সাক্ষাৎকার : কাউন্সিলর প্রার্থী এস.এম. এনামুল হক আবীর

follow-upnews
0 0

এস এম এনামুল হক আবীর ১৯৬৯ এর ১ জানুয়ারি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই মেধা ও মননের সাক্ষর রেখে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে এস,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে এইস.এস.সি-তে ভর্তি হয়ে স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একজন সফল সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের রক্তস্নাত ১০ দফার আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৭ সালে মেধার সাক্ষর রেখে ১ম বিভাগে এইস.এস.সি-তে উত্তীর্ণ হয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে “ডাকসু সাংস্কৃতিক দল” “বাংলার মুখ” প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক হিসেবে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। স্বৈরাচার পতনের পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে পেশিশক্তি বিরোধী সুস্থ ছাত্র আন্দোলনে নিজেকে উজাড় করে দেন। ১৯৯৩ সালে বি.এস.এস (সম্মান) ও ১৯৯৪ সালে মাষ্টার্স শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনায় নিয়োজিত একটি বহুজাতিক কম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শাহবাগ-পরীবাগ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন” এর চেয়ারম্যান হিসেবে সামাজিক ভূমিকা রাখছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানস্থ ‘বৃক্ষমায়া’, ‘ছবিরহাট’, ‘পান্থকুঞ্জ’, ‘সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’ সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আঠারো’র সাথে থেকে পরিচ্ছন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান (CleanDU) পরিচালনা করেছেন।
আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২১ নং ওয়ার্ড থেকে তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী। ফলোআপ নিউজ-এর সাথে এক সান্ধ্য আলাপচারিতায় তিনি তুলে ধরেছেন এই ওয়ার্ডটির বিশেষ গুরুত্বের কথা।

FNEWS : আমাদের সমাজে রাজনীতি করা খুব কঠিন আবার রাজনীতি করা খুব সহজও, পরস্পর বিপরীতধর্মী এই বক্তব্যটি আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
আবীর : আদর্শিক রাজনীতি খুবই কঠিন, আর প্রচলিত রাজনীতি খুবই সহজ। রাজনীতির ব্যাসবাক্য হল নীতির রাজা মানে শ্রেষ্ঠ নীতি, রাজার নীতি নয়। রাজার নীতি নীতি নয় তা শোষণের নামান্তর।
FNEWS : শোনা যায় সাধারণত যারা কাউন্সিলর প্রার্থী হয় তাদের পেশি শক্তি থাকে। আপনি তো আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। তো আপনার প্রধান শক্তি কী?
আবীর : এ যাবৎকাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এ দিকটিই পরিলক্ষিত হয়েছে। অখন্ড সমাজ চেতনার পরিবর্তে বিশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থাই তারা উপহার দিতে পেরেছে। সেজন্য পদটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে আর কমিশনার নয় কাউন্সিলর হিসেবে পদটি মর্যাদা পাবে। এবারের নির্বাচনে বিশেষ করে এই ওয়ার্ডটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ জ্ঞান ভিত্তিক দর্শন নির্ভর সমাজ গড়ার জন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে ভুল করবে না বলে আমার বিশ্বাস।
FNEWS : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এই ওয়ার্ডটি তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে আপনার কোন বিশেষ লক্ষ্য আছে কিনা?
আবীর : আপনারা জানেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পুর্তি হবে, একই সাথে ঐ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার শতবর্ষ উদ্যাপন করবে। আমাদের যত দৈন্যতা যা কিছু কালিমা তা এই সময়ের মধ্যে মুছে ফেলতে হবে। এই লক্ষে আমাদের সবার কাজ করে যেতে হবে।
FNEWS : আপনাকে ধন্যবাদ।
আবীর : ধন্যবাদ।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি

Abir vai 1

Abir vai 2
Abir vai 4

Abir vai 5

Abir vai 6

Abir vai 8

Abir vai 9

Abir vai 10
abir 12

abir 30

abir 26 (3)

abir 26 (2)

abir 25

abir 13

abir 00

abir 11

Next Post

“কষ্ট পাচ্ছি, তবে অভিজিতের পিতা হতে পেরে গর্বিত”

অজয় রায় সব সময় ঘরের কোণে পড়ে থাকা ক্রিকেট ব্যাটটির দিকে তাকিয়ে থাকেন, তার মনে পড়ে যায়, খেলোয়াড়টি আর বেঁচে নেই। অজয় রায়ের পুত্র, অভিজিত রায়, আমেরিকা প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার, এসেছিলেন তার অসুন্থ মাকে দেখতে। বইমেলা থেকে ফেরার পথে তিনি মৌলবাদীদের হাতে খুন হন। অভিজিতের পিতা অজয় রায়, ৮০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের […]

এগুলো পড়তে পারেন