সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে নির্মূল কমিটির শোক প্রকাশ

follow-upnews
0 0
Mohammed Nasim
২৬ জুন ২০১৮, শহীদজননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ কর্তৃক আয়োজিত জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা, স্মৃতিপদক প্রদান ও ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম এমপি। মঞ্চে উপবিষ্ট (বাম থেকে) নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অজয় রায়, কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, ‘রিসার্চ ইনিসিয়েটিভ বাংলাদেশ’-এর নির্বাহী পরিচালক শহীদসন্তান ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা ও নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের প্রবীণ সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

১৩ জুন এক শোকবার্তায় বলা হয়— ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক, ১৯৭৫ সালে কারাগারে নিহত বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহযোগী শহীদ ক্যাপ্টেন (অব:) মনসুর আলীর পুত্র সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অকাল মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত শোকাহত।

দীর্ঘ ১৩ দিন হাসপাতালে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ‘শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে সূচিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাগরিক আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা তার আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ১৪ দলীয় জোট গঠন এবং পরপর তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই জোটের অবিস্মরণীয় বিজয়ের ক্ষেত্রে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন।

করোনা মহামারীর সূচনাকাল থেকে তিনি সব সময়ে সিরাজগঞ্জে তার নির্বাচনী এলাকায় আর্তমানুষের পাশে ছিলেন এবং তার এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদপত্রে নিয়মিত লিখেছেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে জাতি জনগণের সেবায় নিয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক এক মহান রাজনীতিবিদকে হারিয়েছে এবং আমরা হারিয়েছি আমাদের আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবককে।

নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ তার পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য, সহকর্মী ও অগণিত অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছে।

স্বাক্ষরদাতা—

বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাংবাদিক কামাল লোহানী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরননবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভুঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সমাজকর্মী সরদার জাকির হোসেন খসরু, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, অধ্যাপক সুজিত সরকার, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, কবি দিব্যেন্দু দ্বীপ, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট কাজী মানসুরুল হক খসরু, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।

Next Post

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে (১৯৬৪) চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক ভাষণ

মাত্র ৩৯ বছরের একটা জীবন (১৪ জুন ১৯২৮ – ৯ অক্টোবর ১৯৬৭), এই বয়সেই তিনি বিশ্ববাসীকে দিয়ে গিয়েছেন মানব মুক্তির সনদ, সেটি শুধু তাত্ত্বিকভাবে নয়, বাস্তবিক উপায়েও। সম্রাজ্যবাদী হানাদারেরা বুঝে গিয়েছিল যে, চে কে আর বাঁচিয়ে রাখার সুযোগ নেই— চে কে বলিভিয়ায় সিআই-এর সহায়তায় বলিভিয়ান বাহিনী আটক করে ৮ অক্টোবর, […]
চে গুয়েভারা

এগুলো পড়তে পারেন