পাগলিনীর প্রেমের প্রলাপ // সিলভিয়া প্লাথ

follow-upnews
0 0

আমি চোখ বুজতেই পৃথিবীতে যেন মৃত্যু নামে;

চোখ খুলতেই আবার প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে পৃথিবী।

(হয়ত আমার মস্তিষ্কেই গড়ে নিয়েছি তোমার প্রতিকৃতি।)

 

তারাগুলো ঝিকিমিকি জ্বলতে থাকে,

হঠাৎ অন্ধকার এসে সব আলো গিলে খায়:

আমি চোখ বুজতেই পৃথিবীতে যেন মৃত্যু নামে।

 

আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম তুমে আমাকে বিবশ করেছিলে বিছানায়

চন্দ্র মাতোয়ারা হয়েছিল তোমার গানে,  আমাকে চুম্বন করেছিল উন্মাদ এক।

(হয়ত আমার মস্তিষ্কেই গড়ে নিয়েছিলাম তোমার প্রতিকৃতি।)

 

ঈশ্বর উল্টে পড়েছে আকাশ হতে, নরকের আগুন নিভে গিয়েছে:

দেবতা এবং অসুরেরা পালাচ্ছে:

আমি চোখ বুজতেই পৃথিবীতে যেন মৃত্যু নামে।

 

আমি ভাবতাম কল্পিত তোমায় পাব,

কিন্তু আমি বুড়িয়ে গিয়েছি, ভুলে গিয়েছি তোমার নাম-পরিচয়।

আমি চোখ বুজতেই পৃথিবীতে যেন মৃত্যু নামে।

 

এর চেয়ে আমি ভালোবাসতে পারতাম যদি দূর আকাশের কোনো পাখিকে,

অন্তত প্রতি বসন্তে সে গান শোনাতো।

আমি চোখ বুজতেই পৃথিবীতে যেন মৃত্যু নামে।

(হয়ত আমার মস্তিষ্কেই গড়ে নিয়েছিলাম তোমার প্রতিকৃতি।)

 

অনুবাদ: দিব্যেন্দু দ্বীপ

 

Mad Girl’s Love Song

“I shut my eyes and all the world drops dead;
I lift my lids and all is born again.
(I think I made you up inside my head.)

The stars go waltzing out in blue and red,
And arbitrary blackness gallops in:
I shut my eyes and all the world drops dead.

I dreamed that you bewitched me into bed
And sung me moon-struck, kissed me quite insane.
(I think I made you up inside my head.)

God topples from the sky, hell’s fires fade:
Exit seraphim and Satan’s men:
I shut my eyes and all the world drops dead.

I fancied you’d return the way you said,
But I grow old and I forget your name.
(I think I made you up inside my head.)

I should have loved a thunderbird instead;
At least when spring comes they roar back again.
I shut my eyes and all the world drops dead.
(I think I made you up inside my head.)”


সিলভিয়া প্ল্যাথ (অক্টোবর ২৭, ১৯৩২ – ফেব্রুয়ারি ১১, ১৯৬৩) ছিলেন একজন আমেরিকান কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্প লেখক। তিনি ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন এবং কবি ও লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পূর্বেই স্মিথ কলেজ, নিউনহাম কলেজ এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার শিক্ষা সম্পন্ন করেন। সিলভিয়া ১৯৫৬ সালে তার সমসাময়িক কবি টেড হিউজেকে বিয়ে করেন; এই সময় তারা মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে বসবাস করলেও পরবর্তিতে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান, এই দম্পতির দুই সন্তান ফ্রায়েডা হাজেস এবং নিকোলাস হাজেস। প্ল্যাথ প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশিরভাগ সময় অবসাদ আর বিষন্নতায় ভুগতেন, ১৯৬৩ সালে তিনি আত্মহত্যা করেন। যদিও তার জীবন এবং মৃত্যু, সেইসাথে তার লেখা এবং উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এখনো বিতর্ক চলছে।

Sylvia Plath

প্ল্যাথ তার প্রকাশিত দ্য কলোসাস এ্যান্ড আদার পোয়েট্রি এবং এরিয়েল কাব্যসংকলনে স্বীকারোক্তিমুলক কাব্যধারা চর্চার কারণে বিশেষভাবে আলোচিত। তিনি ১৯৮২ সালে দ্য কলেক্টেড পোয়েম-এর জন্য কবিতায় মরণোত্তর পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন। এছাড়া মৃত্যুর অল্প কিছুদিন আগে দ্য বেল জার  নামে প্ল্যাথের একটি আধা-আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল।

Next Post

কোভিড-১৯ এবং আমার বেঁচে ফেরা (২)

পূর্বপ্রকাশের পর (লিঙ্ক) এরপর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কোভিডের নিয়মিত চিকিৎসাতেই আমি সুস্থ হয়েছি। যারা হাসপাতালে নিয়ম করে আমার কাছে ছিল— আমার স্ত্রী নুরুন্নাহার সুবর্ণা, বড় বোন তুলিকা রাণী দাস, ছোট বোন দেবপ্রিয়া দাস, ছোট ভাই শেখ দিদারুজ্জামান, এবং দাদা বাবু বিভাষ ভূষণ দাস মাঝে মাঝে গিয়েছেন। ছোট ভাই সজল বিশ্বাস দেখতে […]
দিব্যেন্দু দ্বীপ