রায়ের তার ছোট ছেলে অনুজিৎ রায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বারডেম হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিজের মৃতদেহ দান করে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল বাবার (অধ্যাপক অজয় রায়)। মৃত্যুর আগে অনেকবার সে কথা আমাদের জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা বাবার দেহ বারডেম হাসপাতালে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অধ্যাপক অজয় রায়ের ছোট ছেলে আরও বলেন, গত ২৫ নভেম্বর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাবাকে বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, তবে পারিনি। এখন আমার বাবা প্রফেসর অজয় রায় তার কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন।

পদার্থ বিজ্ঞানের বরেণ্য অধ্যাপক অজয় রায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অজয় রায়ের বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

বারডেম হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহীদুল হক মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৫ নভেম্বর থেকে অজয় রায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচার্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

২০১৫ সালে বইমেলা শেষে জঙ্গিদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার বিজ্ঞানমনষ্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়। গত ২৮ অক্টোবর আদালতে ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তিনি।

জঙ্গি হামলায় ছেলে নিহত হওয়ার পর বছরখানেক আগে স্ত্রীকেও হারিয়েছিলেন অধ্যাপক অজয় রায়। এবার অভিজিৎ রায় হত্যার বিচার শেষ হওয়ার আগেই চিরবিদায় নিলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধও করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি সবসময়ই বিজ্ঞানভিত্তিক মানবতাবাদী শিক্ষার পক্ষে কথা বলেছেন।

Next Post

আপনার প্রেমিকার যৌনতৃপ্তি যেভাবে আনবেন

অনেক সময়ই আমরা নারীর যৌন সুখ আমলে নিতে চাই না। কিন্তু একজন পার্টনার হিসেবে এটা আপনার জানা দায়িত্ব যে আপনার সঙ্গী আপনার শারীরিক স্পর্শ পছন্দ করছে কিনা, বা কীভাবে পছন্দ করছে। সঙ্গীর পছন্দ অপছন্দ গুরুত্ব দিতে হবে, নিজের কোনো অনিচ্ছ বা ঘাটতি থাকলে সেসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে, সঙ্গীর […]
দুটি স্তনের মধ্যে ব্যবধান কম হলে

এগুলো পড়তে পারেন