নোবেল পুরস্কার সম্পর্কিত বিস্ময়কর কিছু তথ্য

follow-upnews
0 0

২৭ নভেম্বর ১৮৯৫, আলফ্রেড নোবেল তার সমস্ত সম্পত্তি এই বলে উইল করে দেন যে, তার গচ্ছিত অস্থাবর এবং স্থাবর সম্পদ থেকে যে আয় হবে তা থেকে যেন পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে একটি পুরস্কার দেওয়া হয়।

২০০১ সাল থেকে এ পুরস্কারটিই নোবেল পুরস্কার নামে খ্যাত। ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিতেও পুরস্কারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

Alfred nobel


১৯০১ সালে শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকবার পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) কারণে বেশিরভাগ বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া থেকে বিরত থেকেছিল ফাউন্ডেশন। এর বাইরেও কোনো কোনোবার তাদের মতে যোগ্য কাউকে খুঁজে না পাওয়ায় পুরস্কার দেয়নি। নিম্নেল্লিখিত বছরগুলোতে পুরস্কার দেওয়া হয়নি।

পদার্থ: ১৯১৬, ১৯৩১, ১৯৩৪, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২নেলসন ম্যান্ডেলা

রসায়ন: ১৯১৬, ১৯১৭, ১৯১৯, ১৯২৪, ১৯৩৩, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২

চিকিৎসা: ১৯১৫, ১৯১৬, ১৯১৭, ১৯১৮, ১৯২১, ১৯২৫, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২

সাহিত্য: ১৯১৪, ১৯১৮, ১৯৩৫, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২, ১৯৪৩

শান্তি: ১৯১৪, ১৯১৫, ১৯১৬, ১৯১৮, ১৯২৩, ১৯২৪, ১৯২৮, ১৯৩২, ১৯৩৯, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২, ১৯৪৩, ১৯৪৮, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৬৬, ১৯৬৭, ১৯৭২

সর্বকনিষ্ট নোবেল বিজয়ী পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই, তিনি ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

এর আগে সর্বকনিষ্ট ছিলেন লরেঞ্জ ব্রাগ, তিনি ১৮৯০ সালে ২৫ বছর বয়শে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

কম বয়সে পুরস্কারটি জেতার ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞানের পাল্লা ভারী।

অর্থনীতি সর্বকনিষ্ট নোবেল বিজয়ীর বয়স ৫১।

সবচে বেশি বয়সে নোবেল জিতেছেন আর্থার আসকিন, তিনি ২০১৮ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে পুরস্কারটি জেতেন।

এ পর্যন্ত ৫৪ জন নারী নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।

♠ হিটলারের নির্দেশ নোবেল পুরস্কার বর্জন করতে বাধ্য হয়েছিলেন জার্মানের রির্চার্ড কুন, এডলফ্ বুটেনাড, জারহার্ড ডুমাগ। এছাড়া বরিস পাস্তেরনাক পুরস্কারটি বর্জন করেছিলেন। বরিস পাস্তেরনাক কর্তৃপক্ষের চাপে পুরস্কারটি বর্জন করেছিলেন কিনা সে বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন, ১৯১৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রস কমিটিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন, ১৯৪৪ সালেও পুরস্কারটি দেওয়া হয় রেড ক্রস কমিটিকে। ১৯৪৫ সালে পুরস্কারটি দেওয়া হয় আমেরিকার স্টেট সেক্রেটারি কর্ডেল হুলকে। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট হুলের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। হুল জাতিসংঘ গঠনে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।  

সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর যে কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার পান, তিনি সেটি কত বছর বয়সে করেছিলেন জানেন?
মাত্র ১৯ বছর বয়সে।
এবং কাজটি তিনি করেছিলেন পিএইসডি থিসিস জমা দেওয়ার জন্য জাহাজে ইন্ডিয়া থেকে ব্রিটেন যাওয়ার পথে।
তারাদের বিবর্তন এবং জীবন চক্রের উপর গবেষণা করে উইলিয়াম আলফ্রেড ফাউলারের সাথে যৌথভাবে ১৯৮৩ সালে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।

সাহিত্য নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের গড় বয়স ৬৫ বছর, এবং এটিই সর্বাধিক। সাহিত্যে সবচে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন রুডইয়ার্ড কিপলিং, সেটিও তিনি পেয়েছেন ৪১ বছর বয়সে।


-চলবে [ধারাবাহিকভাবে আরও তথ্য যুক্ত হবে]

 

Next Post

যাকে বারবার ভুলে যেতে হয় // ইউসুফ বান্না

পর্যায় থেকে পর্যবসিত হওয়ার আগে একটা অবধারিত প্রশ্নবোধকে ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে কিছু প্রশ্নের উত্তর– যার কোনোটাই জিজ্ঞাসা ছিল না কোনোদিন আসি বলেইতো চলে যাওয়া যায় সকল শঙ্কটের যদি এভাবেই রেশ থেকে গেল—তবে প্রতিটি ভবিতব্যকেইতো প্রশ্ন করতে হয়—অর্জুনের চাঁদমারি খেলায় কর্ণের বনামে সিদ্ধ হস্তে বধ করতে হয় রেফারেন্স প্রেফারেন্স তুমি আমি […]