কান্তজিউ মন্দির, কান্তজীর মন্দির বা কান্তনগর মন্দির

follow-upnews
0 0

কান্তজীউ মন্দির বা কান্তজির মন্দির বা কান্তনগর মন্দির বাংলাদেশের উত্তরের একটি জেলা দিনাজপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিনতলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিলো। কান্তজীউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার স্থাপনা। মন্দিরটি হিন্দু ধর্মের কান্ত বা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে পরিচিত যা লৌকিক রাধা-কৃষ্ণের ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বাংলায় প্রচলিত।

মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন মহারাজা প্রাণ নাথ, মন্দিরটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে এবং নির্মাণ কাজ শেষ হয় প্রাণ নাথের পুত্র রাজা রামনাথের আমলে ১৭২২ সালে।

মন্দিরটি ছিল তখন সারা বিশ্বে টেরাকোটার কাজের একটি অসাধারণ নিদর্শণ। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যায়। মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরটির সংস্কার করলেও মন্দিরের চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি।

মন্দিরটি ধ্বংস হওয়ার আগে Ravenshaw, John Henry এর ১৮৭১ সালে তোলা ছবিতে মন্দিরের নয়টি রত্ন বর্তমান। ২০১৭ সালের কলকাতা বইমেলায় এই মন্দিরের আদলে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন করা হয়।

Photograph of Kantaji… @ Ravenshaw, John Henry
Photograph of Kantaji… @ Ravenshaw, John Henry
কান্তজির মন্দির
বর্তমানে মন্দিরটি।

এটি দিনাজপুর শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে, দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরে অবস্থিত।


 

Next Post

এবার গীতিকার জাভেদ আখতার বললেন মসজিদে লাউড স্পিকার বন্ধের কথা

ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন সোনু নিগম। তাঁর উপর জঙ্গি হামলার সতর্কতা জারি করেছে মহারাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ। এরকম পরিস্থিতিতে বলিউডের গায়কের পাশে দাঁড়ালেন গীতিকার জাভেদ আখতার। এদিন জাভেদ আখতার টুইট করে জানান, ”মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা উচিত নয়। জনবহুল এলাকায় ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার বন্ধ করা দরকার।” […]