১০ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসক এবং আরো ২০ জনের প্রতি হাইকোর্টের রুল

follow-upnews
0 0

রামু, কক্সবাজারে নির্মাণাধীন ১০ ইটভাটার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে- “কৃষি জমি ও বন বিভাগের সংরক্ষিত জমির পাশে স্থাপিত ইটভাটাগুলো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, বর্তমানে নির্মাণাধীন ইটভাটাগুলো কেন এ জায়গা থেকে সরানো হবে না? ইটভাটাগুলো এ জায়গা থেকে কেন সরানো হবে না, এম.জি.এ ব্রিকস-১ ও ২ এবং আর.আই.এম ব্রিকস-১ ও ২ জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দেয়া অনুমতি পত্র কেন আইন বহির্ভুত ঘোষণা করা হবে না”

সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ১০ ইটভাটার মালিক, দুই সচিব, কক্সবাজরের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের প্রতি ১০ ডিসেম্বর এ রুল জারি করেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে দায়েরকৃত এক মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে জারিকৃত এ রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে বেলা ’র পক্ষে আইনজীবি এম আমিন উদ্দিন ও আলী মোস্তফা খান এবং রাষ্ট্র পক্ষে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মোতাহার হোসেন শুনানিতে অংশ নেন।

যাদের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে– ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা, রামু রাবার বাগানের উপ-ব্যবস্থাপক, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও ইটভাটা মালিকরা যথাক্রমে সাসকো ব্রিকস (বর্তমানে রানা ব্রিকস), টু স্টার ব্রিকস, এ.বি.এম ব্রিকস,এস.এস.বি ব্রিকস,আর.এম.এল ব্রিকস, আর.আই.এম ব্রিকস-১, ২ ও আর.আই.সি ব্রিকস, এম.জি.এ ব্রিকস-১ ও ২।

এর আগে গত ৩০মে ওই ২০ বিবাদীকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয় বেলা’র পক্ষ থেকে। নোটিশে বলা হয়েছিল, কাউয়ারখোপ এলাকার বাসিন্দাগণ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ এলাকার তিনদিকে বনবিভাগের সংরক্ষিত বন ও সরকারি রাবার বাগান বিদ্যমান থাকায় কৃষি জমির পরিমাণ সীমিত। এ সীমিত কৃষিজমিতে ১০টি ইটভাটা নির্মিত হওয়ায় কৃষিজমি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। অধিকন্তু ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি। ফলশ্রুতিতে ফসলি জমি রুপান্তরিত হচ্ছে বদ্ধ জলাধারে যেখানে স্বাভাবিক ফসল উৎপাদন মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসলি জমিতে গড়ে উঠা এসব ইটভাটা একদিকে যেমন কৃষিজমি হ্রাস করে অকৃষি জমিতে পরিণত করছে অন্যদিকে সংরক্ষিত ও রাবার বাগান ধ্বংস করে উল্লেখিত এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা মারাত্বক হুমকিরমূখে ফেলছে। একইসাথে ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এলাকাবাসীর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘন করছে। এসব ইটভাটার দূষণ থেকে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ফসলি জমি ও বনভূমি রক্ষার্থে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একাধিকবার আবেদন করলেও ইটভাটা নির্মাণ বন্ধে বা উচ্ছেদ করতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং এসব ইটভাটার অধিকাংশেরই অনুকূলে পরিবেশগত ও ইটপোড়ানো সনদ প্রদান করা হয়েছে যা ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১৩-এর পরিপন্থি।

 

Next Post

ছোটগল্প: মেয়েটি

ফিরে তাকালো মেয়েটি… হাত ইশারায় বলল পিছু পিছু চলেন। খুব বেশি রাত হয়নি তখনও। ১০টার একটু বেশি। যেখানে মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে আরও কিছু মেয়ে ছিল। এই মেয়েটাকে আমার সবার থেকে একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে সে একটু আলাদা স্বভাবের। আমার দিকে তাকিয়ে কেমন যেন অদ্ভুতভাবে তাকাচ্ছে নীল রংয়ের […]
মেহেদি হাসান