তসলিমা নাসরিন লিখেছেন অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড নিয়ে

follow-upnews
0 0

অভিজিতের খুনীরা পুলিশের চোখের সামনে পালিয়েছে। পুলিশ কি ইচ্ছে করেই ওদের ধরেনি? পুলিশ হয়তো ইচ্ছে করেই ওদের ধরেনি। কিছু পুলিশ নাকি দেখেওছে যখন অভিজিৎকে কোপাচ্ছে দুটো ইসলামী সন্ত্রাসী, ভেবেছে ছেলেরা ছেলেরা মারামারি করছে। পুলিশ গত বছর থেকে জানতো আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হিটলিস্টে অভিজিৎ রায়ের নাম চার নম্বরে। ওই টিমের প্রধান জসীমুদ্দিন রাহমানী প্রচুর ছেলের মগজধোলাই করেছে। মুহম্মদের সমালোচনা যে লেখকই বা ব্লগারই করবে তাকে খুন করার উৎসাহ দিত রাহমানী। মেরে ফেলার জন্য আটজনের একটা লিস্ট করেছিল। রাহমানী এখন জেলে। কিন্তু মগজধোলাই হওয়া তার কবন্ধ শিস্যগুলো তো জেলের বাইরে! রাহমানীর শিস্যদেরই যে শুধু খুনী হওয়ার আশংকা, বলছি না। বুঝে কোরান পড়লেও মগজধোলাই হয়।

অসংখ্য মানুষ এবং পুলিশের চোখের সামনে খুন হলো অভিজিৎ। আততায়ীরাও হয়তো ভাবেনি এত সহজে কাজটা সম্ভব হবে। জঙ্গিদের হিটলিস্টে আর যাদের নাম আছে, তাদের কি এখন থেকে প্রটেকশন জুটবে? নাকি তাদেরও এক এক করে এভাবে মরতে হবে যেভাবে অভিজিৎ মরেছে? 

Next Post

জাকিয়া সুলতানা মুক্তা // বিষয় ঃ অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড

আমার ঢাবি ক্যাম্পাসটাতেই কেন বারবার এমন নৃশংসতাগুলো সংঘটিত হচ্ছে! মানুষ হত্যা করে, কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব; আমার এটা কোনভাবেই বোধগম্য নয়! ধিক্কার জানাই এরকম নৃশংস হত্যাকান্ডের, ধিক্কার ঘৃণিত হত্যাকারীদের! ভিন্নমতের কারো কন্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া মানে ভিন্নমতের কন্ঠরোধ করা নয়; বরং সেই ভিন্নমতের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা! ভিন্নমতকে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে […]
Zakia Sultana Mukta