নুতন প্রকাশিত বই : ৩২ নম্বরের বাড়ি ও সুধা সদন, যে ইতিহাস সবার জানা দরকার

follow-upnews
0 0

‘৩২ নম্বরের বাড়ি ও সুধাসদন: যে ইতিহাস সবার জানা দরকার’ বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। ভিয়েনা প্রবাসী লেখক, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলামের এই বইটির প্রকাশক সুবর্ণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রফেসর এমিরিটাস আনিসুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এম পি। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, শিল্পী হাসেম খান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ভবন নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তারই প্রতিবাদে তথ্যনির্ভর দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছিলেন এম নজরুল ইসলাম, যা দৈনিক জনকণ্ঠে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। সেই লেখাটিই বই আকারে পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
বইটির ভূমিকায় লন্ডন প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী লিখেছেন, ‘সব ঐতিহাসিক স্থান ও ভবন নিয়েই কিছু মিথ তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়ি নিয়েও হয়েছে। এই মিথকে ইতিহাসের কষ্টি পাথরে যাচাই করে দেশবিদেশের মানুষের অনুসন্ধিৎসা মেটানোর জন্য তুলে ধরা উচিত ছিল। সে কাজটি দীর্ঘদিন ধরে হয়নি। কোনো খ্যাত ইতিহাসবিদ এগিয়ে আসেননি সে কাজটি করার জন্য। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুরা সুযোগ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হননের সঙ্গে সঙ্গে এই বাড়ি, শেখ হাসিনা ও তার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সুধা সদন নামের বাসভবন, এমনকি শেখ রেহানার লন্ডনে একজন কর্মজীবী মহিলার ক্লেশকর জীবনযাপন সম্পর্কেও তারা অনবরত মিথ্যাচার করেছে এবং কুৎসা ছড়িয়েছে।
এই বাড়ি এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের স্মৃতিজড়িত অন্যান্য বাড়িঘরের প্রকৃত ইতিহাস বিস্মৃতির অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যেতে বসেছিল। যদিও ৩২ নম্বরের ধানমণ্ডির বাড়িটি এখন বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, তথাপি এই বাড়ির ইট, কাঠ ও পাথরের নিচে বাঙালির নবজাগরণের যে ইতিহাস ঢাকা পড়ে আছে, তার আবরণ উন্মোচন জরুরি প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছিল। ইতিহাসের সেই জরুরি প্রয়োজনটি মিটিয়েছেন এম. নজরুল ইসলাম।
বইটিতে লেখকের অন্যান্য নিবন্ধ ও বেশ কিছু দুর্লভ ছবি সংযোজিত হয়েছে। তথ্যনিষ্ঠ পাঠকদের চাহিদা মেটাতে বইটি অতুলনীয়। বইটির দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জা করেছেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। আগামীকাল (২২ মার্চ) অনুষ্ঠানস্থলে বইটি হ্রাসকৃত মূল্যে পাওয়া যাবে বলে সুবর্ণ প্রাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সংবাদ উৎস : এবিনিউজ
Next Post

এবার শ্রীজাত’র বিরুদ্ধে ধর্মাবমাননার অভিযোগে এফআইআর

  ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। জানা গিয়েছে, গত ১৯ মার্চ যোগী আদিত্যনাথের শপথ গ্রহণের পর ফেসবুকে একটি কবিতা লেখেন শ্রীজাত। তা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। অভিশাপ নামে কবিতার শেষ দুটি লাইনে ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে’ এই অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের বাসিন্দা […]