গোপালগঞ্জে মাতৃ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি গুণে-মানে-স্বাদে সেরা

follow-upnews
2 0

দোকানটির অবস্থান গোপালগঞ্জ কোর্ট চত্ত্বর সংলগ্ন মেইন রোডে। দোকানটির স্বত্ত্বাধিকারী মনোজ ঘোষ। তিনি নিজেই মিষ্টির কারিগর। সত্যিই তিনি অসাধারণ মিষ্টি বানান। মিষ্টিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। তিনি মিষ্টি বানান গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে। কোনো ধরনের গুড়ো দুধ তিনি ব্যবহার করেন না। মিষ্টির কারিগর মনোজ ঘোষের রয়েছে ব্যবসায়ীক জীবনের এক দীর্ঘ্য ইতিহাস। তার বাড়ী শরিয়তপুর জেলায়। ওখানেই তার একটি মিষ্টির দোকান ছিল। কিন্তু কোনো একটা কারণে সাতক্ষীরায় গিয়ে তিনি দেখতে পান— ওখানে দুধের দাম খুব কম। সিদ্ধান্ত নেন সাতক্ষীরায় থেকে গিয়ে ব্যবসা করবেন। যে ভাবনা সেই কাজ। প্রথম তিনি দুধ থেকে ছানা তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতেন। এরপর ২০০১ সালে সাতক্ষীরা শহরে মিষ্টির দোকান করেন। গোপালগঞ্জ এসে তার মনে হলো এখানে কোনো ভালো মিষ্টির দোকান নেই, ফলে সাতক্ষীরার ব্যবসা গুটিয়ে তিনি চিন্তা করলেন গোপালগঞ্জে দোকান করবেন। করলেনও তাই। দোকানের বয়স মাত্র ছয় মাস। এখনও গোপালগঞ্জের বেশিরভাগ মানুষ মনোজ ঘোষের মিষ্টির স্বাদ নিয়ে পারেনি, ফলে জানতেও পারেনি মিষ্টির এ অপূর্ব স্বাদ সম্পর্কে। তিনি আশা করছেন দ্রুতই গোপালগঞ্জের মানুষ তার মিষ্টি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকবে। বর্তমানে তিনি লসে দোকান পরিচালনা করছেন। মিষ্টি বানানোর অভিজ্ঞ এ কারিগর সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

দিব্যেন্দু দ্বীপ
নিরাপদ খাবার তৈরি এবং বিক্রীর জন্য ‘নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন’-এর সভাপতি দিব্যেন্দু দ্বীপের কাছ থেকে ক্রেস্ট নিচ্ছেন মিষ্টির অভিজ্ঞ কারিগর এবং মাতৃ মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী মনোজ ঘোষ।

Next Post

আমাদের সফর এখনো চলছে // তাপস ঘোষ

১২ মে ২০২২ তারিখে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম পশ্চিম বাংলার কালিম্পং জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইচ্ছেগাও নামক এক গ্রামে । আমরা রায়গঞ্জ থেকে আমাদেরই এক বন্ধুর গাড়ী নিয়ে ছয়জন খুব ভোরে রওনা দিয়েছিলাম । শিলিগুড়িতে আমাদের এক বন্ধুকে নিয়ে আমরা ছুটলাম ইচ্ছেগাও-এর উদ্দেশ্যে । আমার পরিচিত একজনের হোম-স্টে আমরা […]
কালিম্পং