দ্বীপে মানুষ নেই, কিন্তু প্লাস্টিক-আবর্জনার পাহাড় জমেছে

follow-upnews
0 0

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রত্যন্ত জন-মানবহীন দ্বীপের সাগরতীরে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন প্লাস্টিক এবং আবর্জনার টুকরো জড় হয়েছে। বিশ্বের যে কোনো জায়গার তুলনায় প্লাস্টিক বর্জ্যের ঘনত্ব এখানে সবচেয়ে বেশি

বিবিসি বাংলা

হেন্ডারসন দ্বীপে জড় হওয়া প্লাস্টিক আর জঞ্জালের এই পাহাড় নিয়ে বিস্ময় আর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, জাহাজ থেকে প্রতিদিন পানিতে কত জঞ্জাল যে ফেলা হচ্ছে তার প্রমাণ এই দ্বীপটি।

পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আরেকটি কারণ দ্বীপটি সাগরের মূল স্রোতধারার খুব কাছে।

ব্রিটিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান গবেষকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্তমানে হেন্ডারসন দ্বীপে প্রতি বর্গমিটারে ৬৭১ টি জঞ্জাল।

সমীক্ষা রিপোর্টটি যে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাতে এই দ্বীপটিকে ‘বিশ্বের আবর্জনার গর্ত’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

মাছ ধরার বিভিন্ন জিনিস ছাড়াও দ্বীপের সাগরতীরে টুথব্রাশ, সিগারেট লাইটার, রেজারের মত জিনিসপত্রও রয়েছে। নানা রঙের, নানা আকৃতির টুপি ছড়িয়ে রয়েছে।

গবেষক জেনিফার লেভারস বলছেন, “কাঁকড়াগুলো এখন পানির বোতল বা অন্যান্য পাত্রের মধ্যে বাসা বেঁধেছে।”

ড. লেভারস বলছেন, সাগরে ছুড়ে ফেলা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র পরিবেশকে কতটা হুমকিতে ফেলেছে হেন্ডারসন দ্বীপের অবস্থা তার একটি নমুনা।

“বিশ্বের প্রতিটি দ্বীপ এবং সাগরের প্রতিটি প্রাণীর ওপর এই জঞ্জালের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।” প্লাস্টিকের জঞ্জাল বিশেষ ক্ষতি করছে কারণ সেগুলো মাটিতে বা পানিতে মিশে যাছেনা।


নিউজটি বিবিসি বাংলা থেকে কপি করা।

Next Post

ওদের সওদাগরি // দিব্যেন্দু দ্বীপ

এই তল্লাটের নবীজীরা উড়তে শেখেনি, ওরা তাই পাখিকেও সাঁতরে নদী পার হতে বাধ্য করে। হেসে বলে ঈশ্বরের নির্দেশে স্বর্গ পাবার আশে তোমরা থাকো আমাদের পাশে। কিছু পাখি মুক্ত হয়ে উড়ে যায় দূর পরবাসে অভিমানে। কিছু পাখি তবু নিরুপায়, কিছু ভয়ে গুটিসুটি, ক্লান্ত হয়ে সাঁতার কাটে আজও ওদের চক্রান্তের হাটে।
পয়গম্বর