আব্দুল জব্বার আর আমাদের মাঝে নেই

follow-upnews
0 0

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী আবদুল জব্বার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (৩০ আগস্ট, ২০১৭) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আব্দুল জব্বার কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন আবদুল জব্বার। তার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ ছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেছিলেন, শনিবার রাত থেকেই আবদুল জব্বার সংজ্ঞাহীন হয়ে কোমায় আছেন। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার রক্তচাপ দ্রুতই নেমে যাচ্ছে। শরীরের অন্য অর্গানগুলোও কাজ করছে না। তাই অবস্থা একদমই ভালো নয়।

শিল্পী আবদুল জব্বার বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৬২০ নম্বর কক্ষে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। চলতি বছরের ৩১ মে তিনি হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তাঁকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়ে আব্দুল জব্বার এখনও সকলের হৃদয়ে জায়গা করে আছেন। পাকিস্তান আমলে বাংলা চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাকে তার গাওয়া “তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়”, “পিচ ঢালা এ পথটারে ভালবেসেছি”, “ও রে নীল দরিয়া, আমায় দে রে দে ছাড়িয়া” এমন অনেক গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে রেখেছেন অসামান্য ভূমিকা। “সালাম সালাম হাজার সালাম” ও “জয় বাংলা বাংলার জয়”সহ অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সংগীত ভুবনের এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হয়ে যান।

 

 

Next Post

শিশুর খাদ্যাভাস আমি বুঝতে পারি // দিব্যেন্দু দ্বীপ

বিষে বিষ ক্ষয়, নারী-পুরুষ মিলে ঠিক মানুষ হয়। যত বেশি নারী-পুরুষ তত বেশি মানুষ!   বন্ধ দরজার সামনে অচেনা জুতোর মাপ নিইনি আমি। ফিরে এসে প্রিয়তমার জন্য ফেচ পাউডার কিনেছিলাম সেদিন।   ডিএনএ টেস্ট শুধু একটি সত্য উদঘাটন করেছে মাত্র, প্রতিশোধ নিইনি, নিঃসন্তান হইনি আমি তাতে মোটেও। পরিব্রাজক হয়ে জীবনকে […]
love picture

এগুলো পড়তে পারেন