র‌্যাব বলছে উদ্ধার হওয়ার আগে খুলনার ‘গ্রিল হাউজে’ ডিনার করেন ফরহাদ মজহার

follow-upnews
0 0

হেফাজতের তের দফার কথিত রূপকার ফরহাদ মজহার সোমবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে খুলনার নিউ মার্কেট এলাকার ‘গ্রিল হাউজে’ ডিনার করেছেন। গ্রিল হাউজের মালিক ও স্টাফদের বরাত দিয়ে এ দাবি করেছে র‌্যাব- ৬ ।

র‌্যাব ৬ -এর কোম্পানি কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ফরহাদ মজহারের মোবাইল ট্র্যাকিং থেকে জানা যায়, তিনি গ্রিল হাউজ এলাকায় রয়েছেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রিল হাউজে অভিযান চালায় র‌্যাব ৬। সেখানে তল্লাশির এক পর্যায়ে গ্রিল হাউজের মালিক ও স্টাফদের ফরহাদ মজহারের ছবি দেখানো হয়। তখন তারা সেখানে ফরহাদ মজহারের ডিনার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

র‌্যাব কমান্ডার জানান, রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত গ্রিল হাউজেই তাদের অবস্থান ও অভিযান চলছিল। একই সঙ্গে মোবাইল ট্র্যাকিং -এর মাধ্যমে ফরহাদ মজহারের পরবর্তী অবস্থান জানার চেষ্টা চলছিল।

গ্রিল হাউজের মালিক আব্দুল মান্নান জানান, রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে ফরহাদ মজহার একাই গ্রিল হাউজে আসেন। তিনি সেখানে রাতের খাবার খান। তিনি সাদা ভাত, ডাল ও সবজি খেয়ে ১৭০ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন। এ সময় তিনি পরনে সাদা লুঙ্গি, সাদা পাঞ্জাবি ও মাথায় সাদা কাপড় বাঁধা অবস্থায় ছিলেন।
গ্রিল হাউজের স্টাফ রেজাউল করিম জানান, গ্রিল হাউজে অবস্থানকালে ফরহাদ মজহারকে ঘুম ঘুম অবস্থায় দেখা গেছে। শারীরিকভাবে তিনি দুর্বল ছিলেন।।

গ্রিল হাউজের ক্যাশিয়ার ইব্রাহিম মোল্লা জানান, ফরহাদ মজহার রাতের খাবার শেষে ১৭০ টাকা বিল পরিশোধ করেন। এ সময় তার সঙ্গে অন্য কাউকে দেখা যায়নি।
এদিকে কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে র‌্যাব- ৬। রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার বা সন্দেহভাজন কাউকে আটক করা যায়নি। র‌্যাব-৬ এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,ফরহাদ মজহার সোমবার ভোরে রাজধানী ঢাকার শ্যামলী থেকে নিখোঁজ হন। হক গার্ডেনের বাসা থেকে ভোর ৫টা ৬ মিনিটের দিকে তিনি নিজেই বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। তার মোবাইলটিও বন্ধ হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মোবাইল থেকে কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
র‌্যাব পরিচালক জানান, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফরহাদ মজহারের মোবাইলটি ট্র্যাকিং শুরু করে র‌্যাব সদস্যরা । ট্র্যাকিংয়ে পর্যায়ক্রমে ওই মোবাইল নম্বরটির অবস্থান ঢাকার মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাগুরা এবং খুলনায় শনাক্ত হয়।
ফরহাদ মজহারের খোঁজে সন্ধ্যা ৬টা থেকে খুলনার কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড এলাকায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। অভিযানকালে সন্দেহজনক ভবন, স্থান এবং গাড়ি তল্লাশি করা হয়। অ্যাপ্রোচ রোডের ইব্রাহিম মিয়া সড়কের কয়েকটি বাড়িতেও তল্লাশি করা হয়। রাত সোয়া ৯টায়ও অভিযান চলছিল। এ সময় পর্যন্ত ফরহাদ মজহারের কোনও সন্ধ্যান মেলেনি।


সূত্র: অনলাইন. বাংলাট্রিবিউন

Next Post

আমলযোগ্য অপরাধে আপোসের সুযোগ থাকে কীভাবে?

যে অপরাধগুলোর কারণে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে, ১৫৪ ধারায় মামলা করতে পারে, ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত পরিচালনা করতে পারে সেই সকল অপরাধসমুহকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে জানি। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধগুলো আমলযোগ্য অপরাধ, অর্থাৎ পুলিশ এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক মামলা করতে পারে, করে থাকে। উল্টোপথে গাড়ি চালানো নিঃসন্দেহে ট্রাফিক আইনের […]
উল্টো দিক থেকে গাড়ি বিচারপতির গাড়ি