ছড়ার বইঃ মেঘেদের দল // দিব্যেন্দু দ্বীপ

follow-upnews
0 0

আজব দেশ

আজব দেশের আজব কথা

কাঁঠাল গাছে আমের পাতা।

আজব দেশের আজব গান

গম ক্ষেতে সোনার ধান।

আজব দেশের আজব শখ

কাকের নাম সাদা বক।

আজব দেশের আজব ছড়া

এদেশের নিয়ম খুব কড়া!

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশে নেমে এসেছিল এক অন্ধকার সময়। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন করা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র দখল করে নিয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম নেপথ্য নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাকেরা সেজেছিলেন দেশের উদ্ধারকর্তা! সেই অন্ধকার সময় এখনো কাটেনি, এখনো মুজিব কোট গায়ে চাপিয়ে খন্দকার মোশতাকেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বীরদর্পে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন নরপশুদের হাত থেকে দেশটাকে উদ্ধার করতে। অনেকটা তিনি সফল হলেও এখনো অনেক পথ যেতে বাকী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দীর্ঘ সময় আমাদের দেশটাকে দুজন জেনারেল শাসন করেছেন, যারা কেউ-ই বঙ্গবন্ধুর বিশ্ব শান্তির রাজনৈতিক দর্শন বোঝেননি এবং মানেননি, তারা দেশটাকে হীন স্বার্থে উল্টোপথে পরিচালিত করেছিলেন। তাদের সাথে একাট্টা হয়েছিল অনেক বুদ্ধিজীবী এবং সাহিত্যিকও! এরপর জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এসেও সেই একই পথে হেঁটেছেন। ঘনঘোর, করুণ এবং কালিমালিপ্ত সেই সময়কালকে নির্দেশ করতেই উপরের এই ছড়াটি।

আজব লোক

একটা পা দুইটা মাথা

কানে জুতা পায়ে ছাতা।

পেটটা তার পিঠের মতো

মুখ সেখানে শত শত।

মশা খায় মাছি খায়

এই লোকটা দেখতে বেজায়।

নাকের পরেও একটা চোখ

এ কেমন আজব লোক!

 

ফানি

জল না পানি

আমি কিন্তু জানি।

দিদি না নানি

ফান ফান ফানি।

 

বাঘের খামার

বাগেরহাটে বাড়ি আমার

আছে আমার বাঘের খামার।

খামারে বাঘের ছবি

বাঘ পোষা আমার হবি।

আমি বাঘ ভাই ভাই

খাইদাই একসাথে ঘুমাই।

 

শিয়াল বোকা

বিড়াল ডাকে ম্যাও ম্যাও

ক্যাঙ্গারু ক্যাও ক্যাও।

চিক চিক জোঁনাক পোকা

কোথা যাও একলা খোকা?

আমার কাছে শিয়াল বোকা।

দেখবে কেমন দেব ধোঁকা?

 

আমরা হব

বাবা বলে ডাক্তার হবে

মা বলে ইঞ্জিনিয়ার হও।

মামা বলে ছবি  আঁকবে

কাকা বলে গান গাও।

মা-বাবা-মামা-কাকা

ওদের সবার মাথা ফাঁকা

নষ্ট হয়েছে

আমার গাড়ির চাকা।

সাথে নিয়ে একটা ফুটবল

সবাই আমার সাথে চল।

চল চল চল, মাঠে চল।

 

চাঁদ ভেসে যায়

আজকে রাত দুপুরে

চাঁদ ডুবেছে পুকুরে।

ঐ দেখা যায় আকাশে

চাঁদ ভেসে যায় বাতাসে।

সূর্যি মামার দেশে

চাঁদ চলেছে হেসে।

 

মেঘেদের দল

মেঘেদের দল

আমার সাথে চল।

বৃষ্টি তোরা পড়

ঐ দ্যাখ আসছে ঝড়।

যেতে হবে বহুদূর

যতক্ষণ না ওঠে রোদ্দুর।

 

জাতির পিতা

শেখ মুজিব জাতির পিতা

এনেছে সে স্বাধীনতা।

শেখ মুজিব বিশ্বনেতা

বলত সে মানুষের কথা।

“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,

এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।”

শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধুর নাম

জানাই তাকে হাজার ছালাম। 

 

চে

চে গুয়েভারার গল্প

শুনে নাও এখন অল্প।

বড় হয়ে জানবে

তাকে তোমরা মানবে।

 

বৃষ্টি

আমার সাথে যাবি?

কমলা লেবু খাবি?

টক টক মিষ্টি মিষ্টি

হঠাৎ দেখি পড়ল বৃষ্টি।

কমলা লেবু গাছে

দোয়েল পাখি নাচে।

বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি

বন্ধ আমার দৃষ্টি।

যা বৃষ্টি চলে যা

কানে কানে বলে যা।

আমরা দুই ভাই

কমলা লেবু খাই।

এখন আমি যাই।

 

একটা দেশ

সে একটা দেশ

বেশ বেশ বেশ।

খেঁক শিয়ালের লড়াই

জিতে করে বড়াই।

মিটিং করে ফিটিং করে

ঘোড়ার পিঠে গাধা চড়ে।

ভেড়া ডাকে ভ্যা ভ্যা

ঠিক তাই হ্যাঁ হ্যাঁ।

 

ক্ষমা নেই ওদের

১৫ আগস্ট ভোর রাতে,

বর্বরেরা অস্ত্র হাতে;

৩২ নম্বর বাড়িতে হানা দেয়।

দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে কেড়ে নেয়।

শিশু রাসেল বাঁচতে চেয়েছিল,

তাকেও ওরা ভয় পেল;

বর্বরেরা গুলি করল,

ছোট্ট রাসেল রক্তাক্ত হলো।

ওদের ক্ষমা করা যায় কি বলো?

 

স্বাধীনতার ঘোষক

২৫ মার্চ ১৯৭১,

হানা দিয়েছিল ওরা পাকিস্তানি হানাদার।

২৬ মার্চ ১৯৭১,

স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১,

বাংলাদেশ স্বাধীন হলো;

হানাদারেরা লেজ গুটিয়ে পালালো।

Next Post

মানুষের প্রকৃতিলব্ধ এবং সংগ্রামী জীবনের পরিপূর্ণ একটি চিত্রপট “সোহাগীর গয়না” চলচ্চিত্রটি

এটি একটি দৃশ্যপ্রধান চলচ্চিত্র। প্রধানত গ্রাম, এবং শহরের প্রচুর দৃশ্য চিত্রায়ন করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। বিশেষত নিম্নবিত্ত এবং বৈষম্যের ধাক্কায় ছিটকে পড়া মানুষের জীবন, জীবনের সংগ্রাম এবং নিগ্রহের দিকটি উঠে এসেছে। নির্মাতা লতা আহমেদ কাজটি করেছেন সুনিপুনতায়, সহজ সরল স্বাভাবিকভাবে মৃৎসন্তান হয়ে বেঁচে থাকা মানুষের জন্য দরদ ঢেলে দিয়ে। এক কথায় […]
সোহাগীর গয়না