‘ভূত ও ভগবান’ ঃ বইটিতে ভাবনার খোরাক রয়েছে

follow-upnews
0 0

voot bhagaban mail

একুশে বইমেলা-২০১৫ তে গ্রন্থকুটির প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছিল বইটি। বইটিতে ছোট ছোট কবিতা রয়েছে, যেগেুলোকে অনুকবিতা বলা যেতে পারে। তবে ‘তোমার আছে দেহ, আমার আছে মোহ’ টাইপের অনুকবিতা নয় এগুলো। বইটি পড়তে পড়তে পাঠক গভীর দ্বন্দ্বে পড়ে যায়, কখনো পুলকিত, কখনো কিছুটা ক্ষিপ্তও হয় পাঠক। একজন পাঠক জানতে চেয়েছিলেন— লেখক বইটির নাম কেন ‘ভূত এবং ভগবান’ দিয়েছেন? কোথাও ভূতের দেখা পেলাম না, ভগবানের দেখাও পেলাম  না। আমি উত্তর দিতে পারিনি। ফোন করে লেখকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। লেখক আমাকে বলেছেন, ভাবার্থে বইটির নাম ‘ভূত এবং ভগবান’ দেওয়া হয়েছে। বইটিতে একটি অনুকবিতা আছে— ‘যৌবন হলো ভূত, জীবন হলো ভগবান’ সেখান থেকেই নামটি নেওয়া হয়েছে। বইটিতে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। ছোট ছোট কাপলেটেরে মাধ্যমে মানব মনের চিরাচরিত সংশয় এবং দ্বিধার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। লেখক মনে করেন অনিশ্চয়তা বোধ থেকেই সৃষ্টি হয়, ঈশ্বরও সেভাবেই সৃষ্টি হয়েছেন। বইটিতে তত্ত্বের সংমিশ্রণ রয়েছে। রয়েছে দেহতত্ত্বও। লেখক একজায়গায় লিখেছেন— ‘সতী নারীরা পছন্দ করে অমাবশ্যা রাত, আমার পছন্দ পূর্ণিমা।’ লাইন দু’টির মধ্যে যাপিত জীবনের জটিলতার প্রতি বিশেষ ইঙ্গিত রয়েছে। সাম্যবাদের কথা রয়েছে। লেখক এক জায়গায় লিখেছেন, ‘কেড়ে নিও না, দেখবে আর দান করতে হবে না।’ আসলে ছোট্ট এই বইটিকে তত্ত্বের সংমিশ্রণ বলা যেতে পারে। সহজপাঠ্য এ বইটি পড়তে সময় লাগবে মাত্র বিশ মিনিট, কিন্তু লেখাগুলো আপনাকে ভাবাবে রোজ, কারণ আপনার রোজকার জীবনের ‘না-বলা’ কথাই রয়েছে বইটিতে।

Next Post

মিথ্যাবাদী শিশুদের স্মরণশক্তি সবচেয়ে ভালো

ভালো স্মরণশক্তির অধিকারী শিশুরা সবচেয়ে ভালোভাবে মিথ্যা বলতে পারে বলে মনোবিজ্ঞান গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন। তাঁরা ছয় আর সাত বছর বয়সী কিছু শিশুকে একটি খুব সাধারণ খেলায় কারসাজি করার সুয়োগ দিয়ে তা নিয়ে মিথ্যা বলার অনুমতি দেন। পরে দেখা গেল যেসব শিশু খুব ভালো মিথ্যাবাদী, তারা স্মরণশক্তির পরীক্ষায় ভালো করেছে। এর […]