ওরা কারা? ওরা আসলে কাকে মারতে চায়? কোন সময়ে মারতে চায়? । দিব্যেন্দু দ্বীপ

follow-upnews
0 0

ওরা কারা?
ওরা আসলে কাকে মারতে চায়?
কোন সময়ে মারতে চায়?
ওদের আপনি চিনতে পারবেন না। অন্তরে সমুদ্র সমান গরল নিয়ে মুখে মধু ছিটিয়ে ওরা আপনার সাথে কথা বলবে। হয়ত আপনার পাশেই রয়েছে আপনার ভবিষ্যত খুনি।
দেখুন, অনুভূতিতে আঘাত লাগলে ওরা মারতে চায় এটা একেবারেই ভুল ধারণা। অনুভূতি থাকলে না অনুভূতিতে আধাত লাগবে। প্রশ্ন হচ্ছে- তাহলে ওরা মারে কেন? তিনটি কারণ এখানে উল্লেখ করছি-
১। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় অর্থনৈতিকভাবে অযোগ্যরাই বেশি সফল, তারা ধর্মকে পুঁজি করেছে, হাতিয়ার করেছে, ধর্মই হচ্ছে ওদের প্রধান নিরাপত্তা বেষ্টনী। সেখানে প্রবল যুক্তির আঘাত আসলে ওদের মাথা ঠিক থাকে না।
২। শ্রেষ্ঠ হওয়া সহজ কথা না, একটা কিছু হয়ে উঠতে এক জীবন কেটে যায়। তাছাড়া কিছু হওয়া আর কিছু করা এক কথা নয়। ওরা শ্রেষ্ঠত্বের জন্য শুধু একটা ঘোষণা দেয়। এত সহজে শ্রেষ্ঠ হতে পেরে ওদের মাথা নষ্ট হয়। তাছাড়া ঘোষিত শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যমে কর্মে শ্রেষ্ঠ মানুষদের অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেয় ওরা। সত্যিকারের মানুষেরা যখন ওদের তাসের ঘরে হানা দেয় তখন ওরা জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে। যার নামে শ্রেষ্ঠত্বের দাবী ওরা করতে পারে তাকে নিরাপত্তা ব্যুহে রাখতে চায়।
৩। ওরা যখন তখন যাকে তাকে মারে এমন কিন্তু নয়। বেছে বেছে মারে। হুমায়ূন আজাদ স্যার কে মারল। শামসুর রাহমান কে আক্রমণ করেছিল। শামসুর রাহমান ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেননি কোন সময়। ওরা এনালইসিস করে বের করে যে, কে বা কারা ওদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। কাকে মারলে সময়টা নাড়া খাবে, সবাই আতঙ্কিত হবে। এরকম একজনকে মারলে যে আওয়াজটা হয়, এটাও ওরা পছন্দ করে। বিচার প্রার্থীরা সরকারকে চাপে ফেলতে চায়, এটা ওদের পছন্দ।
# গুলি করে না মেরে কুপিয়ে মারে কেন?
ওদের উদ্দেশ্য আতঙ্ক তৈরি করা, সেক্ষেত্রে কুপিয়ে মারাটা বেশি কার্যকর। তাছাড়া যে ফোর্স ফিলসফি দ্বারা ওরা গাইডেড সেখানে কুপিয়ে মারার কথাই আছে।
# এটা কি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা?
অবশ্যই এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আবার আন্তজার্তিক জঙ্গিবাদের অংশ মনে করে বিষয়টিকে অতিশায়ন করার সুযোগও নেই। এই সব হত্যাকোণ্ডের পিছনে রয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ীরা । প্রত্যেকটি ধর্মব্যবসায়ী ধর্মগুরু এবং খুনি পালে। কান টানতে টানতে অগ্রসর হলে মাথা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে সকল জঙ্গীগোষ্টী এবং এ ধরণের সব হত্যকাণ্ডের মূল হোতা হচ্ছে জামাত। আর এই জামাত মানে শুধু চিহ্নিত জামাত নয়, ছদ্মবেশী জামাত আছে অনেক। এই জামাত মানে শুধু মুসলিম নয়, জামাত একটি চরিত্র, এর মধ্যে হিন্দুও আছে।
# বিচার কেন হয় না?
রাষ্ট্রযন্ত্র মারাত্মকভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ। টপ টু বটম দুর্নীতিগ্রস্থ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেধা-মননে খুব নিম্নমানের লোক দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। টাকা দিয়ে সব থামিয়ে দেওয়া যায়। টাকা দেওয়ার ক্ষমতা ওদের আছে। তাছাড়া আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র প্রচণ্ড ধর্মাশ্রয়ী, ধর্মকে পুঁজি করেই তাদের ক্ষমতায় থাকতে হয়, ফলে এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচারের সম্ভাবনা সবসময়ই কম।
# ওদের স্ট্রাটেজি কী?
খুব পরিস্কার স্ট্রাটেজি ওদের। ওরা মানুষের মৌলিক চাহিদা নিয়ে কাজ করে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা সবগুলো বিষয় নিয়ে ওদের ব্যবসা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে সম্পদের সিংহভাগ ওরা দখল করে নিয়েছে। অর্থ দিয়ে সবকিছু কব্জা করাটােই ওদের মূল স্ট্রাটেজি।
# প্রতিকার কী?
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। মনাবতাবাদীদের টুকরো টুকরো শক্তিগুলোকে একত্রিত করতে হবে। নিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব করা যাবে না। নেতৃত্ব নিয়ে বেশি ভাবা যাবে না। শুধু মিছিল স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেকে স্বনির্ভর হতে হবে। অন্যের দিকে তাকিয়ে থেকে আন্দোলন করে সফল হওয়া সম্ভব নয়।

Next Post

নিচের যেকোন দুটো লক্ষণ দেখা গেলে বুঝতে হবে যে, তার সিজোফ্রেনিয়া থাকতে পারে

সিজফ্রেনিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ, যা বেশীরভাগ সময় যৌবনের শুরুতে দেখা দেয়। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সব রকম মনোদৈহিক কার্যকলাপের অবনতি ঘটে— ব্যক্তির চিন্তা-ভাবনা, আবেগ, ও আচরণের লক্ষণীয় অবনতি ঘটে। ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবন থেকে ধীরে ধীরে ছিঁটকে পড়তে শুরু করে। তবে এ রোগের চিকিৎসা রয়েছে। নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে রোগমুক্তি হয়, […]
মানসিক রোগ