পথে পথে ছিন্নমূল নারী, মা ও শিশু; সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন

follow-upnews
0 0

ঢাকার যে কোনো পথ দিয়ে এক কিলোমিটার হেঁটে গেলে আপনার চোখে পড়বে ছিন্নমূল মা ও শিশু। বিভিন্ন কারণে তারা ছিন্নমূল, প্রধানত স্বামী ছেড়ে যাওয়া বা স্বামী আরেকটা বিয়ে করে চলে যাওয়াই মূল কারণ। ‘স্বামী’ নামের এই পাষণ্ডরা যে শুধু চলে গিয়েছে তাতো না, যাওয়ার আগে একট দুটো বাচ্চা বানিয়ে রেখে গিয়েছে।

মা তো আর এই বাচ্চাদের ফেলে দিতে পারছে না, আবার এদের কোথাও রেখে কাজও করতে পারছে না। এই সংকটটি দরিদ্র, ধর্মান্ধ এবং জনসংখ্যার দিক থেকে বর্ধিঞ্চু দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা, যে সমস্যার দিকে সরকারের আলাদাভাবে কোনো দৃষ্টি নেই। ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন কম বেশি কাজ করলেও ছিন্নমূল মা ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছে এমন কোনো সংগঠন ও সংস্থার খোঁজ পাওয়া একটি বিরল অভিজ্ঞতা।   

বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে এরকম কিছু মায়েদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছে তাদের দুর্বিসহ জীবনের কথা। কাজটি যে আমি আলাদাভাবে মাঠে নেমে করছি এমন নয়। চলতে ফিরতই দেখা পাচ্ছি এমন মায়েদের। যে বা যারা ছবি তুলতে দিতে রাজি হচ্ছেন, তাদের ছবি তুলছি, যারা কথা বলতে রাজি তাদের সাথে কথা বলছি। উদ্দেশ্য, সমাজের বিবেকবান মানুষরা যাতে এদের সাহাযার্থে এগিয়ে আসে, পাশাপাশি সরকারকে একটি রিসার্স আউটপুট দেওয়া, যে কী পরিমাণ নারী এরকম দুর্বিসহ জীবনযাপনের মধ্যে আছে এবং কীভাবে তারা বেঁচে আছে। 

ছিন্নমূল নারী
এই মায়ের সাথে আমার দেখা হয় শাহবাগ ফুটওভারব্রিজে, পাশে মশারির মধ্যে শিশু ঘুমানো এবং তিনিও ঘুমানো।
ছিন্নমূল মা
এই মায়ের সাথে আমার দেখা হয় ধানমন্ডী আবাহনী মাঠের কোণায়। তিনি তখন তার শিশু সন্তানকে কমলা খাওয়াচ্ছিলেন। কমলাটি কেউ তাকে দিয়েছে বললেন। দুটি সন্তানের মধ্যে বড় জনের বয়স চার বছর, ছোটজনের বয়স ৬ মাস।
ছিন্নমূল নারী
মুখ আড়াল করে ছবি তুলতে দিতে রাজী হলেও এই মা কথা বলতে রাজি হলেন না।
ছিন্নমূল নারী
আপাতভাবে এই নারীকে কর্মজীবী মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনিও ছিন্নমূল। তবে কাজ করে বাঁচার শেষ চেষ্টাটুকু চালিয়ে যাচ্ছেন, দুই বছর বয়সী শিশু সন্তানকে পাশে বসিয়ে ইট ভাঙার কাজ করছেন। বাংলা মটর থেকে ছবিটি তোলা।
ছিন্নমূল
সদ্য কিশোর পেরোনো এই মা পড়েছেন ভয়াবহ বিপদে। সংসারের স্মৃতি কাটিয়ে সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন না থাকায় পড়েছেন রাস্তায়। মহাখালি থেকে ছবিটি তোলা।
ছিন্নমূল নারী
এই মায়ের দেখা পেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। রমজানের মাস শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগের ছবি। জানালেন, তিনি মূলত মাদারীপুর শহরে ভিক্ষা করে বাঁচার চেষ্টা করেন, তবে শুনেছেন যে রমজান মাসে ঢাকা শহরে এ ধরনের উপার্জন ভালো, তাই তিনি ঢাকায় এসে পড়েছেন।
ছিন্নমূল নারী
শিশুটি একটি থেমে থাকা ভ্যানের উপর শোয়ানো। এই মা কথা বলতে চাইলেন না, ছবিও তুলতে রাজি হলেন না। ছবিটি কাওরান বাজার থেকে তোলা।
ছিন্নমূল নারী
এই মা ছবি তুলতে রাজি হলেও মুখ ফিরিয়ে রাখলেন। বলতে চাইলেও বলার মতো কোনো কথা আর খুঁজে পেলেন না। খেয়াল করে দেখুন, রাস্তায় শোয়ানো শিশুটি ছাড়াও এই নারীদের কোলে আরেকটি ছোট্ট শিশু রয়েছে। ছবিটি কাওরান বাজার থেকে তোলা।
Next Post

পাকিস্তানি শিক্ষক জুনায়েদ হাফিজের মুক্তির জন্য নির্মূল কমিটির স্বাক্ষর কর্মসূচি

হাফিজ সম্মানজনক ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স করেন। আমেরিকান সাহিত্য, আলোকচিত্র ও থিয়েটার বিষয়ে তাঁর বিশেষত্ব রয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) মামলায় দেশটির বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জুনায়েদ হাফিজকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় মুলতানের একটি আদালত। তথাকথিত ব্লাসফেমির মামলায় দণ্ডিত জুনায়েদ হাফিজের মুক্তির জন্য অনলাইনে স্বাক্ষরের আবেদন জানিয়েছে একাত্তরের […]
জুনায়েদ হাফিজ

এগুলো পড়তে পারেন